আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
475 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
হজরত  অনেকেই ফরজ নামাজ  শেষে কিছু তসবীহ পড়ে বুকে ফু দেন। বা আংগুলে চুমু খেয়ে কপাল চোখে লাগান।

এগুলো কি শরীয়া সম্মত? আর শরীয়া সম্মত হয়ে থাকলে কি কি আমল করার পর এগুলো করতে হয়?, জানালে বড্ড মেহেরবানি হবে ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (714,080 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
2293 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ করেছি যে,
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن عائشة، قالت: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا سلم لم يقعد إلا مقدار ما يقول: «اللهم أنت السلام، ومنك السلام، تباركت يا ذا الجلال والإكرام»
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ ফরয নামাযে সালাম ফিরানোর পর 'আল্লাহুম্মা আনতাস-সালাম ওয়া মিনকাস-সালাম তাবারাকতা ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম' বলার পরিমাণ সময় ব্যতীত বসতেন না বরং পরবর্তী সুন্নত/নফল নামাযে দাড়িয়ে যেতেন।(যদি সুন্নত নফল থাকতো)
সুনানু ইবনি মা'জা-৯২৪(শামেলা)

ويكره تأخير السنة إلا بقدر اللهم أنت السلام
ফরযের পর সুন্নত কে পূর্ববর্তী দু'আর চেয়ে বেশী দেড়ী করা মাকরুহ। (আদ্দুর্রুল মুখতার-১/৫৩০)

সুতরাং যে সব নাসাযের পর সুন্নত নফল রয়েছে,সে সব নামাযে সুন্নত নফলের পরই যিকির দু'আ পড়া উত্তম আর যে সব নামাযে পরবর্তী সুন্নত নফল নেই সে সব নাসাযে ফরযের পরপরই দু'আ যিকির পড়া উত্তম।ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৬৬৪(ফারুকিয়া করাচি তাহকিককৃত)


ফরয নামাযের পর তাসবিহাত এর কথা হাদীসে রয়েছে।তবে বুঁকে ফু দেওয়া এবং আঙ্গুলে চুমু খাওয়া ও কপালে লাগানোর কথা হাদীসে আসেনি।তবে চক্ষুর চিকিৎসা হিসেবে বুজুর্গানে কেরামের কেউ কেউ পরামর্শ দিয়ে থাকেন।জানুন- 4248

সুতরাং এ সমস্ত আ'মলকে বিচ্ছিন্নভাবে একাএকা নির্জনে করা যেতে পারে।তবে বাহিরে বা মসজিদে করা যাবে না।কেননা লোকজন ভাববে হয়তো,এরকম কোনো আ'মল রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে প্রমাণিত রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...