আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

১. যদি আমি জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তাহলে পরবর্তী বছর জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে যে সম্পদ থাকবে তার ২.৫% নাকি ২.৬% যাকাত দিতে হবে?

২. ঘটনা (ক):

আমি একদিন  সকালে শুয়ে ছিলাম। আমার হাসব্যান্ড এসে আমাকে ভোর হলো দোর খোলো এই ছড়াটা শুনাচ্ছিল । খুকুমণি উঠরে এই লাইনটা একটু জোর দিয়ে বলে তারপর আবার ছড়া টা কন্টিনিউ করে। এই টা কি জিহার হিসাবে গণ্য হবে?

ঘটনা (খ):

আমার হাসব্যান্ড: ছোট বাচ্চারা কখন কথা বলা শিখে?

(১-২ সেকেন্ড থেমে) মাম্মাম

আমি: ঠিক নাই

আমার হাসব্যান্ড : তোমার বান্ধবীর তার ছেলের উপর আরো মায়া বসবে যখন তার ছেলে তাকে মাম্মাম/মা বলে ডাকবে।ছোটরা কথা শিখলে বলবে মমমমমা

এইটা কি জিহার এর মধ্যে পড়বে?

ঘটনা (গ) :
আম পাতা জোড়া জোড়া এই ছড়া টা বলছিলো আমার হাসব্যান্ড আমাকে শুনায় শুনায়।ওরে বুবু সরে দাঁড়া  আসছে আমার পাগল ঘোড়া বলে হয়তো আমাকে সরে দাঁড়াতে ইশারা করেছে।আমি সরে গেছি। এইটা কি জীহার হবে?

ঘটনা (ঘ) :
আঘাত পেয়ে আমার হাসব্যান্ড যদি আমার সামনে মা গো বলে চিল্লায় তাহলে কি জীহার হবে?

৩. আমার একটা প্রশ্ন ছিল যেইটা আমি পাবলিক ভাবে করতে চাইছি না।অন্য কোনো ভাবে কি আপনাদের প্রশ্ন করা যাবে ?? কল না দিয়ে প্রশ্ন করার কোনো উপায় আছে??

৪. যাকাত এর টাকা যদি আম্মু কে দিয়ে বলি অমুকে দিয়ে দিও তাহলে হবে?

৫. মৃত মানুষের পক্ষ থেকে কুরবানী দিলে সেই মাংস খাওয়া যায়?(ওসিয়ত করে যায়নি যে তাদের নামে কুরবানী করতে হবে?

৬. একটা গরুর যদি ৬ ভাগ মৃত মানুষের পক্ষে কুরবানী দিয়া হয় আর ১ ভাগ জীবিত মানুষের পক্ষে তাহলে কি দিয়া যাবে?

৭.ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত  কেউ যদি কেনায়া/ডিভোর্স সম্পর্কিত কোনো কথা  মুখে উচ্চারণ বলে ফেলে তাহলে কি হবে?বলে ফেলার পর যদি ভুলেও যায় তাহলে কি হবে?

৮. শশুর আব্বার লুঙ্গি কিছুটা হাঁটুর উপর উঠে গেছিল তাই আব্বার পা হাঁটুর একটু উপরে পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। হটাৎ চোখ পড়ে যায় সেই দিকে।কোনো সমস্যা হবে কি? হুরমত কি কথা দিয়ে হয়?

৯.ফরয গোসল দিয়ার ২-৩ ঘণ্টা পর যদি মনে হয় কোনো অঙ্গ ভিজে নাই।তখন যদি শুধু সেই অঙ্গ ভিজানো হয় তাহলে হবে নাকি পুনরায় ফরয গোসল দিতে হবে?

১০.স্বপ্নদোষ হওয়ার কিছুক্ষন পর ঘুম থেকে উঠে যদি সাদা স্রাব( নরমাল যে স্রাব যায় প্রতিদিন মেয়েদের) দেখা যায় আর কাপড়ে অল্প পরিমাণ একেবারে  শুকনা হালকা হলুদ স্রাব দেখা যায়।তাহলে কি ফরয গোসল দিতে হবে?

১১.আম্মুকে বলছিলাম যে বেয়াই(আমার শশুর,চাচা শশুর, সৎ বাবা,আংকেল) দের এক রকম ড্রেস নিবো।তাহলে প্রবলেম হবে? এইটা বলার সময় মনে হলো বেয়াই তো আমার না,আম্মুর।তাহলে কি বেয়াইদের বলা আমার ঠিক হলো?

১২.দাতে ফিলিং ,রুট ক্যানেল, ক্যাপ পড়লে কি অজু,ফরয গোসল হবে?

