আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
পরিবারের কেউ একজন গুনাহে জড়িত, আমি তাকে নিষেধ করলাম এটা হারাম। করা যাবেনা। কিন্তু সে আমাকে তার গুনাহের ব্যাপারে ডিফেন্সিভ মনোভাব দেখালো। নিজের গুনাহকে নানাভাবে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করলো। এবং আমার ওপর স্পষ্ট বিরক্ত হল।

এখন তার সঙ্গে আমার বৈবাহিক সূত্রে সম্পর্ক হওয়ায়, আমি চাচ্ছিনা কোনো কথা বাড়িয়ে সংসারে অশান্তি করতে। এখন যদি তার গুনাহ দেখেও আমি ইগ্নোর করি, আমি কি গুনাহগার হব এক্ষেত্রে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

দাইয়ুস সে ব্যক্তিকেই বলা হয়, যে তার পরিবার পরিজনকে সঠিক রাস্তায় পরিচালনা করেন না।
অর্থাৎ-যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-সন্তানদের বেপর্দা বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার সুযোগ দেয় তাকেও দাইউস বলা হয়। 

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে, “আল্লাহ তিন ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম করেছেন। মাদকাসক্ত, পিতা-মাতার অবাধ্য এবং দাইউস, যে তার পরিবারের মধ্যে ব্যভিচারকে প্রশ্রয় দেয়”[ মুসনাদে আহমাদ: ২/৬৯ ]

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,

“তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্বাধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, রাষ্ট্রনেতা তার প্রজাদের সম্পর্কে দায়িত্বশীল আর তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পুরুষ লোক তার পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন মহিলা তার স্বামীর ঘরের সার্বিক ব্যাপারে দায়িত্বশীলা, তাকে সেটার পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পরিচারক তার মালিকের সম্পদের সংরক্ষক, আর তাকে সেটার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এক কথায় তোমরা সবাই দায়িত্বশীল আর সবাই জিজ্ঞাসিত হবে সে দায়িত্ব সম্পর্কে”।[ বুখারী : ৭১৩৮; মুসলিম: ১৭০৫ ]
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির গার্জিয়ান যে হবে,সে যদি সেই ব্যাক্তিকে না বুঝায়,তাহলে সেই দাইয়্যুস হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি সেই ব্যাক্তির গার্জিয়ান হোন,তাহলে তাদেরকে না বুঝালে আপনি দাইয়ুস হবেন।
,
আর যদি বুঝান,তাহলে দাইয়ুস হবেননা।
,
আর যদি আপনি সেই ব্যাক্তির গার্জিয়ান না হোন,তাহলে আপনার দাইয়্যুস হওয়ার কোনো কিছু এতে নেই।

এতো করে বুঝানোর পরেও সে যেহেতু আপনার কথা মানছেনা,সুতরাং এমতাবস্থায় আপনি যদি ইগনোর করেন,সেক্ষেত্রে আপনি গুনাহগার হবেননা।

বিস্তারিত জানুনঃ 

তারপরেও পরামর্শ থাকবে,  আপনি হিকমতের সহিত তাকে ধারাবাহিক ভাবে, ভালোভাবে বুঝানো অব্যাহত রাখবেন।
জাহান্নামের শাস্তির বিষয়দি বর্ণনা করবেন।  
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
বাড়িতে প্রত্যাহ তালিমের ব্যবস্থা করুনঃ
,
এবং হক্কানী শায়েখদের আখেরাত,জান্নাত,জাহান্নাম ইত্যাদি সংক্রান্ত রেকর্ড কৃত  বয়ান তাকে শুনাবেন।

ফাজায়েলে আমল’ সহ আরো তালিমের কিতাবের নাম জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...