আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আমি IOM এ ভর্তি ছিলাম তবে যখন দেখি সবাই মিলে একসাথে মোনাজাত করছে,যেটা আমার এই তুচ্ছ জ্ঞানে বিদআত।সহিহ হাদিস অনুযায়ী সম্মিলিত মোনাজাত করার কথা কোথায় বলা হয়েছে?হঠাৎ দেখলাম অনেকে লেখালেখি করছে IOM এর আকিদা বিভ্রান্ত।সালাফি আকিদা কি বিশুদ্ধ?দেওবন্দরা নাকি ইমাম আবু হানিফার আকিদা গ্রহণ করে নি?আমি এক দ্বীনের বুঝ পাওয়া এক যুবক।যখন জ্ঞান অর্জনে ছুটে চলছি তো দেখছি সালাফী হানাফী দ্বন্দ।আকিদা নাকি ভূল সঠিক আকিদা নাকি শুধুই সালাফি আকিদা বা আছারী আকিদা।আমি এই বেড়াজালে আটকা পড়ে আছি।আমাকে যদি বলতেন কোনটা সত্য আকিদা কুরআন ও সহিহ হাদিস দিয়ে।জাযাকাল্লাহু খয়রন

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ: أَتَى رَجُلٌ أَعْرَابِيٌّ مِنْ أَهْلِ البَدْوِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَتِ المَاشِيَةُ، هَلَكَ العِيَالُ هَلَكَ النَّاسُ، «فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ، يَدْعُو، وَرَفَعَ النَّاسُ أَيْدِيَهُمْ مَعَهُ يَدْعُونَ»

হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা একজন গ্রাম্য সাহাবী রাসূল সাঃ এর কাছে আসলেন জুমআর দিন। এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জিনিস পত্র, পরিবার, মানুষ সবই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। একথা শুনে রাসূল সাঃ তার উভয় হাত উত্তলোন করলেন দুআর উদ্দেশ্যে। উপস্থিত সবাই রাসূল সাঃ এর সাথে দুআর জন্য হাত উত্তোলন করলেন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১০২৯}

عَنْ حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ الْفِهْرِيِّ – وَكَانَ مُسْتَجَابًا -: أَنَّهُ أُمِّرَ عَلَى جَيْشٍ فَدَرِبَ الدُّرُوبِ، فَلَمَّا لَقِيَ الْعَدُوَّ قَالَ لِلنَّاسِ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – يَقُولُ: ” «لَا يَجْتَمِعُ مَلَأٌ فَيَدْعُو بَعْضُهُمْ وَيُؤَمِّنُ سَائِرُهُمْ، إِلَّا أَجَابَهُمُ اللَّهُ» “.
ثُمَّ إِنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ احْقِنْ دِمَاءَنَا، وَاجْعَلْ أُجُورَنَا أُجُورَ الشُّهَدَاءِ،
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ وَقَالَ: الْهَنْبَاطُ بِالرُّومِيَّةِ: صَاحِبُ الْجَيْشِ. وَرِجَالُهُ رِجَالُ الصَّحِيحِ غَيْرَ ابْنِ لَهِيعَةَ، وَهُوَ حَسَنُ الْحَدِيثِ.

হযরত হাবীব বিন মাসলামা আলফিহরী রাঃ। যিনি মুস্তাজাবুদ দাওয়া ছিলেন। তাকে একবার একটি বাহিনী প্রধান নিযুক্ত করা হয়। যুদ্ধের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের পর তিনি যখন শত্রুর সম্মুখিন হলেন। তখন লোকদের বললেন, আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন “যখনি কোন দল একত্র হয়, তারপর তাদের কথক দুআ করে, আর অপরদল আমীন বলে তখন আল্লাহ তাআলা তা কবুল করে নেন”।
এ হাদীস বলার তিনি [হাবীব বিন মাসলামা রাঃ] হামদ ও সানা পড়লেন। তারপর বললেন, হে আল্লাহ! তুমি আমাদের প্রাণ রক্ষা কর। আর আমাদের শহীদের সওয়াব দান কর।
{মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৭৩৪৭, মুস্তাতাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস নং-৫৪৭৮, আলমুজামুল কাবীর, হাদীস নং-৩৫৩৬}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নবী করিম (সা.) বিভিন্ন সময় দোয়া করেছেন, যেমন,সাহাবাদের নিয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেছেন, আরাফাতের ময়দানে দোয়া করেছেন, কখনো কখনো খাওয়ার পরও দোয়া করেছেন।

আরো যে সকল স্থানে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সম্মিলিত মুনাজাতের প্রমাণ রয়েছে। যেমন, নামাজের পর, সূর্যগ্রহণের সময়,কাহারো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সংবাদ শোনার পর, যুদ্ধের ময়দানে শত্রুর সম্মুখিন হওয়ার সময়, প্রভৃতি জায়গায়; এ সকল স্থানে সম্মিলিত মুনাজাত করা জায়েজ।

ফরজ নামাজের পর সম্মিলিত মুনাজাত সম্পর্কে জানুনঃ- 

ফরজ নামাজের পর হাত তুলে মুনাজাত জায়েজ কিনা?
এ সময়ে সম্মিলিত মুনাজাত জায়েজ কিনা?
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 
https://ifatwa.info/52832/

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আমাদের আকীদা বিভ্রান্তকর নয়।
আমরা সালাফী হানাফী দ্বন্দ কেও সমর্থন করিনা। আমরা সকল মুসলিমের ঐক্যে বিশ্বাসী। আমরা আমাদের কথায়,ফতোয়াতে কোথাও ভিন্ন মাযহাবের/ভিন্ন মতানুসারীদের গালি দেয়না,সকলকে সম্মান করি।

সালাফী হানাফী সকলকেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত বলে বিশ্বাস করি। 

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 
https://ifatwa.info/69471

সালাফি আকীদা,আছারী আকীদা সংক্রান্ত জানুনঃ- 
https://ifatwa.info/4019/
https://ifatwa.info/79706/

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...