১৩.শশুর বাড়ির কোনো ঘটনা বুঝাতে তোমাদের ঐদিকের আর বাবার বাড়ির ঘটনা বুঝাতে আমাদের এইদিকের যদি বলা হয় তাহলে সমস্যা হবে?বলার সময় মনে হচ্ছিল এই ভাবে বলা যাবে না। আবার আমার হাসব্যান্ড ও এইভাবে ঘটনার বর্ণনা দেয়।আমার বাবার বাড়ির দিকের ঘটনা বুঝায় তোমাদের ঐদিকের বলে আর আমার শশুরবাড়ির ঘটনা বুঝায় আমাদের এই দিকের বলে।সমস্যা হবে কি? আমি মাথা নাড়ায় হা বলি (মানে সে যে ঘটনা বলছে টা ঠিক)।

১৪.

ঘটনা : a

হাসব্যান্ড: সে তার ভাই এর জন্য সব কিছু স্যাক্রিফইস করতে পারবে ।

আমি: হুম( হুম বলার সময় মনে হচ্ছিল আমাকেও স্যাক্রিাইস/ডিভোর্স দিয়ে দিতে পারো/পারবে)।

ঘটনা b :  রাতের বেলা ঘুমাচ্ছিলাম। ঘুম ভাঙ্গার পর আমার মনে হলো হাসব্যান্ড এর পাশ থেকে সরতে হবে।দিয়ে মনে হলো সরতে হবে মানে ডিভোর্স নাতো?দিয়ে আমি সরে অন্য পাশ হয়ে ঘুমাই গেলাম।

ঘটনা c : একটা  ভিডিওতে দেখলাম একটা মেয়ে বললো আমি তোমাকে কখনো হাসব্যান্ড হিসাবে মেনে নিবো না।এইটা শুনে আমি ডান দিকে মাথা টা কাত  করি।

ঘটনা d : হাসব্যান্ড কে এ সপ্নের কথা বলছিলাম যে আমি স্বপ্নে দেখছি পরিচিত এক হিন্দু ভাইকে আমি কলেমা পড়াচ্ছি(এই কথা বলার সময় মনে হচ্ছিল ভাই কি তাহলে আমার উসিলায় মুসলিম হবে? ভবিষ্যতে  কি ভাইয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হবে? ইচ্ছা করে এমন ভাবিনি, এমনি মনে হইসে)

ঘটনা e : হাসব্যান্ড কে বলেছি ক্ষুদা লাগছে।

হাসব্যান্ড:  ভাত আছে/ভাত খাও

আমি: আমি ভাত(এইটুকু বলার পর মনে হলো হাসব্যান্ড এর ভাত না খাওয়া মনে ডিভোর্স হওয়া) তারপর চোখ ছোট ছোট করে বলি "খাবো না"।(এমন টা করেছি ৯০% সিউর)

এমনকি খাবো না যখন লিখছিলাম মনে হচ্ছিল হাসব্যান্ড এর ভাত খাবো না।আমি ইচ্ছা করে এমন ভাবি নাই।লিখার সময় অচেতন ভাবে মনে হয়েছে।এইটা তেও কি সমস্যা হবে?

ঘটনা f : একবার আমার হাসব্যান্ড আমাকে মিস: আমার নাম বলে ডাকে।আমি বলি এখন মিসেস হবে।তো আমার হাসব্যান্ড বলে ভুল করে বলেছে।মিস আর মিসেস এর মধ্যে ভুল হয়ে যায়।

ঘটনা g:
হাসব্যান্ড: মানুষের বউ হবে

আমি: তুমি আমাকে মানুষের বউ বললে?

হাসব্যান্ড: না।আমি বলছি মানুষের বউ কত দয়ালু হয় আর আমার বউ নিষ্ঠুর।

আমি সহজে ভুলে যায়।তাই ঘটনা গুলো লিখে রাখি পরে এক সঙ্গে প্রশ্ন গুলো করি।প্রশ্ন গুলো i.fatwa তে করার সময় যখন টাইপ করি ঘটনা গুলো মনে পড়ে যায় আর আমি সেইগুলা লিখে প্রশ্ন করি।এইটা নিয়ে কোনো সমস্যা হবেনা তো?আমি এই টপিক টা অনেক ভয় পাই।এই নিয়ে প্রশ্ন করতে/টাইপ করতেও ভয় পায় কিন্তু টাইপ করার সময় মনে হয় আমি যেনো এই বিষয়টা নিয়ে অনেক এক্সসাইটেড।আমি এই বিষয়টা চাইছি কিন্তু এমন না।এই সব ঘটনার কথা গুলো কি কেনায় বাক্য এর মধ্যে পড়বে?বিয়ের কোনো সমস্যা তো হবে না?

