আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,726 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
হায়েজ ১১ তারিখে দুপুরের পর শুরু হয়ে ১৫ তারিখে দুপুরের পর থেকে আর হয় নি।এর ১০দিন পরে ২৫ তারিখ থেকে আবার রক্ত বের হতে থাকে তখন ইস্তিহাজা ধরে নামায পড়তে থাকি এখন এ অবস্থায় ৫ দিন পেরিয়ে গেলে রক্ত যদি বের হতেই থাকে আর প্রথম হায়েজ হতে ১৫ দিনের ব্যবধান হয়ে(অর্থাৎ২৮,২৯ তারিখ) যায় তাহলে তখন কি বিধান? তখনও কি ইস্তিহাজা নাকি হায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (717,300 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7474 নং ফাতাওয়ায় এমন এক প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছি যে,
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।আরো জানুন-৭৮

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
তিন দিন পর যদি আপনার হায়েয সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন।আপনার এ হায়েয বন্ধ হয়ে যাওয়া চায় ঔষধের কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক,আপনি  পবিত্র হয়ে যাবেন।

তবে যদি দশ দিনের ভিতর আবার হায়েয চলে আসে,তাহলে আবার আপনি অপবিত্র হয়ে যাবেন।তথা মাঝে বন্ধ হওয়ার পর আবার চালু হলে,সেই রক্তকে হায়েযের রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।যেমন বর্ণিত রয়েছে,

اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)


প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
এক হায়েয থেকে অারেক হায়েয পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১৫ দিনের ব্যবধান থাকতে পারে।অর্থাৎ একবার হায়েয শুরু হয়ে শেষ হওয়ার পর সর্বনিম্ন ১৫ দিন পর দ্বিতীয় হায়েয শুরু হবে।

যেহেতু আপনার ১১ তারিখ হায়েয শুরু হয়ে ১৫ তারিখে দুপুরের পর থেকে আর হয় নি।এর ১০দিন পরে ২৫ তারিখ থেকে আবার রক্ত বের হতে থাকে,এটা ইস্তেহাযা।তবে ধারাবাহিত এ রক্তস্রাব চলতে থাকলে,৩০ তারিখ থেকে আবার হায়েয গণ্য হবে।কেননা ১৫ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় হল,১৫ দিন।আর এক হায়েযের ১৫ দিন পরেই মূলত আরেক হায়েযের সময় আসে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামুআলাইকুম ।
১।১৫দিন পরেও (৩০ তারিখে )রক্ত থাকায় হায়েজ ধরে নামাজ বন্ধ করি কিন্তু একদিন পরই রক্ত বন্ধ হয়ে যায় আর ২য় দিন যোহরের পূর্বে একটু হলদেটে স্রাব দেখি আর এর পরে সাদাস্রাব।এখন আমার করনীয়
 কি?কখন নামাজ পড়ব?
by
নেফাজ টাইম ৪০ দিন শেষ  হবার পর ৭দিনের মাথায় আবার রক্ত দেখা দিলে এটা হায়েজের হুকুমে ধরা হবে নাকি ইস্তেহাজা জানালে উপকৃত হবো।
উল্লেখ্য, নেফাজ টাইম ৪০দিনই ছিলো। অভ্যাসও তাই।
by (717,300 points)
১৫ দিন পর তিন পর্যন্ত যেহেতু রক্তস্রাব স্থায়ী ছিলনা, তাই এটা ইস্তেহাযা।সুতরাং নামায না পড়ে থাকলে, ঐ নামাযগুলোকে কাযা করে নিতে হবে।
by (717,300 points)
নেফাস টাইম ৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ১৫ দিনের পূর্বে রক্তস্রাব আসলে সেটা ইস্তেহাযা।
ago by
আসসালামু ওয়ালাইকুম। আমার একটা খারাপ দিক হলো, আমি হায়েজের দিন গুলো মনে রাখতে পারি না। আমার মনে হয় আমি অক্টোবরের ১ তারিখের পর হায়োজ হয় (খুবই অল্প ছিল, কালো রংয়ের)।সম্ভবত ৩/৪/৫ দিন ছিল। আর দেখা যায় নাই বলে, ৬ তারিখে আমি পবিত্রতা অর্জন করি। এখন আজ বরাবর ১৫ তারিখে আমার আবার হায়েজ শুরু হয় (১০ দিন পর হয়নি)। এটা আমার কয়েক মাস পরপর হয়। প্রথমে খুবই অল্প হয়, কালো রংয়ের থাকে, এরপর কয়েকদিন পর সুন্দর মতো ব্লাড যায়। এখন এটাকে কি হায়েজ হিসেবে ধরবো? 

আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে, সাপোজ ১তারিখ সকাল ১০ টায় হায়েজ শুরু হলো, ৩ তারিখে বন্ধ হয়ে গেল। এরপর ১১ তারিখ রাতে আবার শুরু হলো ১১ তারিখ ১০ টা পর্যন্ত কিন্তু পূর্ণ ১০ দিন ছিল। তাহলে ১০ টার পর থেকে কি ১১ দিন ধরবো উস্তাদ? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 315 views
0 votes
1 answer 240 views
...