প্রতিদিন ২ রাকাত ছলাতুল হাজত পড়ে মহান আল্লাহর কাছে নিজের আশা পূরনের দোয়া করবেন। নিম্নোক্ত দোয়া বেশি বেশি পাঠ করবেন।
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি লিমা- আনযালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির।
অর্থ : হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে, আমি সেটার মুখাপেক্ষী। (সুরা আল-কাসাস, আয়াত : ২৪)
বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবেন,নিম্নোক্ত তাসবিহ বেশি বেশি পাঠ করবেন
يَا وَهَّابُ
উচ্চারণ : ‘ইয়া ওয়াহহাবু’
অর্থ : কোনোরূপ প্রতিদান ব্যতীত অধিক দানকারী।
ফেরাউনের রোষানলে পড়ে মুসা আলাইহিস সালাম মিশর থেকে দূরে চলে যান। মাদায়িন শহরে গিয়ে পৌঁছান তিনি। সেখানে তার কোনো আশ্রয়ের কিংবা জীবিকার কোনো সংস্থান ছিল না। সেই ঘটনা কোরআনে উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তিনি মাদইয়ান অভিমুখে রওয়ানা হলেন; তখন বললেন, আশা করা করছি— আমার পালনকর্তা আমাকে সরল পথ দেখাবেন। যখন তিনি মাদইয়ানের কূপের ধারে পৌঁছলেন, তখন কূপের কাছে একদল লোককে পেলেন— যারা পশুদের পানি পান করানোর কাজে ব্যস্ত। এবং তাদের পেছনে দুইজন নারীকে দেখলেন— তারা তাদের পশুগুলোকে আগলিয়ে রাখছে। তিনি বললেন, তোমাদের কী ব্যাপার? তারা বললেন, রাখালরা ওদের পশুগুলোকে নিয়ে সরে না গেলে— আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারি না। আর আমাদের বাবা অশীতিপর বৃদ্ধ।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২২-২৩)
এরপরের আয়াতেই মুসা (আ.) কাজ চেয়ে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়ার বিনীত নিবেদন এসেছে। আল্লাহ তাআলা মুসা আলাইহিস সালামের সেই আহ্বান এভাবে তুলে ধরেন, ‘অতঃপর মুসা তাদের (দুই নারীর) জন্তুদের পানি পান করালেন। এরপর তিনি ছায়ার দিকে ফিরে গেলেন এবং বললেন, ‘হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ অবতীর্ণ করবে, আমি সেটার মুখাপেক্ষী।” (সুরা কাসাস, আয়াত : ২৪)
অর্থাৎ আমার আশ্রয়, কাজ ও কর্মসংস্থান দরকার। আর তুমি আমার জন্য যে কাজ বা জীবিকার ব্যবস্থা করবে, আমি তোমার ব্যবস্থা করা সে কাজের বা জীবিকার মুখাপেক্ষী।