আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (63 points)
edited by
কোনো মেয়ে কি স্বামীর অনুমতি নিয়ে পরিপূর্ণ পর্দা করে ভোটকেন্দ্রে কার্যক্রম করতে পারবে?যেই টাকা ইনকাম হবে তা কি হালাল হবে?কারন, টাকাটা এখন ভীষন প্রয়োজন।

ইদ্দত পালনের ক্ষেত্রে কি কি পরিহার করতে হবে একজন মেয়ের?

৬৫ হাজার টাকার সমপরিমাণ স্বর্ন থাকার সাথে কত টাকা ক্যাশ থাকলে যাকাত কুরবানী ওয়াজিব হয়?যেমন অনেকের ৪/৫ হাজার টাকা ক্যাশ কিন্তু সেটা দিয়ে অন্তত একটা ছাগল কুরবানী সম্ভব না।এক্ষেত্রে কি করনীয়??

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
এ সংক্রান্ত মাসয়ালার জন্য নিকটতম কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করার পরামর্শ থাকবে। 

(০২)
শরীয়তের বিধান হলো কোনো মহিলার স্বামী মারা গেলে তার স্বামীর বাড়িতে চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করতে হবে।  

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
   
وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ۖ فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنفُسِهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۗ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ [٢:٢٣٤] 

আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা। তারপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে নেবে, তখন নিজের ব্যাপারে নীতি সঙ্গত ব্যবস্থা নিলে কোন পাপ নেই। আর তোমাদের যাবতীয় কাজের ব্যাপারেই আল্লাহর অবগতি রয়েছে।

★তালাকপ্রাপ্তা এবং বিধবা মহিলার জন্য স্বামীর বাড়িতেই ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। বিশেষ ওজর ব্যতীত স্বামীর বাড়ি ছাড়া বাবার বাড়িতে কিংবা অন্য কোথাও গিয়ে ইদ্দত পালন করা জায়েয নেই।

সুরা আত ত্বলাকের ০১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

৬৫:১ یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ اِذَا طَلَّقۡتُمُ النِّسَآءَ فَطَلِّقُوۡهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ وَ اَحۡصُوا الۡعِدَّۃَ ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ رَبَّکُمۡ ۚ لَا تُخۡرِجُوۡهُنَّ مِنۡۢ بُیُوۡتِهِنَّ وَ لَا یَخۡرُجۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ یَّاۡتِیۡنَ بِفَاحِشَۃٍ مُّبَیِّنَۃٍ ؕ وَ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰهِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَعَدَّ حُدُوۡدَ اللّٰهِ فَقَدۡ ظَلَمَ نَفۡسَهٗ ؕ لَا تَدۡرِیۡ لَعَلَّ اللّٰهَ یُحۡدِثُ بَعۡدَ ذٰلِکَ اَمۡرًا ﴿۱﴾

হে নবী, (বল), তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দেবে, তখন তাদের ইদ্দত অনুসারে তাদের তালাক দাও এবং ‘ইদ্দত হিসাব করে রাখবে এবং তোমাদের রব আল্লাহকে ভয় করবে। তোমরা তাদেরকে তোমাদের বাড়ী-ঘর থেকে বের করে দিয়ো না এবং তারাও বের হবে না। যদি না তারা কোন স্পষ্ট অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়। আর এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। আর যে আল্লাহর (নির্ধারিত) সীমারেখাসমূহ অতিক্রম করে সে অবশ্যই তার নিজের ওপর যুলম করে। তুমি জান না, হয়তো এর পর আল্লাহ, (ফিরে আসার) কোন পথ তৈরী করে দিবেন। 

তবে স্বামীর বাড়িতে যদি পর্দার সাথে থাকার ব্যবস্থা না হয় কিংবা তার জন্য সেখানে থাকা বেশি কষ্টকর বা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয় তাহলে সে বাড়ি ত্যাগ করে বাবার বাড়ি কিংবা অন্য কোনো নিরাপদ স্থানে ইদ্দত পালন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে যেখানে যাবে সেখানেই ইদ্দত পূর্ণ করবে। ইদ্দত শেষ হওয়ার আগে বিনা জরুরতে সেখান থেকে অন্যত্র থাকা জায়েয হবে না।

হযরত ফাতেমা বিনতে কায়স রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছি, আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দিয়েছে এখন আমি আমার সাথে ব্যভিচারের ভয় করছি। তখন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে স্থানান্তর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৪৮২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১৯১৬৮)
,
আরো জানুনঃ 

بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع

"ومنها وجوب الإحداد على المعتدة ...فالإحداد في اللغة عبارة عن الامتناع من الزينة، يقال: أحدت على زوجها وحدت أي امتنعت من الزينة وهو أن تجتنب الطيب ولبس المطيب والمعصفر والمزعفر، وتجتنب الدهن والكحل ولا تختضب ولا تمتشط ولا تلبس حليا ولا تتشوف".

(کتاب الطلاق،فصل فی أحکام العدة،ج:3،ص:208،ط:العلمية)

সারমর্মঃ-
ইদ্দত পালন রত মহিলা কোনো প্রকার সুগন্ধি লাগাতে পারবেনা,কুসুম রঙ এর কিছু পরিধান করতে পারবেনা,জাফরান রঙ এর কিছু পরিধান করতে পারবেনা,তৈল,সুরমা,খেজাব লাগানো যাবেনা,চিরুনি করা যাবেনা,রেশমের কাপড় পরিধান করা যাবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ইদ্দত পালন রত মহিলা কোনো প্রকার অলংকার পরিধান করতে পারবেনা, এবং সাজসজ্জাও গ্রহণ করতে পারবেনা। কানের দুল, হাত-পায়ে মেহেদি,সুন্দর জামা কিছুই করতে পারবেনা।
শরীর হতে সব অলংকার খুলে ফেলতে হবে। 

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
ঈদুল আজহার ৩ দিনের মধ্যে যেকোনো দিন ৬৫ হাজার টাকার সমপরিমাণ স্বর্ন থাকার সাথে ২৫ হাজার টাকা তার মালিকানায় থাকলে বা সমপরিমাণ টাকার দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত কোনো জায়গা জমি বা আসবাবপত্র, পশু ইত্যাদি থাকলে সেক্ষেত্রে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব।

ক্যাশ এর চেয়ে কম থাকলে সেক্ষেত্রে কোনো কিছু বিক্রয় করে বা ঋন নিয়ে কুরবানী দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...