ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কেউ যদি কারো হক্ব নষ্ট করে বা কারো অধিনস্ত কাউকে হত্যা করে। এজন্য নিজে নিজে প্রতিশোধ গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
(২)
সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি মিলে যে শালিস হয় বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তক যেই গ্রাম্য আদালত হয়, সেখানে কোনো চোরকে শাস্তি স্বরুপ হাত কাটা যাবে না। শরয়ী দন্ডবিধি প্রয়োগের জন্য ইমাম বা রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক বিশেষ কাজী/বিচারক নিয়োগ হওয়া জরুরী।হ্যা সামাজিক নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রহার বা অাপাতত সাধারণ শাস্তি দেয়া যেতে পারে।
(৩)
সামাজিক নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োজনিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।তবে সর্বপ্রথম আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে।আইনের আশ্রয় গ্রহণ করা সম্ভবপর না হলে, তখন ফিতনা ফাসাদ ব্যতিত হেকমতের সাথে পদক্ষেপ করা যাবে। ফিতনা ফাসাদের আশংকা হলে, তখন শুধুমাত্র মুখ দ্বারা প্রতিবাদ করতে হবে।সেটাও সম্ভব না হলে, জবান অন্তর দ্বারা মন্দ করতে হবে।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩)
অন্তর দিয়ে গৃনা করার অর্থ হচ্ছে,হালালকে হালাল জানা এবং তাকে মহব্বত করা।এবং হারামকে হারাম জানা ও গৃনা করা এবং তার থেকে দূরে থাকা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1982
(৪) চোর ধরা পড়লে পন্য ফেরত নেয়ার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা উচিত। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে দায়িত্ব অবহেলার কারণে তার গোনাহ হবে।
(৫) এসব উচিৎ হয়নি। আল্লাহর কাছে এজন্য ক্ষমা চাইতে হবে।হ্যা, তার কৃতকর্মের কারণে তাকে জবাবদিহিতার কাঠগড়ায় দাড় করানো যেতে পারে।