আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
ইদানীং অনলাইন অর্গানিক মেহেদী র ব্যাপক চাহিদা চলছে আমাদের দ্বীনি বোনরাও ব্যাপকভাবে ব্যাবহার করছেন। মেহেদী গুলো অর্গানিক ক্যামিক্যল মুক্ত কোনো চামড়া ও উঠে না। ন্যাচরাল মেহেদির মতোই কালার হয় সুন্দর।
এরই সাথে নখের জন্য বিশেষ এক মেহেদী তৈরি হয় যদিও অনলাইন ব্যাবসায়ী আপুরা এটাকে মেহেদী বলে ক্লেইম করেন না উনার এর উৎপাদন প্রনালী বলেই বিক্রি করেন নেইল মেহেদী র চেয়েও নেইল টিন্ট হিসেবে এটি পরিচিত এটি চা,কফি, গুড়, চিনি, ইত্যাদি পুড়িয়ে প্রসেস করে তৈরি করা হয়। উনারা দাবী করেন সম্পূর্ণ ক্যামিক্যাল মুক্ত এবং হালাল। এটা শুধু নখের জন্য এবং ৩/৪ বার ৪/৫ ঘন্টা করে নখে দিলে সুন্দর এক খয়েরী রঙ হয় অবিকল পাতা মেহেদীর মতো। কিন্তু এগুলোতে কোনো ধরণের মেহেদী পাতা বা পাওডার দেওয়া হয় না। গুড়, চিনি, চা, কফি,  দিয়ে প্রসেস করে শুধুমাত্র নখের জন্য তৈরি।  চামড়াতে লাগলেও কালার হয় তবে চামড়া উঠে যায়। পরদ পড়ে না বুঝা যায় কারণ চামড়া সহ উঠে। এগুলো ব্যাবহার করা কি জায়েজ? মানে অযু গোসল হবে কি?

আর দ্বিতীয় প্রশ্ন যদি দিতে কোনো সমস্যা না থাকে।

একটা হাদিসে তো মেয়েদের নখ মেহেদী দ্বারা রাঙানোর কথা উল্লেখ আছে এই নেইল টিন্টে নখ রাঙালে কি সেই সওয়াব হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
পবিত্রতা (অযু/গোসল) ব্যতীত নামাজ কবুল হবে নাঃ

 عَنْ اَبِى الْمَلِيْحِ عَنْ اَبِيْهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم: لَا يَقْبَلُ اللهُ صَلَاةً بِغَيْرِ طُهُوْرٍ وَلَا صَدَقَةً مِنْ غُلُوْلٍ 

– অর্থঃ হযরত আবূ মালিহ তাঁর পিতা (উসামা রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্রতা ব্যতীত নামাজ কবুল করবেন না এবং অবৈধ সম্পদের সাদকাও কবুল করবেন না। (সুনানে নাসাঈ হাদীস নং-০৬)

অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।
যদি কোনো অংশ না ভিজে,তাহলে অযু,গোসল হবেনা।

হাদিসে বর্ণিত আছে- আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)

শরীয়তের বিধান হলো যদি হাতের ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে  ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে। 

হযরত আবু তামীম জায়শানী রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. যখন অযু করতেন আংটি নাড়াচাড়া করতেন। আবু তামীমও তা করতেন। ইবনে হুবায়রাও তা করতেন।

-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১/৩৭১ (৪৫৬)

★এখন প্রশ্ন হল,বাজারে পাওয়া যাওয়া মেহেদি কি পানি পৌঁছতে বাধা প্রদাণ করে।উত্তরে বলা যায়, এক্ষেত্রে ত্বক বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে।যদি পানি পৌছতে বাধা দেয় তাহলে তো এগুলো হাতে দেয়ার পর ওজু হবে না।আর যদি পানি পৌঁছতে বাধা না দেয়,তাহলে তো ওজু হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/৯৫ 

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এসব অর্গানিক মেহেদী যদি আসলেই অযুর অঙ্গে পানি পৌঁছতে বাধা প্রদাণ না করে, সেক্ষেত্রে এসব মেহেদী ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে অযু গোসল হবে।

তারপরেও ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন।

(০২)
এক্ষেত্রে আশা করা যায় যে হাদীসের উপর আমল হবে,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (15 points)
আফওয়ান আবার একটু জিগ্যেস করছি!

স্কিন স্পেশালিষ্টের সাথে যোগাযোগ তো সম্ভব নয়।
কিছুদিন আগে শায়খ আহমাদুল্লাহ এক ভিডিওতে বলেছিলেন উনি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছেন বাজারের মেহেদী গুলাতে আস্তরণ পড়ে না ক্যামিক্যলের প্রভাবে চামড়া উঠে মরার চামড়া উঠার মত।
তাই অযু নামাজ হবে। 
এটা ধরে কি আমরা ব্যাবহার করতে পারি?
by (559,140 points)
হ্যাঁ, উক্ত ফাতওয়ার উপর আমল করতে পারেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...