তাসবীর বা ফটো নাজায়েজ , তাই সেই ভিত্তিতে ভিডিও,কার্টুন দেখাও নাজায়েজ।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা.)থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ الَّذِينَ يَصْنَعُونَ هَذِهِ الصُّوَرَ يُعَذَّبُونَ يَوْمَ القِيَامَةِ، يُقَالُ لَهُمْ: أَحْيُوا مَا خَلَقْتُمْ "
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,যারা ফটো বানায়, কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলা হবে,যা তোমরা বানিয়েছ তাতে জীবন দাও।[সহীহ বুখারী-৫৯৫১]
,
আরো জানুনঃ
,
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ [٣١:٦]
একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। [সূরা লুকমান-৬]
★কার্টুনও যেহেতু অবান্তর ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের শামিল তাই তা দেখা জায়েজ হবে না।
★ইহা ছাড়াও কার্টুন ইত্যাদিতে গান বাজনা, বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার থাকে।
আরো জানুনঃ
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে যদি মেয়েদের কার্টুন না হয়ে থাকে,গান বাজনা, বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার না থাকে,তাহলে তা দেখা জায়েজ আছে।
,
(০২)
এ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছে
جُمْعَةُ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ هَاشِمٍ أَخْبَرَنَا عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ تَصَبَّحَ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعَ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً لَمْ يَضُرَّه“ فِي ذ‘لِكَ الْيَوْمِ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ.
সা‘দ তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকালবেলায় সাতটি আজওয়া উৎকৃষ্ট খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু তার ক্ষতি করবে না। [বুখারী শরীফ ৫৭৬৮, ৫৭৬৯, ৫৭৭৯]আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৮)
,
وَعَنْ عَائِشَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " إِنَّ فِي عَجْوَةِ الْعَالِيَةِ شِفَاءً ، وَإِنَّهَا تِرْيَاقٌ أَوَّلَ الْبُكْرَةِ " .
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাদীনার উচ্চভূমির ‘আজওয়াহ্ খেজুরের মধ্যে রোগের নিরাময় রয়েছে। আর প্রথম ভোরে তা (খাওয়া) বিষের প্রতিষেধক।
সহীহ : মুসলিম (৫৪৬২)-২৭, সহীহুল জামি‘ ৩৮৯৮, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৩৫৩৯, মুসনাদে আহমাদ ২৪৭৩৭, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৩৪৮০।
,
(০৩)
যেহেতু এটি খেলা স্পষ্ট আকারে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও তাহা জায়েজ হবেনা।
আরো জানুনঃ