আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)

আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত উস্তায।

পূর্বে আমি একটা বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম ইস্তিখারা, স্বপ্ন সম্পর্কে,আমার প্রশ্ন নাম্বার 95863 এবং 96176। সেখানে আমি আমার এক ক্লাসমেট এর ব্যাপারে ইস্তিখারা করার কথা বলেছিলাম। এবং সেটার পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এবং যখনই টেনশন হয় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি বা মন খারাপ হয় তখন যদি কল্যানকর ফয়সালার দুয়া করি তখন আমি স্বপ্নে কিছুনা কিছু দেখিই উক্ত ক্লাসমেট কে নিয়ে (যদিও আমি তাকে নিয়ে খুব একটা ভাবি না বললেই চলে)

[বি.দ্র.: উস্তায পূর্বে যে ইস্তিখারার কথা বলেছিলাম 95863 প্রশ্নে সেটা রোজায় তারাবি স্বলাত শেষে ইস্তিখারা করতাম। কিন্তু স্বপ্নে দেখতাম সাহরী খেয়ে ঘুমানোর পরে সকালে ঘুম থেকে উঠার সময় অর্থাৎ সকাল ৬-৮ টার মধ্যে]

★কয়েকদিন আগেও ঘুমানোর পূর্বে বলেছিলাম ইয়া আল্লহ যদি এইখানে পজিটিভ হয়, বা যদি এখানেই আমার বিয়ে লিখে রাখো তবে স্বপ্নে কিছু একটা ইঙ্গিত দিও, নয়ত আমি যেন কখনও কোনো দুয়া বা ইস্তিখারা করার পর তাকে স্বপ্নে না দেখি বা পজিটিভ ভাইভ না পাই ,কিন্তু সেদিনও স্বপ্নে দেখেছিলাম তাকে গ্রুপে একজন মেমশন করে কিছু একটা জিজ্ঞেস করেছে। পরক্ষণেই স্বপ্ন অন্যটপিকে দেখেছি।

উস্তায বাস্তবে ভাবতে গেলে সেক্ষেত্রে নেগেটিভ মনে হয়। বাস্তবে যে তাকে খুব একটা পছন্দ করি বিষয়টা এমন না।
আবার জীবনসঙ্গী হিসেবেও ভাবতে কিছুটা ইতস্তবোধ হয়,কারন তার পূর্বের বিষয়গুলো আমি দেখেছি,।
(তবে বর্তমানে তার দ্বীনের প্রতি আগ্রহ, ডেডিগেশনসহ আরও ২-১ টা বিষয় মোটামুটি ভালো লাগে)  
(*পাত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমি পরিপূর্ণ দ্বীনদারিত্বকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।)

আমি যখনই দুয়া বা ইস্তিখারা করি তখনই ওনার প্রতি পজিটিভ ভাইভ আসে

এখন আমার কী করা উচিত? এক্ষেত্রে মনের অস্থিরতা কাটছে না উস্তায। পরামর্শ চাচ্ছি উস্তায

আমি যখনই দুয়া বা ইস্তিখারা করি তখনই ওনার প্রতি পজিটিভ ভাইভ আসে

 

এখন আমার কী করা উচিত? এক্ষেত্রে মনের অস্থিরতা কাটছে না উস্তায। পরামর্শ চাচ্ছি উস্তায

by
reshown by
উস্তায পরামর্শ দিন ইংশাআল্লহ। ইস্তিখারা করার পরে পুরোপুরি পজিটিভ রেজাল্ট আসার পরে কী সেখানে 'না' হতে পারে??
যদি না হয় তবে ইস্তিখারা য় পুরোপুরি পজিটিভ কেন আসে?
বাস্তবে ভাবলে যদি মনস্থির করি নাহ এখানে কখনই সম্ভব না,আর কখনও এ বিষয়ে ভাববো না।কিন্তু কোনো প্রপোজাল আসলে ইস্তিখারা করার সময় উক্ত ক্লাসমেটকে এবং যেখান থেকে প্রোপোজাল আসে তাকে নিয়ে দুয়া করি যে কোনটা কল্যাণকর, তখন ক্লাসমেট এর ক্ষেত্রে পজিটিভ আসে।তখন আবার সম্পূর্ণ পজিটিভ থাকি।
এরকম কেন হয় উস্তায এটা কী আমার মনের সমস্যা বা শয়তানের ওয়াসওয়াসা নাকি সত্যিই পজিটিভ।
আমি খুবই কনফিউজড । 

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1472 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইস্তেখারার অর্থ হল, আল্লাহর মদদ আর সাহায্যে সঠিক ও উত্তম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার চেষ্টা করা।
যতদিন না আপনার মন কোনো একদিকে পুরোপুরি ধাবিত হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আপনি ইস্তেখারা করতে থাকবেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনি আপনার বাবা ভাই ও মায়ের সাথে পরামর্শ করবেন। আপনার মা বাবা-ই এই পৃথিবীতে আপনার সবচেয়ে বেশী কল্যাণকামী। সর্বদা আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন তিনি যেন আপনাকে সঠিক রাস্তা দেখান। আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুক।আমীন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...