আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
983 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (39 points)
আসসালামু আল্লাইকুম।
শায়খ, অনেক সময় অনেক এই থাকে যাদের পরিবার রাজি থাকে তাদেরকে বিয়ে দিতে।কিন্তু এখন না। অপেক্ষা করতে বলে।প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলে।তখন অনেক এই চায় কাজী অফিসে না গিয়ে বিয়ে করতে। যাতে কোনো ঝামেলা না হয়।
১#শায়খ, তারা যদি বিবাহ পরানোর নিয়ম জানে তাহলে বিষয়টা তাদের জন্য ভালো হয়।যদি কিছু মনে না করেন শায়খ, শরিয়ত সম্মত বিবাহ কিভাবে একজন মুসলিম পড়াতে পারবে,কিভাবে বিয়ে পড়ানো শুরু করবে, ,কোন দুয়া, দুরুদ পড়বে,কিভাবে কি করবে , যদি একটু বিস্তারিত জানাতেন তাহলে বিষয়টা তাদের জন্য খুব ভালো হত।

২#নিজেরা নিজেরা বিয়ে করতে চাইলে কিভাবে ছেলেটি মেয়ের কাছে প্রস্তাব দিবে। এবং নিজে মেয়ের প্রস্তাব কিভাবে গ্রহন করে নিবে?
৩# বিয়েতে তো মেয়েরা উকিল হতে পারবে। কিন্তু মেয়েরা কি কাজী হতে পারবে? মানে ছেলে যদি বিয়ে কিভাবে পড়ায় না জানে,তাহলে কি মেয়ে নিজেই নিজের বিয়ে পড়াতে পারবে শায়খ? এই অনুমতি কি ইসলাম দিয়েছে? একটু জানালে ভালো হত।
যে এমন সমস্যায় আছে তার জন্য খুব ভালো হবে যেদি একটু জানান শায়খ

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
edited by
ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতাকে বিয়ের জরুরত বুঝাবে।মাতাপিতার পরামর্শে বিয়ে করবে।
এক্ষেত্রে দ্বীনদারিত্বকে প্রদাণ্য দেয়াই দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি অর্জনের উত্তম মাধ্যম হবে।
হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার মহিলাকে খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
প্রথমে উপরোক্ত মূলনীতি গুলো লক্ষণীয়। 
আপনার প্রশ্নের ধারাবাহিক জবাব ইতিমধ্যেই দেয়া হচ্ছে....

(১+২)
বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রী উভয়ে এক মজলিসে থাকবেন।সেখানে দুজন পুরুষ সাক্ষী অথবা একজন পুরুষ সাক্ষী ও দুজন মহিলা সাক্ষী উপস্থিত থাকবে।সাক্ষীদয়ের সমানে পাত্র-পাত্রীর যে কেউ অন্যকে উদ্দেশ্য করে বলবেন,
"আমি তোমাকে এত টাকা মহরের বিনিময়ে বিয়ে করতে চাচ্ছি"

অপরজন বলবে,কবুল বা এ জাতীয় কোনো শব্দ।

তখন দুজন সাক্ষী উভয়ের ইজাব কবুল শুনবে। ব্যস বিয়ে হয়ে যাবে।

বিয়ের পূর্বে একটি খুতবা পাঠ সুন্নত।খুতাবাতে আল্লাহর প্রশংসা,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উপর দুরুদ,এবং বিয়ে সংক্রান্ত কুরআনের আয়াত ও হাদীস থাকবে।যেহতু খুতবাহ সুন্নত,তাই খুতবাহ না পড়লেও বিয়ে হয়ে যাবে।

(৩)
ইসলামে বিয়ের ক্ষেত্রে কাজীর অবস্থান শূণ্যর কোটায়।কাজির কোনো প্রয়োজন নেই।কেননা প্রস্তাব ছেলে যেভাবে দিতে পারে,মেয়েও বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারে।

ছেলেটি সাক্ষীর সামনে মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলবে,
"আমি তোমাকে এত টাকার বিনিময়ে বিয়ে করতে চাই"
আর মেয়ে বললে, বলবে,
আমি তোমার নিকট এত টাকা মহরের বিনিময়ে বিয়ে বসতে চাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
সংযোজন করা হয়েছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...