জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী জিবন বিমা করা জায়েজ নেই।
কিফায়াতুল মুফতি এ বর্ণিত রয়েছে,
প্রশ্ন, জীবন বিমা করার বিধান কী? উত্তর, জীবন বিমা করানো জায়েয নেই। প্রশ্ন,জান ও অর্থ সম্পদের বিমা করা জায়েয আছে কি?উত্তর, বিমা এক ধরণের জুয়া। এজন্য জান ও অর্থ সম্পদের বিমা করা জায়েয নেই।(কিফায়াতুল মুফতি, ৮ / ৮২, ৮৩)
ফাতাওয়ায়ে উসমানী তে বর্ণিত রয়েছে,
ইন্স্যুরেন্স (বিমার) বর্তমান প্রচলিত যত প্রকার রয়েছে সবগুলো সুদ ও জুয়ার অন্তর্ভুক্ত, বিধায় তা হারাম। ... কিছু আলেমের বৈধ হওয়ার মত থাকলেও সে মতটি খুবই দুর্বল ও ক্ষীণ। তাদের দলীলাদিও অনেক দুর্বল ও কমজোর। 'মাজমাউল ফিকহ ইসলামি' জেদ্দাতে পুরো দুনিয়ার ইসলামি রাষ্ট্রের আলেমগণ একত্রিত হয়ে এ ব্যাপারে সুদীর্ঘ আলোচনা পর্যালোচনা করেছেন। অবশেষে বর্তমান প্রচলিত ইন্স্যুরেন্স হারাম হওয়ার উপর ফাতাওয়া দেওয়া হয় এবং কতক আলেমের বৈধ হওয়ার মতকে বাতিল সাব্যস্ত করা হয়। সেই সেমিনারে ১৪৫ টি ইসলামি রাষ্ট্র থেকে প্রায় ১৫০ জন আলেম অংশগ্রহণ করেন।(ফাতাওয়ায়ে উসমানী, ৩/৩২৮)
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨]
হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮]
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠]
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০]
উক্ত ইন্টারেস্ট এর টাকা ব্যংকে রেখে আসা যাবেনা।
বরং তাহা তুলতেই হবে,কারন সেটি আপনি না নিলে কর্তৃপক্ষ বা অন্য কেউ এই সূদ খাবে।
যেখানে অন্যায়ের সহযোগিতা করা হয়।
,
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, প্রশ্নে উল্লেখিত মুল টাকা উত্তোলনের সাথে সাথে উক্ত ইন্টারেস্ট এর টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া উক্ত ইন্টারেস্ট এর টাকা গরীবদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে।।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34،
الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37)
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)