وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০৩)
এক্ষেত্রে আপনি এখানে প্রাইভেট মেসেজ পাঠাতে পারেন।
(০৪)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ ۖ فَرِيضَةً مِنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ [٩:٦٠]
যাকাত হল কেবল ফকির, মিসকীন, যাকাত আদায় কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদে হক এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে-ঋণ গ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। {সূরা তাওবা-৬০}
মোট ৮ ধরণের ব্যক্তিকে যাকাত দেয়ার কথা কুরআনে বর্ণিত। যথা-
১- গরীব। যার সম্পদ আছে কিন্তু নেসাব পরিমাণ মালের মালিক নয়।
২- মিসকিন। যার একদমই কোন সম্পদ নেই।
৩- ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের জন্য শরীয়ত নির্দিষ্ট যাকাত আদায়কারী আমেল। এটা ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধান দ্বারা নিযুক্ত হতে হবে। নিজে নিজে মনে করে নিলে হবে না। {জাওয়াহিরুল ফিক্বহ-৬/৬৯}
৪- নব মুসলিমদের ইসলামের প্রতি মোহাব্বত বাড়ানোর জন্য উৎসাহমূলক যাকাত প্রদান।
এ বিধানটি রহিত হয়ে গেছে। তাই বর্তমানে কোন ধনী নওমুসলিমকে যাকাত প্রদান জায়েজ নয়। {হিদায়া-১/১৮৪, মাআরিফুল কুরআন-৪/১৭১, তাফসীরে মাযহারী-৪/২৩৫}
৫- দাসমুক্তির জন্য। যেহেতু বর্তমানে দাসপ্রথা নেই। তাই এ খাতটি বাকি নেই।
৬- ঋণগ্রস্তের জন্য।
৭- ফী সাবিলিল্লাহ। তথা আল্লাহর রাস্তায় থাকা ব্যক্তিদের জন্য। এখন প্রশ্ন হল আল্লাহর রাস্তায় কারা আছে? ফুক্বাহায়ে কেরাম বলেন এতে রয়েছেন-
জিহাদরত মুজাহিদরা। তাদের জিহাদের অস্ত্র ও পাথেয় ক্রয় করার জন্য যাকাতের টাকা গ্রহণ করবে। হজ্বের সফরে থাকা দারিদ্র ব্যক্তির জন্য। ইলমে দ্বীন অর্জনকারী দারিদ্র ব্যক্তির জন্য। {আদ দুররুল মুখতার-৩৪৩, হিদায়া-১/১৮৫, রূহুল মাআনী-৬/৩১৩}
৮- সফররত ব্যক্তিকে। যার টাকা পয়সা আছে বাড়িতে। কোন সফর অবস্থায় অসহায়। তাকে যাকাতের টাকা দেয়া জায়েজ।
যাকাতের ক্ষেত্রে উকিল বানানো জায়েজ আছে। তবে উকিল নিজ পরিবারের কাউকে তাহা দিলে এক্ষেত্রে শরীয়তের নিয়ম মানতে হবে।
قال الحصکفی: وللوکیل أن یدفع لولدہ الفقیر وزوجتہ لا لنفسہ إلا إذا قال ربہا ضعہا حیث شئت۔( الدر المختار مع رد المحتار:۱۸۸/۳، کتاب الزکاة، زکریا، دیوبند)
সারমর্মঃ
উকিল তার ফকির সন্তান,স্ত্রীকে যাকাতের টাকা দিতে পারবেন।
নিজে নিতে পারবেনা।
কিন্তু যদি মালিক বলে যে যেখানে ইচ্ছা, সেখানে দাও,তাহলে সে ফকির হলে নিজেও সেটা নিতে পারবে।
قال ابن
نجیم:وللوکیل بدفع الزکاة أن یدفعہا إلی ولد نفسہ کبیرا کان أو صغیرا، وإلی امرأتہ إذا کانوا محاویج، ولا یجوز أن یمسک لنفسہ شیئا اہ۔إلا إذا قال ضعہا حیث شئت فلہ أن یمسکہا لنفسہ کذا فی الولوالجیة۔ ( البحر الرائق:۳۶۹/۲، کتاب الزکاة، دار الکتب العلمیة، بیروت)
সারমর্মঃ
উকিল তার ফকির সন্তান চাই সে বড় হোক বা ছোট হোক,স্ত্রীকে যাকাতের টাকা দিতে পারবেন।
কিন্তু সে নিজে নিতে পারবেনা।
কিন্তু যদি মালিক বলে যে যেখানে ইচ্ছা, সেখানে দাও,তাহলে সে ফকির হলে নিজেও সেটা নিতে পারবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যাকাত এর টাকা যদি আম্মু কে দিয়ে বলেন যে অমুককে দিয়ে দিও, আর আপনার আম্মু আপনার কথা মতে সেই গরিবকে দেয়,তাহলে যাকাত আদায় হবে।
(০৫)
মৃত মানুষের পক্ষ থেকে কুরবানী দিলে সেই গোশত খাওয়া যায়।
এটির বিধান অন্যান্য কুরবানীর গোশতের ন্যায় একই।
(০৬)
একটা গরুর যদি ৬ ভাগ মৃত মানুষের পক্ষে কুরবানী দেয়া হয় আর ১ ভাগ জীবিত মানুষের পক্ষ থেকে দেয়া হয়, তাহলে দেয়া যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
(১.২.৭.৮.৯.১০.১১.১২.১৩.১৪.১৫.১৬)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।
আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।