ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নামাজরত ব্যক্তির ঠিক সামনে যদি অবস্থান করেন,নামাজ পড়েন। নামাজরত ব্যক্তির নামাজ শেষ হওয়ার পূর্বে সামনে থাকা ঐ লোকটি চলে যেতে পারবে, এতে কোনো সমস্যা নেই।
(২)
অজু করছেন এমন ব্যক্তিকে সালাম দিলে, সেই ব্যক্তির উপর সালামের জবাব ওয়াজিব হবে না।হ্যা, ঐ ব্যক্তি যদি সালামের জবাব দিয়ে দেন, তাহলে তাতেও কোনো সমস্যা নেই।
অজুরত অবস্থায় সালাম না করাই উচিৎ।
الدر المختار: (126/1)
ومن آدابہ ۔۔۔۔۔۔۔۔۔ وعدم التکلم بکلام الناس الا لحاجہ تفوتہ
(৩)
কবরস্থানে বৃক্ষ রোপন করা, এটা হুজুর সাঃ এর সাথে খাছ ছিলো। বৃক্ষরোপণ করলেই যে কবরের আযাব হালকা হয়ে যাবে সেটা নিশ্চিত কোনো বিষয় না।রাসূলুল্লাহ সাঃ কে অহীর মাধ্যমে উক্ত কবরের আযাব হালকা করণের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছিলো।বর্তমান ফিতনার সময়ে কবরে বৃক্ষরোপণ বা ফুল ছিটিয়ে দেয়া কখনো উচিৎ হবে না।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-১/৬৮২)
তবে যদি কারো অন্তর বেদআত-রুসুমাত থেকে পবিত্র থাকে, তাহলে তার জন্য রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পদ্ধতির অনুসরণ মূলক সে বৃক্ষরোপণ করতে পারে।বিশেষ করে যদি নিজস্ব পারিবারিক কোনো কবরস্থান থাকে।যেমনটা কোনো কোনো স্থানে বর্ণিত রয়েছে।