ঘটনা h :  আমি মনে মনে আউজুবিল্লাহহিমিনাস শাইতনির রজীম  পড়ছিলাম। পড়তে পড়তে মনে হলো এক জায়গায় পড়ছিলাম এক মেয়ে কে বিয়ের পর নবীজী(সা) যখন সেই স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন সেই স্ত্রী বলেন আউযুবিল্লাহ।তাই নবীজী (সা) ঐ স্ত্রীকে তালাক দেন।(আমি জানিনা এইটা কতটুকু সত্য।এক জায়গায় পড়ছিলাম) ।এরপর মনে হলো আমি আমার হাসব্যান্ড থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই(এইটা আমি ইচ্ছা করে ভাবিনি।চলে আসছে মনে)। এই কথা মনে হওয়ার সময় আমার ঠোট কিছুটা নড়ে মুখ অল্প হা হয়ে যায়।কিন্তু আমি উচ্চারণ করে কিছুই বলিনি।যা বলেছি মনে মনে আর লিখে আপনাদের কাছে প্রশ্ন করছি।কোনো সমস্যা হবে কি এমন কথা দিয়ে আমার বিয়ের?

ঘটনা I : আমি রাজশাহী(মনে মনে স্থানীয়,কিন্তু এখন তো এইটা বলা যাবে না) থাকি তখন। এইটা কি কেনায় বাক্য হবে?আমি তো এখন আমার হাসব্যান্ড এর সঙ্গে অন্য জায়গায় থাকি।

ঘটনা j :অনিচ্ছাকৃত ভাবে এইটা মনে হয় আমার হাসব্যান্ড এর ভাত খাবো না।এই কথা মনে হওয়ার সময় আমি খাবার চিবাচ্ছিলাম।এমনকি এই কথা গুলো লিখছি প্রশ্ন করার জন্য।কোনো সমস্যা হবে কি?

ঘটনা k : আম্মুকে বলছিলাম যে আমার হাসব্যান্ড বলেছে তুমি যদি ঐ জায়গায় থাকো তাহলে থাকার মত করে বাড়ি বানাবে আর যদি ভাড়া দাও তাহলে ভাড়া দিয়ার মত বাড়ি বানাও।এই কথা বলার সময় তুমি দিয়ে আম্মুকে বোঝালেও মনে মনে তুমি দিয়ে নিজেকে বুঝানো হয়েছে অবচেতন ভাবে।

ঘটনা L: একটা আন্টির ডিভোর্স হয়ে গেছে।আণ্টি আংকেলকে বলেছিল আপনি তো আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছেন।আন্টির এই কথা টা আমার মনে পরে যায় আর তখন আমি মাথা নাড়ায়।

ঘটনা M: হজ্জের বিষয়ে কথা বলছিলাম।মাহরাম(মনে মনে অনুপস্থিত বলেছি) এর আগে আর পরে কি বলেছি মনে নাই।

ঘটনা N : আমার এফবি আইডি তে মেরিড উইথ আমার হাসব্যান্ড এর আইডি দিয়া।আমি আইডি ডিএকটিভ করে দিবো তখন মনে হলো যে আমি যদি ডিএকটিভ করি তাহলে তো আমার হাসব্যান্ড এর আইডি তে মেরিড উইথ আমার আইডি দেখাবে না, তাহলে কি সেইটা ডিভোর্স বুঝাবে।তাও আমি আইডি ডিএকটিভ করি।

এই সমস্যা লিখছিলাম ডিভোর্স ওয়ার্ড টা যখন লিখলাম তখন মনে হলো ডিভোর্স দিলাম/নিলাম(ইচ্ছা করে না)। একটা ফতওয়া পড়েছিলাম যে একটা আপুর নিলাম/দিলাম শুনলেই ডিভোর্স এর কথা মাথায় আসে।এই টা পড়ার পর থেকে আমার ও সমস্যা হচ্ছে।না চাইতেও অবচেতন ভাবে এই কথা গুলা মনে হচ্ছে মাঝে মাঝে।

ঘটনা O: আউযুবিল্লাহি  পড়ার পর হটাত আমার হাসব্যান্ড এর কথা মনে পড়ে যায়।ব্যাপার টা এমন যে আউযুবিল্লাহি( মুখে উচ্চারণ করে) হাসব্যান্ড এর নাম(অনিচ্ছা কৃত ভাবে মনে মনে)

