আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
197 views
in সাওম (Fasting) by (5 points)
আসসালামু 'আলাইকুম হুজুর,

এই কথাগুলো লিখতে বেশ অসহ্যকর এবং লজ্জাবোধ করি, তবুও দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ মাস'আলা হিসেবে আমার জানা প্রয়োজন,

রোজার হালতে,

গতকাল রাত থেকে আমার উত্তেজনা বেড়ে যায়, এরপর আজকে ফজরে আমার সামনে (অথবা নফসের তাড়নায় আমি অশ্লীলতায় ডুবে যাই) কিছু অযাচিত ছবি ভিডিও আসে, আমি নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে সেগুলো আরো ঘাঁটাঘাঁটি করি, এক পর্যায় আমার উত্তেজনা চরমে উঠে আমার বীর্য বের হবে এমন- তখন আমি উপর হওয়া অবস্থায় আমার লজ্জাস্থানকে বিছানায় শক্ত করে চাপ দিয়ে রেখেছিলাম যাতে বীর্য না বের হয়,
এখানে ২টি প্রশ্নঃ ১। বীর্য বের হলো না- কিন্তু কেমন যেনো স্বাদ অনুভব করার মতো যেমনটা বীর্য বের হলে হয় বা তার কাছাকাছি, এতে তা শক্ত থেকে আস্তে আস্তে নরম হয়ে যায়-এতে কি রোজা ভঙ্গ হবে এবং ফরজ গোসল করা লাগবে?

২।  শুরুতে বীর্য বা অন্য কিছু বের হয় না, পরবর্তীতে নরমাল হয়ে গেলে এবং শরীরের চাপ বন্ধ করে উঠলে বা উপর থেকে সাইড চেঞ্জ বা পিঠ দিয়ে শুলে বীর্যের মতো মনে হয়- দেখতে সাদা তার সাথে পানি মেশানো অল্প অঙ্গের অগ্রভাগে আছে তরল জাতীয়-তবে সাদা...প্রস্রাবের পর তা আর থাকে না,(অর্থাৎ নির্ণয় করতে পারি না- তখন কি হিসেবে ধরবো?) বীর্য বা অন্য মযি/ওযি বের হওয়াকে আটকানোর পর লজ্জাস্থান নিস্তেজ হয়ে আসে এবং অল্প অল্প করে বীর্যের মতো ঘন সাদা অথবা সাদা নির্ণয় করতে পারছি না-বের হয়, এটি কী বীর্য বের হওয়ার আওয়তায় পড়ে?

বীর্য আর এটার মধ্যে পার্থক্য হলো বীর্য বের হলে দ্বিতীয়বার বা তার পরের বার করতে শক্তি থাকে কম বা শক্তি/ইচ্ছা থাকে না, এটাতে আরেকবার করতে মন চায়-অর্থাৎ শক্তি/ইচ্ছা থাকে পুনরায় করার।

আজকে সকালে আমার হালত দ্বিতীয়টা ছিলো, এরপর পরবর্তীতে আমি চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকি, আমার কল্পনায় খারাপ চিত্রগুলো আবার আসে(আর যদি ধরে নেন কেউ আবার দেখলো-দুটোর অবস্থা ভিন্ন না সমান জানাবেন), ফলে আমার লজ্জাস্থান বিছানায় লাগলে আবার বীর্য বের হওয়ার উপক্রম হয়, এবারও চাপ দিয়েছিলাম আটকে রাখার জন্য, এরপর আমার হুঁশ ছিল না কিছু বের হয়েছে কিনা, মযি/ওযি বের হলে যেমন একটু ভিজা ভিজা লাগে-ওরকম অনুভূতি হচ্ছিলো- এটা কি আমার স্বপ্নদোষের আওতায় পড়ে না জাগ্রত হালতে?

আমার রোজা কি হবে? নাকি ভেঙ্গে গিয়ে কাযা বা কাফফারা আদায় করতে হবে?-কোনটি?

প্রিয় উস্তায, আমাকে ক্ষমা করবেন এসমস্ত নির্লজ্জ মূলক প্রশ্ন করার জন্য, আমার জানা খুব প্রয়োজন

আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিওময় দিক সবিস্তারে উত্তর প্রদানের জন্য।

1 Answer

0 votes
by (582,930 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রস্রাবের পর পিচ্ছিল যা বাহির হয় তাকে ফেকহী পরিভাষায় ওদী বলা হয়।

প্রস্রাব ব্যতীত যৌনাঙ্গ থেকে যা কিছু বাহির হয় তা তিন প্রকারঃ-
(১)মনি(বীর্য)
وَمَنِيُّ الرَّجُلِ خَاثِرٌ أَبْيَضُ رَائِحَتُهُ كَرَائِحَةِ الطَّلْعِ فِيهِ لُزُوجَةٌ يَنْكَسِرُ الذَّكَرُ عِنْدَ خُرُوجِهِ، وَمَنِيُّ الْمَرْأَةِ رَقِيقٌ أَصْفَر
পুরুষের মনি বা বীর্য হলঃ-যা সাদা গাঢ় একপ্রকার গন্ধমাখা পিচ্ছিল পানি যা উত্তেজনার সাথে আটকিয়ে আটকিয়ে বের হয়,এবং বের হওয়ার সাথে সাথে পুঃলিঙ্গ নেতিয়ে পড়ে,আর মহিলার বীর্য হল,পাতলা প্রায় হলুদ বর্ণের ।

(২)মযি
وَالْمَذْيُ رَقِيقٌ يَضْرِبُ إلَى الْبَيَاضِ يَبْدُو خُرُوجُهُ عِنْدَ الْمُلَاعَبَةِ مَعَ أَهْلِهِ بِالشَّهْوَةِ
মযিঃ-
যা স্ত্রীকে কামুত্তেজনায় স্পর্শের পূর্বে বাহির হয়,এবং যা দেখতে প্রায় সাদা রঙ এর।এবং মহিলার ও বের হয় তবে তাকে "কাযয়ুন"বলা হয়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1689

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার যা নির্গত হয়েছে, সেটা মযি।আর মযি নির্গত হলে গোসলও ফরয হয়না এবং রোযাও ফাসিদ হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (582,930 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 87 views
...