জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ الْمُؤَذِّنِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُكَبِّرُ بَيْنَ أَضْعَافِ الْخُطْبَةِ يُكْثِرُ التَّكْبِيرَ فِي خُطْبَةِ الْعِيدَيْنِ .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুয়াযযিন সা’দ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ খুতবাহ্য় বেশি বেশি তাকবীর বলতেন এবং তিনি দু ঈদের খুতবাহ্য় আরো অধিক সংখ্যায় তাকবীর বলতেন।
সুনানে ইবনে মাজাহ ১২৮৭)
ঈদের নামাযের প্রথম খুতবার শুরুতে নয়বার ও দ্বিতীয় খুতবার শুরুতে সাতবার ধারাবাহিকভাবে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা মুস্তাহাব।
ফিকহের কোনো কোনো কিতাবে খুতবাহ শেষে ১৪বার তাকবীর বলার কথা উল্লেখ আছে। তবে উভয় ঈদের খুতবায়ই ব্যাপকভাবে বেশি বেশি তাকবীর বলা সাহাবী ও তাবেয়ীদের আছার দ্বারা প্রমাণিত।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে তাকবিরে তাশরিখ বলা আবশ্যক নয়।
তবে কেহ বললে তাতে সমস্যা নেই,অনুমতি আছে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সমস্যা নেই।
(০২)
কুরবানী পরিবার কেন্দ্রিক ওয়াজিব।
সুতরাং পরিবারের প্রতিটি সদস্য যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে,তাদের প্রত্যেকেই কুরবানী দিতে হবে।
(০৩)
নাবালেগদের জন্য প্রাপ্ত বয়স্ক দের পিছনে আলাদা কাতার করা ভালো,তবে বর্তমান সময়ের ন্যায় জামাতের কাতারের মাঝে নেয়াতে সমস্যা নেই।
তবে শিশুটি যদি অবুঝ হয়,আর মুছল্লিদের নামাজে সমস্যা করে,সেক্ষেত্রে তাকে মসজিদে না নিয়ে আসা উচিত।
আরো জানুনঃ-
(০৪)
যেহেতু সেটির আয় তিনি ভোগ করেন,সেক্ষেত্রে এটি তার প্রয়োজনীয় সামানার অন্তর্ভুক্ত ,বিধায় কুরবানির নেসাব হিসাব করা ক্ষেত্রে এটা গণনায় আসবে না।