আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
51 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (25 points)
আস সালামু আলাইকুম।
একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেখলাম, গরু কে গুলি করে দুর্বল করে তারপর জবাই করা হচ্ছে। এভাবে কুরবানী করলে কি ওই পশু হারাম হয়ে যাচ্ছে না? একটু বিস্তারিত বলবেন অনুগ্রহ করে। কুরবানী কি শুদ্ধ হবে? অথবা কুরবানী বাতিল হলেও  সাধারণ ভাবে কি খাওয়া হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জবেহের রুকুন বা ফরযতুল্য বিষয় হচ্ছে,শরয়ী জবেহ হওয়া। শরয়ী জবেহের পদ্ধতি হল
 فَرُكْنُهَا الذبح........إلي ان قال .......
، وَالذَّبْحِ هُوَ فَرْيُ الْأَوْدَاجِ وَمَحَلُّهُ مَا بَيْنَ اللَّبَّةِ وَاللَّحْيَيْنِ، َ
জবেহের মাধমে প্রাণী হালাল হওয়ার রুকুন বা ফরযতুল্য বিষয় হচ্ছে জবেহ করা। এবং জবেহ বলা হয় শাহরগকে কর্তন করা,এবং তার স্থান হচ্ছে, বক্ষের উপরিভাগ থেকে চোয়ালের হাড় পর্যন্ত। (ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/২৮৫)

ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে,যবেহের মধ্যে উপরোক্ত শর্ত পাওয়া গেলে প্রাণী হালাল হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/379

পশু হালাল হওয়ার জন্য জবাই করা শর্ত। জবাই বলতে শাহ রগকে কর্তন করা। যদি কোনো পশু এমন হয় যে, তাকে কোনো ভাবেই কাবু করা যাচ্ছে না, তাহলে এমন পশুর শরীরের যে কোনো অংশে ধারালো কিছু দ্বারা যখম করে মেরে ফেললেই, সেই পশুটি শিকারের মত হালাল হয়ে যায়। 
ولا يحل صيد البندقة و الحجر و المعراض و العصا و ما أشبه ذلك و إن خرق ذلك لأنه لا يخرق إلا أن يكون شيء من ذلك قد حدد و طوله كالسهم و أمكن أن يرمي به فإن كان كذلك و خرقة بحده حل أكله * فأما الجرح الذي يدق في الباطن ولا يخرق في الظاهر لا يحل لأنه لا يحصل انهار الدم(قاضي خان ،كتاب الصيد و الذبائح،ج3،ص255)
وأما الاضطرارية فركنها العقر وهو الجرح في أي موضع كان وذلك في الصيد، وكذلك ما ند من الإبل والبقر والغنم بحيث لا يقدر عليها صاحبها لأنها بمعنى الصيد، وإن كان مستأنسا، وسواء ند البعير والبقر في الصحراء أو في المصر فذكاته العقر۔(الفتاوي الهندية كتاب الذبائح ،الباب الأول في ركن الذبح وشرائطه،ج5،ص328)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গরুকে যদি গুলি করে দুর্বল করা হয়, এবং মৃত্যুর পূর্বে জবাই করে নেয়া হয়, তাহলে সেটা ভক্ষণ জায়েয হয়ে যাবে। যদিও এই পদ্ধতিটি শরয়ীয়ত সমর্থিত নয়। 

যদি পশুটি সহজেই জবাই যোগ্য হয়, অতঃপর জবাই না করে প্রথমে গুলি করা হয়,তারপর জবাই করা হয়,তাহলে এদ্বারা কুরবানি আদায় হবে না।কেননা জবাইয়ের পূর্বে পশুটি দোষী হয়ে গেছে, আর দোষী পশু দ্বারা কুরবানি আদায় হয় না। হ্যা, গোস্ত ভক্ষণ করা জায়েয হবে। কেননা মৃত্যুর পূর্বে তো পশুটিকে জবাই করে নেয়া হয়েছে। তবে যদি পশুটি এমন হয় যে, সহজে জবাই যোগ্য নয়, পশুকে কোনোভাবেই কাবু করা যাচ্ছে না, তাহলে এমতাবস্থায় প্রথমে গুলি করে দুর্বল করার পর যদি জবাই করা হয়, তাহলে এদ্বারা কুরবানি আদায় হয়ে যাবে।

ولو قدم أضحية ليذبحها فاضطربت في المكان الذي يذبحها فيه فانكسرت رجلها ثم ذبحها على مكانها أجزأه وكذلك إن انفلتت عنه البقرة فأصيبت عينها فذهبت والقياس أن لا تجوز وجه القياس أن هذا عيب دخلها قبل تعيين القربة بها فصار كما لو كان قبل حال الذبح وجه الاستحسان أن هذا مما لا يمكن الاحتراز عنه لأن الشاة تضطرب فتلحقها العيوب من اضطرابها وروي عن أبي يوسف رحمه الله تعالى أنه قال لو عالج أضحية ليذبحها فكسرها أو اعورت فذبحها ذلك اليوم أو من الغد فإنها تجزي۔(الفتاوى الهندية، كتاب الأضحية، الباب الخامس في بيان محل إقامت الواجب، ج:5، ص:345)
ولو ذهب عينها الواحدة أو انكسر رجلها في معالجة الذبح بأن انفلتت الشفرة فعورتها ينظر إن لم يرسلها جاز وإن ضحى بعد ما أرسلها في وقت آخر في يومه ذلك وفي أيام النحر لم يذكر هذا الفصل في الأصل، وروي عن أبي يوسف أنه تجوز به أخذ الزعفراني وفي الحاوي وإن أصاب ذلك من غير معالجة لاتجوز۔(الفتاوى التاتارخانية، كتاب الأضحية، الفصل الخامس في بيان ما يجوز من الضحايا ومالا يجوز، ج:17، ص:433)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 156 views
...