بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/4313 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
আল্লাহ সবকিছুর
খালিক ও মালিক, জগতের
সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা
নেই। এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ
ব্যবহার বৈধ আছে। বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/226
সুতরাং আকিদা
বিশুদ্ধ তথা শে'ফা দানকারী
একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে ঔষধী গাছের অংশ
বিশেষ দ্বারা তাবিজ ব্যবহার করতে পারবেন।
নিম্নোক্ত
হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে
প্রমাণ পাওয়া যায়-
আমর ইবনে শুয়াইব
তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ
ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ
: ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ
، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ )
. . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ
، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ
সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের
মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে- 'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি
মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন' এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ
ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক
সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন। (মিশকাতুল
মাসাবিহ-২৪৭৭)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. বিশুদ্ধ
আকিদা তথা শে'ফা দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা এমন আকিদা বিশ্বাস রেখে ঔষধী গাছের অংশ বিশেষ ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার
করতে পারবেন।
২. সাগরবক্ষ
থেকে সংগৃহীত শামুক, ঝিনুক, পাথর ইত্যাদী আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত। এসব দ্বারা প্রস্তুতকৃত মালা,
চুড়ি,
ব্রেসলেট,
ক্লিপ,
ল্যাম্পশেড,
ঝাড়বাতি ইত্যাদি তৈরি,
ক্রয়-বিক্রয়,
ঘরে সংরক্ষণ ও ব্যবহারে কোনো সমস্যা
নেই। এগুলো সব মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে দান। সুতরাং আমরা এগুলোকে নারীদের
অলংকার, বাড়ির ব্যবহার্য সামগ্রী বা ঘরের শোভা বর্ধনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারি। এবং প্লাস্টিকের ফুল বা পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে ঘর সাজানো জায়েয
আছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এতে কোনো আপত্তি নেই।