আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ,
আমার হাসবেন্ড একজন স্টুডেন্ট।
তিনি প্রায় অনেকদিন যাবত বিভিন্ন হালাল সরকারি চাকুরীর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
অনেক চাকুরীর আবেদন করছেন,  পরীক্ষা দিচ্ছেন।  শত শত টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে।  কিন্তু,  কোনো কারণে চাকুরী হচ্ছে না।  এত এত খরচ যে শুধু শুধুই হয়ে যাচ্ছে এটা আমার কাছে অনেক খারাপ লাগে।  এটা কি খারাপ লাগার কোনো বিষয় উস্তায? এটা তো হালাল উপার্জনের জন্য হালাল একটা প্রচেষ্টাই।  তাই না?
উস্তায,  উনি পড়াশুনা করে চেষ্টা করছেন + আবেদন করে পরীক্ষা দিয়েও চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি টিউশনি পেলে করাচ্ছেন।
উস্তায,  আমি নাসীহাহ চাই। আমার মন যেন শান্ত হয়। আমাকে কিছু নাসীহাহ দিন।  আমার রিযিক নিয়ে ভয় হয় না।  শুধু ভয় হয়,  উনার টাকাগুলো যে এভাবে চলে যাচ্ছে! আল্লাহ কি অসন্তুষ্ট হবেন?
উস্তায,  এইভাবে হালাল উপার্জনের চেষ্টা করলে কি আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন?  উনি কখনও জেনে বুঝে হারাম চেষ্টা করেন না।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এটা মানবিক কারনে খারাপ লাগারই বিষয়।
এটা হালাল উপার্জনের জন্য হালাল একটা প্রচেষ্টাই।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্ট হবেননা।
এইভাবে হালাল উপার্জনের চেষ্টা করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেননা।
এটি কোনোভাবেই দোষনীয় কিছু নয়।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামীর জন্য পরামর্শ থাকবে,
প্রতিদিন ২ রাকাত ছলাতুল হাজত পড়ে মহান আল্লাহর কাছে নিজের আশা পূরনের দোয়া করবেন। নিম্নোক্ত দোয়া বেশি বেশি পাঠ করবেন।

رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ

উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি লিমা- আনযালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির।

অর্থ : হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে, আমি সেটার মুখাপেক্ষী। (সুরা আল-কাসাস, আয়াত : ২৪)

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবেন,নিম্নোক্ত তাসবিহ বেশি বেশি পাঠ করবেন 

يَا وَهَّابُ

উচ্চারণ : ‘ইয়া ওয়াহহাবু’

অর্থ : কোনোরূপ প্রতিদান ব্যতীত অধিক দানকারী।

ফেরাউনের রোষানলে পড়ে মুসা আলাইহিস সালাম মিশর থেকে দূরে চলে যান। মাদায়িন শহরে গিয়ে পৌঁছান তিনি। সেখানে তার কোনো আশ্রয়ের কিংবা জীবিকার কোনো সংস্থান ছিল না। সেই ঘটনা কোরআনে উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তিনি মাদইয়ান অভিমুখে রওয়ানা হলেন; তখন বললেন, আশা করা করছি— আমার পালনকর্তা আমাকে সরল পথ দেখাবেন। যখন তিনি মাদইয়ানের কূপের ধারে পৌঁছলেন, তখন কূপের কাছে একদল লোককে পেলেন— যারা পশুদের পানি পান করানোর কাজে ব্যস্ত। এবং তাদের পেছনে দুইজন নারীকে দেখলেন— তারা তাদের পশুগুলোকে আগলিয়ে রাখছে। তিনি বললেন, তোমাদের কী ব্যাপার? তারা বললেন, রাখালরা ওদের পশুগুলোকে নিয়ে সরে না গেলে— আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারি না। আর আমাদের বাবা অশীতিপর বৃদ্ধ।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২২-২৩)

এরপরের আয়াতেই মুসা (আ.) কাজ চেয়ে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়ার বিনীত নিবেদন এসেছে। আল্লাহ তাআলা মুসা আলাইহিস সালামের সেই আহ্বান এভাবে তুলে ধরেন, ‘অতঃপর মুসা তাদের (দুই নারীর) জন্তুদের পানি পান করালেন। এরপর তিনি ছায়ার দিকে ফিরে গেলেন এবং বললেন, ‘হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ অবতীর্ণ করবে, আমি সেটার মুখাপেক্ষী।” (সুরা কাসাস, আয়াত : ২৪)

অর্থাৎ আমার আশ্রয়, কাজ ও কর্মসংস্থান দরকার। আর তুমি আমার জন্য যে কাজ বা জীবিকার ব্যবস্থা করবে, আমি তোমার ব্যবস্থা করা সে কাজের বা জীবিকার মুখাপেক্ষী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...