জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রথমেই জানা প্রয়োজন সূদ (রিবা) কি? সূদ (রিবা) কাকে বলে? আরবী ‘রিবা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হ’ল বৃদ্ধি, অতিরিক্ত, প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি। অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে, ইসলামে সব ধরনের বৃদ্ধি বা প্রবৃদ্ধিকে হারাম বা নিষিদ্ধ গণ্য করা হয়েছে।
শরী’আতে রিবা বলতে ঐ অর্থকে বোঝায়, যা ঋণের শর্ত হিসাবে মেয়াদ শেষে ঋণগ্রহীতা মূল অর্থসহ অতিরিক্ত অর্থ ঋণদাতাকে পরিশোধ করতে বাধ্য হয়।
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٢:٢٧٨]
হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮]
আরো জানুনঃ
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
সূদ হয় টাকার বিনিময়ে টাকা নিলে,সেই কম বেশি সূদ হিসেবে গন্য হয়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত কোনোভাবেই সুদ নয়।
,
এটি একটি ভাড়া চুক্তি।
আপনি রিকশাটি তার কাছে এই মর্মে ভাড়া দিয়েছেন যে প্রতিদিন বা প্রতিমাসে এত টাকা করে ভাড়া দিবে।
এটি সম্পুর্ন ভাবে জায়েজ।
,
তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।
(০১) তার (রিকশা চালক এর) উপর যেনো জুলুম না হয়,সেই দিক খেয়াল করে যেকোনো এমাউন্ট নির্ধারন করা যাবে।
রিক্সার মেইন্টেনেন্স ফি উভয়ের সম্মতিক্রমেই নির্ধারন করবে।
কারো উপর যেনো জুলুম না হয়।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা(২৯)
আরো জানুনঃ
,
(০২) ভাড়ার পরিমাণ অবশ্যই নির্দিষ্ট হতে হবে।
সেটি পার্সেন্ট আকারেই হোক,বা নির্দিষ্ট এমাউন্ট হোক।তবে উভয়ের সন্তুষ্টি চিত্তেই এটি নির্ধারন করতে হবে।
,
(০৩) যে রিকশা ভাড়া হবে এর সকল সুবিধা-অসুবিধা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী ভাড়াটে (রিকশা চালক) কে সুস্পষ্টভাবে অবগত করতে হবে।
,
(০৪) রিকশার যাবতীয় সমস্যা ক্ষেত্রে খরচ কে বহন করবে,সেটি নির্ধারন করতে।