আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম।
উস্তজ, আমাদের জমিনে উতপন্ন ফসলের উশর হয় ১৬সের × ৪ সের = ৬৪ সের ÷ ২০ সের ( ৃষ্টির পানিতে উৎপন্ন ফসল)।

= ৩.২ সের।৷ এখন জমিনের সমস্ত বীজ সার এবং শ্রমিকের রোজকার খরচ আমরা দেই। এবং উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক যিনি জমিন চাষ করেন তিনি তার নিজ খরচে নিজের জন্য নিয়ে নেন।

আমার প্রশ্ন হলো

১। আমরা একজন কাজের মহিলা দিয়ে, ধান ঝাড়ি এবং এর থেকে প্রত ১৬ সের এর মধ্যে ১ সের তাকে দেই। (বিনিময় হিসেবে)।

এখন কাজের মহিলাকে তার হক্ব দেওয়ার পর , সার, বীজ, শ্রমিকের রোজ এর হিসাব বাদে কি উশর এর হিসাব করবো নাকি এক সাথে উশর এর হিসাব করবো? যা বর্গাকারি ব্যক্তি তার অর্ধেক নেয়ার পর আমাদের অবশিষ্ট থাকে তার হিসাব করবো?

1 Answer

0 votes
by (571,080 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عن سالم بن عبد الله عن أبيه رضي الله عنه : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( فيما سقت السماء والعيون أو كان عثريا العشر وما سقي بالنضح نصف العشر ) (صحيح البخارى : كتاب الزكوة : باب العشر فيما يسقي من ماء السماء وبالماء الجاري : 1/201 برقم : 1453)

অর্থাৎ,আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা. থেকে বর্ণিত, নবীজী স. বলেন, আসমানী বা নদীনালা অথবা অন্যান্য প্রাকৃতিক পানি সিঞ্চনে যা উৎপাদিত হয় তাতে ওশর আসবে। আর যা কৃত্রিম উপায়ের পানি দ্বারা সিঞ্চিত হবে তাতে অর্ধেক ওশর লাযেম হবে।

وعن جابر أنه سمع رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : [ فيما سقت الأنهار والغيم العشر وفيما سقي بالسانية نصف العشر ] أخرجه مسلم و أبو داود (المغنى 2/547

অর্থাৎ, হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি শুনেছেন, নবী স. বলেছেন, যা নদীনালা ও বৃষ্টির পানি দ্বারা সিঞ্চনে উৎপাদিত, তাতে আসবে ওশর। আর যা কৃত্রিম উপায়ের পানি দ্বারা সিঞ্চিত, তাতে আসবে অর্ধেক ওশর।

আরো জানুনঃ 

আমাদের দেশ উশরিও নয়,খারাজিও নয়।
এই জন্য এদেশের শষ্যাদির উপর ওশর অথবা ওশরের অর্ধেক কোনোটাই ওয়াজিব নয়।
কেহ যদি সন্তুষ্টি চিত্তে অংশ নির্দিষ্ট করা ব্যতিত কিছু দেয়,তাহলে কোনো ক্ষতি নেই।
অবশ্য কিছু বা পুরো শষ্য বিক্রয়ের পর নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলে যাকাত দিতে হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ-

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনাদের উপর ওশর দেয়া আবশ্যক নয়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ওশর আদায় করতে হবেনা।

তদুপরি আপনি যদি ওশর আদায় করতে চান সেক্ষেত্রে কাজের মহিলাকে তার হক্ব দেওয়ার পর , সার, বীজ, শ্রমিকের রোজ এর হিসাব বাদে উশর এর হিসাব করবেন।

উল্লেখ্য,আপনার উপর ওশর আবশ্যক না হলেও এক্ষেত্রে আপনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়ে থাকলে এই ফসল বিক্রির মূল্যের যাকাত আদায় করা আপনার উপর ফরজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
উস্তাদ৷ যে পরিমাণ ধান উতপাদন হয়৷ ১ বছরে এই পরিমাণ ধান দিয়ে আমাদের পরিবার চলেনা বরং ৩,৪ মাস বাজার থেকে কিনে রান্না করতে হয়। তাহলে কি জাকাত ফফরজ হবে?

by (571,080 points)
এক্ষেত্রে ধান ব্যাতিত আপনার মালিকানার নেসাব পরিমান সম্পদ থাকলে সেক্ষেত্রে আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে। 

অন্যথ্যায় আপনার উপর যাকাত ফরজ হবেনা। 
by (11 points)
Assalamualaikum. এখানে প্রথম লিংকে ঢুকে দেখলাম বাংলাদেশের জমি অশরী। তাহলে আমাদের উপর কেন অসর  আদায় করতে হবে না? 
by (571,080 points)
এটা মতবিরোধ পূর্ণ মাসয়ালা।
ঐটা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়।
by (11 points)
তাহলে জমিন খারাজি হওয়ার দলিলটা,  দিলে ভালো হতো। জাযাকাল্লাহ 
by (571,080 points)
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ৬/১৬১,১৭৪,১৬৫,১৭৭)
এবং দারুল উলুম দেওবন্দ এর 66976 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে আমাদের দেশ উশরিও নয়,খারাজিও নয়।
এই জন্য এদেশের শষ্যাদির উপর ওশর অথবা ওশরের অর্ধেক কোনোটাই ওয়াজিব নয়।
কেহ যদি সন্তুষ্টি চিত্তে অংশ নির্দিষ্ট করা ব্যতিত কিছু দেয়,তাহলে কোনো ক্ষতি নেই।
অবশ্য কিছু বা পুরো শষ্য বিক্রয়ের পর নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলে যাকাত দিতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...