আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (1 point)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।


১: গর্ভবতী মায়েরা কি হজ্ব বা উমরা করতে পারবে?করতে পারলে নিয়ম-কানুন টা কেমন হবে? আর যাদের বাচ্চা হয়েছে তারা কত মাস পর হজ্ব বা উমরা করতে পারবে?


২:কেউ অন্যের জন্য উমরা করলে , সে কি সোয়াব পাবে?আর যে অন্যের জন্য উমরা করছে সে কি নিজের জন্য দোয়া করতে পারবে ?নাকি যার জন্য উমরা করছে শুধু তার হয়ে বা তার জন্য দোয়া করবে ?


৩: একজন পুরুষ যদি ২/৩টা উমরা করতে চায়, সঠিক নিয়ম অনুযায়ী,,,, তাহলে তার চুল কাটার বিধান টা কেমন হবে?যদি একবার এএ পুরা চুল কেটে ফেল্লে , তাহলে বাকি ১/২বার উমরা করলে চুল কেমন করে কাটবে?


৪: কারোর পক্ষ থেকে বদলি হজ্ব বা উমরা করতে গেলে সে নিজের বা নিজের পরিবার এর জন্য দোয়া করতে পারবে?নাকি যে পাঠাচ্ছে শুধু তার জন্য বা তার হয়ে দোয়া করবে?এক্ষেত্রে যে অন্যের পক্ষ থেকে হজ্ব
বা উমরা করতে গেলে সে কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন প্রকার সওয়াব পাবে?বা সওয়াব পাওয়ার আসা করতে পারবে?


৫: হজ্ব বা উমরা করতে যাওয়ার আগে পরিবার এর সবাইকে কি জানাতে হবে ?না জানিয়ে কি যাওয়া যা না? সবার কাছ থেকে নাকি জিগ্যেস করতে হয় কনো দাবি আছে কিনা তার উপরে,,এটা কতোটুকু যৌক্তিক?


৬: উমরা করার সম্পূর্ণ মাসয়ালা টা কি বলা যাবে? কখন কি করতে হয়? কিভাবে পরিপূর্ণ ভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির আদায়ের মধ্য দিয়ে উমরা সমর্পণ করা যায়?

1 Answer

0 votes
by (677,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
গর্ভবতী মায়েরা হজ্ব বা উমরা করতে পারবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
তাদের জন্য হজ্ব/উমরার আলাদা কোনো নিয়ম নেই। সাধারণ অবস্থার মতোই হজ্ব/উমরাহ এর কাজ গুলি আদায় করতে হবে।
,
হ্যাঁ যদি হজ্ব/উমরাহ্ এর মধ্যেই বাচ্চা প্রসব করে ফেলে,সেক্ষেত্রে যেহেতু নেফাস চলবে,তাই তারা নেফাস চলাকালীন সময়ে বায়তুল্লাহ শরীফ তওয়াফ করবেনা। নামাজ আদায় করবেনা।
,
যাদের বাচ্চা হয়েছে,তারা বাচ্চা হওয়ার পর নেফাস অবস্থাতেই হজ্ব উমরাহ করতে পারবে,তবে নেফাস চলাকালীন সময়ে বায়তুল্লাহ শরীফ তওয়াফ করবেনা। নামাজ আদায় করবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: نُفِسَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ بِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ بِالشَّجَرَةِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ أَنْ تَغْتَسِلَ فَتُهِلَّ

আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আসমা‘ বিনতু উমাইস (রাযি.) যুল- হুলায়ফায় আবূ বকর (রাযি.)-এর ছেলে মুহাম্মাদকে প্রসব করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর (রাযি.)-কে আদেশ দিলেন তিনি যেন গোসল করে ইহরাম বাঁধে।
(আবু দাউদ ১৭৪৩. মুসলিম)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ شُجَاعٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، وَمُجَاهِدٍ، وَعَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الْحَائِضُ وَالنُّفَسَاءُ إِذَا أَتَتَا عَلَى الْوَقْتِ تَغْتَسِلَانِ، وَتُحْرِمَانِ وَتَقْضِيَانِ الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا غَيْرَ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ.

ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হায়িয ও নিফাসগ্রস্ত নারীরা মীকাত পৌঁছার পর গোসল করবে, ইহরাম বাঁধবে এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ছাড়া অন্যান্য সমস্ত কাজ সম্পন্ন করবে।
(আবু দাউদ ১৭৪৪. তিরমিজি)

(০২)
এক্ষেত্রে নিজের ছওয়াবের নিয়ত রাখলে সেও ছওয়াব পাবে।
সে নিজের জন্য দোয়া করতে পারবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে সে বাকি ১/২ বার উমরা করলে সেক্ষেত্রে মাথার উপর হলক করার মতো করে ব্লেড ঘুরাবে।

(০৪)
সে নিজের বা নিজের পরিবার এর জন্য দোয়া করতে পারবে।
সে নিজের জন্য ছওয়াব পাওয়ার আশা করতে পারবে।

(০৫)
এটি ভিত্তিহীন কথা।
শরীয়তে এমন কিছু নেই।

(০৬)
উমরাহ পালনে প্রধানত চারটি কাজ।
দুটি কাজ ফরজ—ইহরাম পরিধান করা এবং পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করা।

আর দুটি কাজ ওয়াজিব—সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী (সবুজ বাতি) স্থানে সাতবার সায়ি করা এবং মাথার চুল মুণ্ডানো বা ছোট করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 94 views
0 votes
1 answer 203 views
...