আসসালামু আলাইকুম।
১/মুখে উচ্চারন না করে শুধু মুখ নাড়িয়ে বা জিহবা নাড়িয়ে স্ত্রীকে তালাক দিলে তালাক হবে নাকি?
২/আমার নিয়ত ছিলো এই কাথাটা বলা যে আমার স্ত্রী যেন তালাক না হয়,আমি যখন আমার নিয়ত অনুযায়ী এই কথাটা বলতে ইচ্ছুক হই ঠিক তখনই এমন মনে হয় যে আমি একই কথাটা একই সাথে দুইভাবে বলতেছে অর্থাৎ
মুখে উচ্চারণ করে আর মনে মনে (যে কথাটা মুখে উচ্চারণ করে বলব সে কথাটা মনে মনেও বলতেছি)
যেমন আমি মুখে যখন এই কথাটা বলতেছি যে আমার স্ত্রী যেন তালাক না হয়, এই কথটা বলার সাথে সাথে আমি মনে মনে এই কথাটাও বলেছি যে আমার স্ত্রী যেন তালাক হয়।
তালাক যেন না হয় এই কথাটা স্পষ্ট শোনা গিয়েছে আর তালাক হয় কথাটা শোনা যায়নি,এখ৷ আমার ভয় হচ্ছে আমি যে মুখ নাড়িয়ে তালাক যেন না হয় বলেছি ঠিক ওই মুহুর্তেই মনে মনে তালাক হয় বলেছি, এখন মুখ নাড়িয়ে তালাক না হয় বলার সাথে সাথে মনে মনে তালাক হয় কথাটা বলার কারনে কি তালাক হবে?যেহেতু আমার মুখ নড়েছে তালাক যেন না হয় সেটা বলার জন্য।
৩/আমি যখন এই কথাটা বলার জন্য নিয়ত করি যে আমার স্ত্রী যেন তালাক হয়না,এবং এই নিয়ত অনুযায়ীই যখন তালাক হয় পর্যন্ত বলেছি ঠিক তখনই আমার মনে মনে আমি না চাইলেও কে যেন বলতেছে যে তালাক হবে,ঠিক তখনই আমি মুখ দিয়ে না শব্দটা বের করেছি জাতে মনে মনে বলা কথাটা পরিবর্তন হয় এবং স্ত্রী যেন তালাক না হয়,এখানে আমার ভয় হচ্ছে আমি যে তালাক হয়না বলার নিয়ত করেছি সে বাক্যটা সম্পুর্ন করতে পারিনাই অর্থাৎ তালাক হয় পর্যন্ত বলেছি আর না শব্দটা বলতে পারিনাই,কেননা ওই মুহুর্তে আমার মনে মনে তালাক হয় কথাটা উদয় হয়েছিল আফ এই উদয়কৃত কথাটা প্রতিহত করার জন্য আমার নিয়ত অনুযায়ী তালাক যেন হয়না বাক্যটা সম্পুর্ন করে বলতে পারি নাই এবং তালাক হয় পর্জন্ত বলার উদ্দেশ্য তালাক দেওয়া ছিলো না, বরং তালাক যেন না হয় সেটাই বলতে চাইছিলাম কিন্তু মনে মনে আশা কথাটাকে বাধা দেওয়ার জন্য আমার নিয়ত অনুযায়ী তালাক যেন হয়না বলতে পারি নাই অর্থাৎ তালাক হয় পর্জন্ত বলেছি কিন্তু না শব্দটা বলতে পারি নাই।
৩/আমার মনে যদি সামান্য সন্দেহ থাকে যে আমি তালাক হওয়ার পক্ষে স্পষ্ট কোোনো কথা বলেছি নাকি বলি নাই তাহলে কি স্ত্রী তালাক হবে?
৪/হয়তো তালাক হওয়ার পক্ষে কথা বলেছি কিন্তু এখন আমার মনে নাই তাহলে কি তালাক হবে?অর্থাৎ শিয়রনা।