আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (13 points)
জনাব
১) মাহরাম ছাড়া মহিলাদের উমরা পালন করা যাবে কিনা? যদি কোন কাফেলায় অর্থাৎ অনেকজন মহিলা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ওমরা পালনের জন্য সৌদি আরব যায় এবং সেখানে কোন মাহারাম না থাকে তাহলে সেটিকে বৈধ হবে?

২) কারো যদি মাহারাম সাথে যাবার মত অবস্থা না থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে কি তার ওমরা করতে যাওয়া উত্তম নাকি না যাওয়া উত্তম ?

৩) ব্যক্তিগত কাজ এবং ইনকামে বারাকাহ লাভের উপায় কি?

৪) হানাফী মাযহাবে জামাতে নামাজ পড়া কি ওয়াজিব? আর যদি জামাতে নামাজ না পড়া হয় তাহলে কি কবিরা গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (643,950 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফিৎনার আশংকা না থাকলে সফরের দূরত্বের চেয়ে কম (অর্থাৎ তিনদিন তিনরাত দূরত্বের জায়গা অথবা ৭৭(এক বর্ণনায় ৮২.৫) কিলোমিটারের চেয়ে কম) দূরত্ব মহিলার জন্য মাহরাম ব্যতীত সফর করা বৈধ রয়েছে। শায়খাইন রাহ তথা ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম আবু ইউসুফ রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে,একদিন একরাত দূরত্বের জায়গা থেকে কম হলে তথা (৭৭÷৩=২৫.৬)২৫.৬ কিলোমিটার বা তার চেয়ে কম পরিমাণ জায়গা হলে মহিলা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারবে।অন্যথায় পারবে না। বর্তমান এই ফিতনার যুগে  নিম্নোক্ত মতামত-ই ফাতাওয়া তথা শরয়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্য।তবে এখানেও ফিতনার আশঙ্কা না থাকা চাই।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(কিতাবুন-নাওয়াযিল;১৫/৪১৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/212 

বিশেষ প্রয়োজনে মহিলারা মাহরাম ব্যতিত কাছাকাছি  জায়গা তথা একদিন এক রাতের দূরত্ব সমপরিমাণ জায়গা সফর করতে পারবে । অবশ্যই সম্পূর্ণ পর্দাকে রক্ষা করে যেতে হবে এবং রাস্তা নিরাপদ হতে হবে। তবে এর চেয়ে বেশী মাহরাম ব্যতিত পারবে না। হ্যা, বিশেষ জরুরত হলে, তথা ভিন্ন কোনো রাস্তা না থাকলে এবং সেখানে যাওয়া জরুরী হলে তখন নেককার মহিলাদের এক জামাতের সাথে মাহরাম ব্যতিত সফর করার অনুমোদন থাকবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2127 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সাধারণত মাহরাম ছাড়া মহিলাদের জন্য উমরা পালন করা জায়েয হবে না। যদি কোন কাফেলায় অর্থাৎ অনেকজন মহিলা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ওমরা পালনের জন্য সৌদি আরব যায় এবং সেখানে কোন মাহারাম না থাকে, তাহলেও সেটি বৈধ হবে না।

(২) কারো যদি মাহারাম সাথে যাবার মত অবস্থা না থাকে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে তার ওমরা করতে যাওয়া জায়েয হবে না। হ্যা, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে রুখসত বা সুযোগ রয়েছে। পরিস্থিতি উল্লেখ করে কোনো মুফতি সাহেবকে জিজ্ঞাস করে জেনে নিতে হবে

(৩) ব্যক্তিগত কাজ এবং ইনকামে বারাকাহ লাভের উপায় জন্য নিয়তকে বিশুদ্ধ রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নতকে আকড়ে ধরতে হবে। সাধ্যানুযায়ী দান সদকাহ করতে হবে।

(৪) হানাফী মাযহাবে জামাতে নামায পড়া সুন্নতে মু'আক্কাদা যা ওয়াজিবের সমপর্যায়ের। বিশেষ প্রয়োজন ব্যতিত জামাতে নামাজ ত্যাগ করা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1365


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 80 views
...