জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
আপনি ইশার নামাজের পর দুই রাকাত ইস্তেখারার নিয়তে নামাজ পড়বেন।
নামাজ শেষে মুনাজাত করবেন।
ইস্তেখারার দুআ নামাজের শেষে সেই মুনাজাতে পড়বেন।
(মুখস্থ না থাকলে দেখে দেখে পড়া যাবে।)
এরপর মুনাজাত শেষ করে দুনিয়াবি কোনো কাজ না করে কাহারো সাথে কথাবার্তা না বলে পবিত্র বিছানায় ডান কাত হয়ে শুয়ে পরবেন।
ইনশাআল্লাহ স্বপ্নে বা মনের মধ্যে কোনো ইশারা পাবেন।
এক রাতে না হলে আমলটি চালিয়ে যাবেন।
ইনশাআল্লাহ দেড়িতে হলেও কোনো ইশারা বা মন কোনো একদিকে ধাপিত হবে।
ইস্তেখারা দোয়াটি হলো,
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ العَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلَّامُ الغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي، ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ أَرْضِنِي " قَالَ: «وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ»
ভাবার্থঃ‘‘প্রভু হে! আমি তোমার জ্ঞানের ওয়াসিলাহ্তে তোমার অনুমতি কামনা করছি; তোমার কুদরতের ওয়াসিলায় শক্তি চাচ্ছি আর তোমার অপার করুণা ভিক্ষা করছি। কারণ তুমিই সর্বশক্তিমান আর আমি দুর্বল। তুমিই জ্ঞানী আর আমি অজ্ঞ এবং তুমিই সর্বজ্ঞ। প্রভু হে! তুমি যদি মনে কর যে, এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, ইহকালে ও পরকালে সত্বর কিংবা বিলম্বে আমার পক্ষে মঙ্গলজনক হবে তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারিত করে দাও এবং তার প্রাপ্তি আমার জন্য সহজতর করে দাও। অতঃপর তুমি তাতে বারাকাত দাও। আর যদি তুমি মনে কর এই জিনিসটি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায় ইহকালে ও পরকালে আমার জন্য ক্ষতিকর হবে শীঘ্র কিংবা বিলম্বে তাহলে তুমি তাকে আমার হতে দূর করে দাও এবং আমাকে তা হতে দূরে রাখো; অতঃপর তুমি আমার জন্য যা মঙ্গলজনক তা ব্যবস্থা কর- সেটা যেখান থেকেই হোক না কেন এবং আমাকে তার প্রতি সন্তুষ্টচিত্ত করে তোল।’’তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الْأَمْرَ তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে।(সহীহ বুখারী- (শামেলা);২/৫৭,হাদীস নং১১৬২,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৬২৯)
(০২)
উক্ত আমল নিয়মিত করবেন।
তারপর স্বপ্নে জানতে পারবেন যে সে উত্তম কিনা।
অথবা তার কথা চিন্তা হলেই মন শুধু শুধু পেরাশান হয়ে যাবে।
তার কথা মাথায় আসলেই কিছুই ভালো লাগবেনা।
তার প্রতি মন থেক কোনো আগ্রহ আসবেনা।
(০৩)
উভয় ছুরতেই দোয়া করা যাবে।