ঘটনা  p : কাশতে কাশতে তালাক সম্পর্কিত কিছু মনে মনে পড়ে ফেললে সমস্যা হবে? বিবাহিত বেচেলর  এর টা কাশতে কাশতে পড়েছি মনে মনে।

ঘটনা Q  : খেতে খেতে অনিচ্ছাকৃত ভাবে তালাক দিলাম বলে ফেলি।যেহেতু খাচ্ছিলাম তাই জিহ্ববা ,দাত নড়ছে। আবার একদিন জিহ্ববা নাড়াচ্ছিলাম তখন তালাক দিলাম/নিলাম মনে হয়।এইগুলো কোনোটাই ইচ্ছা করে করিনি।

ঘটনা R : কাজ করছিলাম হটাত মনে হলো যে আমার হাসব্যান্ড এর ভাত খাবো না( ইচ্ছা করে মনে করিনি) । এই কথা মনে হওয়ার সময় আমি জিনিস রাখার জন্য মাথা ডান দিকে ঘুরায়।এই সব বিষয়ে প্রশ্ন করার সময় হটাত চোখের পাতা নিচে নামে আর চোখ বন্ধ হয়ে যায়

ঘটনা S:
আংকেল: তোমার দেশের বাড়ি কোথায়?

আমি: রাজশাহী (মনে মনে এখন কি আমার দেশের বাড়ি রাজশাহী বলা ঠিক হবে?আমার শশুরবাড়ি তো রাজশাহী না)

ঘটনা T:
আমি: তুমি আমার নেশা

হাসব্যান্ড: নেশা হারাম

ঘটনা U: হাসব্যান্ড কে ধরে রাখছিলাম।হাত ছাড়ছি এই বাক্য টা নিয়ে আমার সমস্যা হয়।তাই হাত ছাড়ার/সরানোর সময় অন্যকিছু বলে/করে নিজেকে ডাইভার্ট করার চেষ্টা করি।হাত সরানোর সময় মনে মনে বলি আল্লাহ রহম করেন।পরক্ষণে মনে পড়ে যায় হাত ছাড়ছি বলতে ডিভোর্স বুঝায়।তখন আমি পুরাটা হাত সরাই না।কিছুক্ষন পর পুরা হাত সরাই।

আমি এই প্রশ্ন লিখার সময় ডিভোর্স ওয়ার্ড টা লিখছি আর মনে মনে বলছি কখনো নিজের জন্য এই জিনিস চাই না।অবচেতন মনে কে যেনো বলছে চাই।আমি আবার বলছি কখনো চাই না।

ঘটনা V : হাসব্যান্ড এর কাঁধে থেকে মাথা উঠানোর সময় মনে মনে বলছি যে কমফোর্ট ফিল করার জন্য মাথা সরাচ্ছি কিন্তু পরক্ষণে মনে হলো যে তালাক এর জন্য মাথা সরাচ্ছি(এইটা আমি ভাবতে চাইনি,অনিচ্ছা ভাবে মনে হইছে)।

১৪ নম্বরে বর্ণিত ঘটনার জন্য আমাদের বিয়ের সমস্যা হবে না তো? এই যে আমি কথা গুলা মনে মনে ভাবলেও লিখে (কাজের মাধ্যমে) আপনাদের জিজ্ঞেস করছি এইটা তে সমস্যা হবে?

১৫. কথা বলতে বলতে হটাত সামনে ডিভোর্স ওয়ার্ড টা আসলো র মনে মনে সেইটা উচ্চারণ করলে সমস্যা হবে?

১৬.তালাক সম্পর্কিত কোনো কথা মনে মনে বললাম কিন্তু মুখে উচ্চারণ করলাম না।এই সব কথা মনে মনে বলার সময় যদি মাথা নড়ানো হয়,হাত নড়ানো হয় কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০৩)
এক্ষেত্রে আপনি এখানে প্রাইভেট মেসেজ পাঠাতে পারেন।

(০৪)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ ۖ فَرِيضَةً مِنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ [٩:٦٠]

যাকাত হল কেবল ফকির, মিসকীন, যাকাত আদায় কারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদে হক এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে-ঋণ গ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। {সূরা তাওবা-৬০}

