আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম।।  আমি যখন ক্লাস ৬,৭ এ পড়তাম সেই ২০১২ সালে  তখন একটা ছোট বাচ্চার মা তার সাথে আমাকে নিয়ে মজা করতো। এভাবে বলতো  যে দেখো দেখো, রিফাত( বাচ্চার নাম) তোমার ডারলিং আসতেছে। বাচ্চা তখন ভালো করে কথা বলতে পারতো না। ২-৩ বছর হবে বাচ্চার। একটু একটু কথা বলতে পারে।
এখন আমার মনে টেনশন আসতেছে বাচ্চা তো কথা বলতে পারে না,  বাচ্চা আমাকে দুষ্টুমি করেও বিয়ের কথা বলতে পারবে না। কিন্তু  আমি কি  এমন কিছু বলছিলাম কি না এই বাচ্চাকে যে, এই রিফাত আমাকে বিয়ে করো। করবা আমাকে বিয়ে? তখন কি বাচ্চার মা বাচ্চাকে কিছু শিখায় দিয়েছিলো কিনা  যে,  হ্যা রিফাত বলো - বিয়ে করলাম। এমন হয়েছিল কিনা আমার মনে পড়ে না।  এত আগের কথা আমার ভালো করে মনে নেই তখন কি হয়েছিল।  কিন্তু আমার বার বার মনের মধ্যে এসব ঘুরতে থাকে। আমার পাগল পাগল লাগে। কারন আমাকে একজন বলেছিল যে, কোনো ছেলে মেয়ে যদি এমন বলে আমাকে বিয়ে করো, আর উত্তরে কেউ যদি বলে আচ্ছা বিয়ে  করলাম, তাহলে নাকি আসে পাশের  অপরিচিত কোনো মানুষ শুনলেও সাক্ষী হয়ে যায়। আর বিয়ে হয়ে যায়। এটা শুনার পর থেকেই আমি খালি ভাবি আমি কি কোথাও কারো সাথে বিয়ে নিয়ে  এমন বলেছিলাম কিনা।
তখন নিজেকে বুঝাই আমি, যে না আমি এভাবে কোনোদিন দুইজন পুরুষ এর সামনে, বাচ্চা(রিফাত) কে এভাবে বিয়ের কথা  বলিনি।  তখন আমার মনে আবার টেনশন হয়, সেখানে তো একজন পুরুষ ঘরে ছিল, আর ২-৩ জন মহিলা ছিল, যদি এমন আমি বলে থাকি তাহলে তারা কি সাক্ষী হয়ে যাবে??  দয়া করে জানাবেন হুজুর।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

★বাহরুর রায়েক গ্রন্থে আছেঃ-

وَتَمَامُهُ فِي الْفَصْلِ السَّابِعَ عَشَرَ فِي النِّكَاحِ بِالْكِتَابَةِ مِنْ الْخُلَاصَةِ، وَقَيَّدَ بِالْإِيجَابِ وَالْقَبُولِ؛ لِأَنَّهُ لَا يَنْعَقِدُ بِالْإِقْرَارِ فَلَوْ قَالَ بِحَضْرَةِ الشُّهُودِ: هِيَ امْرَأَتِي، وَأَنَا زَوْجُهَا، وَقَالَتْ: هُوَ زَوْجِي، وَأَنَا امْرَأَتُهُ لَمْ يَنْعَقِدْ النِّكَاحُ؛ لِأَنَّ الْإِقْرَارَ إظْهَارٌ لِمَا هُوَ ثَابِتٌ، وَلَيْسَ بِإِنْشَاءٍ 
সারমর্মঃ
ইজাব কবুলের সাথে বিবাহকে মুকায়্যাদ করা হয়েছে।কেননা ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ শুদ্ধ হয়না।
সুতরাং কেহ যদি সাক্ষীদের সামনে বলে যে সে আমার স্ত্রী আর আমি তার স্বামী,আর মহিলাটিও বলে যে সে আমার স্বামী আর আমি তার স্ত্রী,তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
কেননা স্বীকারোক্তি বলা হয় যাহা আগে থেকে প্রমানিত, সেটি প্রকাশ করা,নতুন ভাবে কোনো কিছু হওয়া নয়।
(বাহরুর রায়েক-৩/৯০)

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ

النكاح ينعقد بالإيجاب والقبول بلفظين يعبر بهما عن الماضي لأن الصيغة وإن كانت للإخبار وضعا فقد جعلت للإنشاء شرعا دفعا للحاجة وينعقد بلفظين يعبر بأحدهما عن الماضي وبالآخر عن المستقبل مثل أن يقول زوجني فيقول زوجتك لأن هذا توكيل بالنكاح والواحد يتولى طرفي النكاح الھدایۃ، ج:1، ص:185، ط:دار احياء التراث العربي - بيروت - لبنان
সারমর্মঃ
বিবাহ ইজাব কবুল দ্বারা সম্পন্ন হয়,দুটির একটি অতিতকাকাল সূচক বাক্য হবে,আরেকটি বর্তমান কাল বুঝায় এমন বাক্য হতে হবে।

হেদায়া গ্রন্থে আছেঃ 
وینعقد بلفظ النکاح والتزویج والہبة والتملیک والصدقة )
সারমর্মঃ  
বিবাহ,তাযয়িজ,হিবা,তামলিক,সদকাহ এই জাতীয় বাক্য গুলি দ্বারা বিবাহ সম্পন্ন হয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে সেই সময়ে আপনার ইজাব কবুল হয়নি। সুতরাং আপনার বিবাহ হয়নি।

আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন,কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...