দাইয়ুস সে ব্যক্তিকেই বলা হয়, যে তার পরিবার পরিজনকে সঠিক রাস্তায় পরিচালনা করেন না।
অর্থাৎ-যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-সন্তানদের বেপর্দা বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার সুযোগ দেয় তাকেও দাইউস বলা হয়।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে, “আল্লাহ তিন ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম করেছেন। মাদকাসক্ত, পিতা-মাতার অবাধ্য এবং দাইউস, যে তার পরিবারের মধ্যে ব্যভিচারকে প্রশ্রয় দেয়”[ মুসনাদে আহমাদ: ২/৬৯ ]
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্বাধীনদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, রাষ্ট্রনেতা তার প্রজাদের সম্পর্কে দায়িত্বশীল আর তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পুরুষ লোক তার পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, তাকে তাদের পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন মহিলা তার স্বামীর ঘরের সার্বিক ব্যাপারে দায়িত্বশীলা, তাকে সেটার পরিচালনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একজন পরিচারক তার মালিকের সম্পদের সংরক্ষক, আর তাকে সেটার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এক কথায় তোমরা সবাই দায়িত্বশীল আর সবাই জিজ্ঞাসিত হবে সে দায়িত্ব সম্পর্কে”।[ বুখারী : ৭১৩৮; মুসলিম: ১৭০৫ ]
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির গার্জিয়ান যে হবে,সে যদি সেই ব্যাক্তিকে না বুঝায়,তাহলে সেই দাইয়্যুস হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি সেই ব্যাক্তির গার্জিয়ান হোন,তাহলে তাদেরকে না বুঝালে আপনি দাইয়ুস হবেন।
,
আর যদি বুঝান,তাহলে দাইয়ুস হবেননা।
,
আর যদি আপনি সেই ব্যাক্তির গার্জিয়ান না হোন,তাহলে আপনার দাইয়্যুস হওয়ার কোনো কিছু এতে নেই।
এতো করে বুঝানোর পরেও সে যেহেতু আপনার কথা মানছেনা,সুতরাং এমতাবস্থায় আপনি যদি ইগনোর করেন,সেক্ষেত্রে আপনি গুনাহগার হবেননা।
তারপরেও পরামর্শ থাকবে, আপনি হিকমতের সহিত তাকে ধারাবাহিক ভাবে, ভালোভাবে বুঝানো অব্যাহত রাখবেন।
জাহান্নামের শাস্তির বিষয়দি বর্ণনা করবেন।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বাড়িতে প্রত্যাহ তালিমের ব্যবস্থা করুনঃ
,
এবং হক্কানী শায়েখদের আখেরাত,জান্নাত,জাহান্নাম ইত্যাদি সংক্রান্ত রেকর্ড কৃত বয়ান তাকে শুনাবেন।
ফাজায়েলে আমল’ সহ আরো তালিমের কিতাবের নাম জানুনঃ