আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

সাবতামরীন পরিচালনার জন্য লিডার আপু খুঁজা হচ্ছে, লিডার এর জন্য এপলাই করার আগে ইস্তিখারা করে নিতে বলা হয়েছে।
তো প্রথমে শুনে আমার খুব করতে ইচ্ছা করছিলো অবশ্যই সেটা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আমি এমনি মাগরিবের ফরজ সালাত শেষে দোয়া করেছিলাম যে আল্লাহ যদি আমি এটা করার জন্য যোগ্য হই তাহলে তুমি এটা আমাকে করতে দিও আর যদি আমি যোগ্য না হই আমার চেয়ে অন্য বোনেরা যোগ্য হয়ে থাকে তাহলে তুমি তাদেরকে সুযোগ করে দাও। মানে এই রকম ই কিছু দোয়া করেছিলাম। তারপর নিয়ত ছিল রাতে দুই রাকাত ইস্তিখারা নামাজ আদায় করবো। কিন্তূ সেটা আর করতে পারি নি, তারপর নিজেই ভাবছিলাম আমি এমনি কম কথা বলি, কেউ কে কখনো পড়াই নি এই কাজ আমাকে দিয়ে হবেনা, থাক এপলাই করবো না, এসব ভেবে ঘুমাই গেছি। রাতে তেমন কিছু দেখিনি, কিন্তূ দুপুর ১২ টার দিকে তখন একটু চোখ লাগছিলো আর তখন দেখি -- একজন বয়স্ক বুজর্গ লোক, খাটের ওপর ওনার সামনে বসে আছি, বসার কারণ হলো উনার থেকে আরবি শিখার জন্য বা দ্বীনি পড়াশোনা করার জন্য বসেছি এমন। উনি কেমন দেখতে ছিল সেটা বলি -- ওনার কপালে নামাজ পড়লে যেমন দাগ থাকে তেমন পুরো টা কপাল জুড়ে দাগ ছিল, সাধারণত দাগ থাকে কালো কিন্তূ কপাল এর সেই দাগ সুবুজ কালার ছিল, ওনার গলা আর ঘাড় সেটার স্কিন কালার ও সবুজ ছিল। তারপর ওনার হাতের আঙ্গুল গুলোর দিকে খেয়াল করলাম দেখলাম যে দুইটা দুই টা আঙ্গুল জোড়া লাগানো দুইটা দুইটা করে এমন সব আঙ্গুল জোড়া লাগানো, অনেক চওড়া মোটা আঙ্গুল গুলো। দেখে কিছু টা ভয় লাগছিলো। পরে উনি ওনার কপালের এই দাগ দেখিয়ে কি যেন বলছিলো সেটা মনে নেই, পরে ওই বসে অবস্থাতেই উনি অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়েন। আমি বলছিলাম আপনাকে কি পানি দিবো, দেখি যে ওনার কাছেই পানি ছিল সেটা উনি শুয়েই খাচ্ছিলেন। পরে একবার ভাবছিলাম উনি কি এখন মারা যাবে, মালাকুল মউত কি এসে গেছেন ওনার কাছে এটা ভেবে ভয় পাচ্ছিলাম। তারপর ই চোখ খুলে যায়।

এখন জানতে চাচ্ছিলাম,  এটার কি বাখ্যা হতে পারে।

1 Answer

0 votes
by (644,130 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি সাত দিন ইস্তেহাযা করবেন যদি হাতে সময় থাকে। তারপর মন যে দিকে সায় দিবে, সেদিকে অগ্রসর হবেন। প্রশ্নে বর্ণিত স্বপ্নের বিবরণ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আপনাকে আরো সামান্য যোগ্যতা অর্জন করে নেয়াটাই উত্তম হবে। আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...