মোট ৮ ধরণের ব্যক্তিকে যাকাত দেয়ার কথা কুরআনে বর্ণিত। যথা-
১- গরীব। যার সম্পদ আছে কিন্তু নেসাব পরিমাণ মালের মালিক নয়।
২- মিসকিন। যার একদমই কোন সম্পদ নেই।
৩- ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের জন্য শরীয়ত নির্দিষ্ট যাকাত আদায়কারী আমেল। এটা ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধান দ্বারা নিযুক্ত হতে হবে। নিজে নিজে মনে করে নিলে হবে না। {জাওয়াহিরুল ফিক্বহ-৬/৬৯}
৪- নব মুসলিমদের ইসলামের প্রতি মোহাব্বত বাড়ানোর জন্য উৎসাহমূলক যাকাত প্রদান।
এ বিধানটি রহিত হয়ে গেছে। তাই বর্তমানে কোন ধনী নওমুসলিমকে যাকাত প্রদান জায়েজ নয়। {হিদায়া-১/১৮৪, মাআরিফুল কুরআন-৪/১৭১, তাফসীরে মাযহারী-৪/২৩৫}
৫- দাসমুক্তির জন্য। যেহেতু বর্তমানে দাসপ্রথা নেই। তাই এ খাতটি বাকি নেই।
৬- ঋণগ্রস্তের জন্য।
৭- ফী সাবিলিল্লাহ। তথা আল্লাহর রাস্তায় থাকা ব্যক্তিদের জন্য। এখন প্রশ্ন হল আল্লাহর রাস্তায় কারা আছে? ফুক্বাহায়ে কেরাম বলেন এতে রয়েছেন-
জিহাদরত মুজাহিদরা। তাদের জিহাদের অস্ত্র ও পাথেয় ক্রয় করার জন্য যাকাতের টাকা গ্রহণ করবে। হজ্বের সফরে থাকা দারিদ্র ব্যক্তির জন্য। ইলমে দ্বীন অর্জনকারী দারিদ্র ব্যক্তির জন্য। {আদ দুররুল মুখতার-৩৪৩, হিদায়া-১/১৮৫, রূহুল মাআনী-৬/৩১৩}
৮- সফররত ব্যক্তিকে। যার টাকা পয়সা আছে বাড়িতে। কোন সফর অবস্থায় অসহায়। তাকে যাকাতের টাকা দেয়া জায়েজ।

যাকাতের ক্ষেত্রে উকিল বানানো জায়েজ আছে। তবে উকিল নিজ পরিবারের কাউকে তাহা দিলে এক্ষেত্রে শরীয়তের নিয়ম মানতে হবে।

قال الحصکفی: وللوکیل أن یدفع لولدہ الفقیر وزوجتہ لا لنفسہ إلا إذا قال ربہا ضعہا حیث شئت۔( الدر المختار مع رد المحتار:۱۸۸/۳، کتاب الزکاة، زکریا، دیوبند) 
সারমর্মঃ
উকিল তার ফকির সন্তান,স্ত্রীকে যাকাতের টাকা দিতে পারবেন।
নিজে নিতে পারবেনা।
কিন্তু যদি মালিক বলে যে যেখানে ইচ্ছা, সেখানে দাও,তাহলে সে ফকির হলে নিজেও সেটা নিতে পারবে।

قال ابن 
نجیم:وللوکیل بدفع الزکاة أن یدفعہا إلی ولد نفسہ کبیرا کان أو صغیرا، وإلی امرأتہ إذا کانوا محاویج، ولا یجوز أن یمسک لنفسہ شیئا اہ۔إلا إذا قال ضعہا حیث شئت فلہ أن یمسکہا لنفسہ کذا فی الولوالجیة۔ ( البحر الرائق:۳۶۹/۲، کتاب الزکاة، دار الکتب العلمیة، بیروت)
সারমর্মঃ
উকিল তার ফকির সন্তান চাই সে বড় হোক বা ছোট হোক,স্ত্রীকে যাকাতের টাকা দিতে পারবেন।
কিন্তু সে নিজে নিতে পারবেনা।
কিন্তু যদি মালিক বলে যে যেখানে ইচ্ছা, সেখানে দাও,তাহলে সে ফকির হলে নিজেও সেটা নিতে পারবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
যাকাত এর টাকা যদি আম্মু কে দিয়ে বলেন যে অমুককে দিয়ে দিও, আর আপনার আম্মু আপনার কথা মতে সেই গরিবকে দেয়,তাহলে যাকাত আদায় হবে। 

(০৫)
মৃত মানুষের পক্ষ থেকে কুরবানী দিলে সেই গোশত খাওয়া যায়।
এটির বিধান অন্যান্য কুরবানীর গোশতের ন্যায় একই।

(০৬)
একটা গরুর যদি ৬ ভাগ মৃত মানুষের পক্ষে কুরবানী দেয়া হয় আর ১ ভাগ জীবিত মানুষের পক্ষ থেকে দেয়া হয়, তাহলে দেয়া যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।

(১.২.৭.৮.৯.১০.১১.১২.১৩.১৪.১৫.১৬)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...