আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
১)আসসালামু আলাইকুম। আমার বয়স ২৩ বছর(মেয়ে)।আমার সম্প্রতি বিয়ের কথা চলছে,কিন্তু আমার মায়ের ক্যান্সার  একদমই বিছানায় পড়া।তবে আমার পরিবার ছাড়া বাইরে কেউ জানে না।এটা যদি ছেলে পক্ষ জানে অনেক জায়গা থেকেই বিয়ে ভেঙে যাবে, এটা বাসায় বলে।তবে আমার মনে হয় এটা ছেলে পক্ষকে  জানানো উচিত,কিন্তু সবাই না করে। আমার মনে হয়,এটা যদি না জানিয়ে আমার বিবাহ হয়,আমার  পাপ/ প্রতারনা করা হবে। আমার কি তাদের জানানো উচিত? খুবই দ্বিধায় আছি,আর মায়ের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন শিফা দান করে।

২)আমি  পাত্রের সামনে যখন দেখাদেখির সময় যাই তখন বোরকা পড়ে শুধু মুখ খোলা রেখে যাই।তাই আমার বাড়িতে ফুফু কাকীরা সবাই বলে আমাকে মোটা লাগে ভালো লাগে না।এমনও অনেক হয়েছে বোরকা পড়ে গেলে অনেক ছেলে পছন্দ করে না, কিন্তু যখন অন্য ড্রেস পড়ে যাই তখন পছন্দ করে।এখন আমি কি এমন কাপড় পড়ে ছেলের সামনে যেতে পারব যা  ডিলেডালা হবে,শুধু মুখ হাতের কজ্বি,আর পা দেখা যাবে?
৩) দ্রুত বিয়ে  ও নেককার জীবনসঙ্গী লাভের সবচেয়ে ভালো আমল কি কি?

৪)মৃত ব্যাক্তির সওয়াবের নিয়তে তার জন্য নফল নামজ ও রোজা রাখা যাবে??

1 Answer

0 votes
by (643,650 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) বরের বিয়ে আপনার সাথে হবে। মায়ের অসুস্থতার খবর গোপন করার দ্বারা পাত্রর সাথে প্রতারণা হবে কেন? তাছাড়া দ্বীনদার কোনো পাত্র পাত্রীর মায়ের অসুস্থতার খবরে কখনো বিচলিত হবে না। সুস্থতা অসুস্থতা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। সুতরাং পাত্রীর  মায়ের অসুস্থতা পাত্রীর পছন্দ বা অপছন্দ কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া না হওয়াই উচিত।

(২) আপনি ঢিলেঢালা জামা পরিধান পূর্বক হাত, পা, মুখ খুলা রেখে পাত্রীর সামনে যেতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩) তাহাজ্জুদ নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2122

(৪)
ইবনে নুজাইম রাহ এপিট-ওপিট আলোচনা করে আরও বলেনঃ-
ﻭﺃﻣﺎ ﻗﻮﻟﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ : } ﻻ ﻳﺼﻮﻡ ﺃﺣﺪ ﻋﻦ ﺃﺣﺪ ، ﻭﻻ ﻳﺼﻠﻲ ﺃﺣﺪ ﻋﻦ ﺃﺣﺪ { ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﺣﻖ ﺍﻟﺨﺮﻭﺝ ﻋﻦ ﺍﻟﻌﻬﺪﺓ ﻻ ﻓﻲ ﺣﻖ ﺍﻟﺜﻮﺍﺏ ﻓﺈﻥ ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﺃﻭ ﺻﻠﻰ ﺃﻭ ﺗﺼﺪﻕ ﻭﺟﻌﻞ ﺛﻮﺍﺑﻪ ﻟﻐﻴﺮﻩ ﻣﻦ ﺍﻷﻣﻮﺍﺕ ﻭﺍﻷﺣﻴﺎﺀ ﺟﺎﺯ ﻭﻳﺼﻞ ﺛﻮﺍﺑﻬﺎ ﺇﻟﻴﻬﻢ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ﻛﺬﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﺪﺍﺋﻊ ﻭﺑﻬﺬﺍ ﻋﻠﻢ ﺃﻧﻪ ﻻ ﻓﺮﻕ ﺑﻴﻦ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻤﺠﻌﻮﻝ ﻟﻪ ﻣﻴﺘﺎ ﺃﻭ ﺣﻴﺎ
তরজমাঃ নবীজী সাঃ এর ঐ হাদীস "কেউ কারো পক্ষ্য থেকে নামায/রোজা আদায় করতে পারবে না"এর অর্থ হচ্ছে কেউ কারো পক্ষ্য থেকে তার উপর আরোপিত ফরয/ওয়াজিব হুকুম- আহকাম আদায় করতে পারবে। বরং নিজ ফরয/ওয়াজিব নিজেই আদায় করতে হবে। অন্যর ফরয/ওয়াজিব আদায় করে তাকে দায় মুক্ত করানো যাবে না।
তবে নফল ইবাদতের সওয়াব জীবিত/মৃত যে কাউকে দেয়া জায়েয আছে।এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতে উক্ত সওয়াব প্রেরণকৃত ব্যক্তির কাছে গিয়ে পৌছে।(বাদায়ে সানায়ে)নফল ইবাদতের সওয়াব পৌছতে জীবিত/মৃতর কোন পার্থক্য নেই। (বাহরুর রায়েক,হজ্ব অধ্যায়;৩/৬৩) বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/3565

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মৃত ব্যাক্তির সওয়াবের নিয়তে তার জন্য নফল নামায ও রোজা রাখা যাবে। এতেকরে মৃত ব্যক্তির নিকট গিয়ে সওয়াব পৌছবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 130 views
...