আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম
1.আমি সারাক্ষণ ই বলতে থাকি যে আমি তালাক নেই নাই।আজকে নেই নাই বলার সময়  এই দুই শব্দ বলার মাঝে একটু( প্রায় ২ সেকেন্ড)  বিরতি  হয়ে যায়।কিন্তু আমার নিয়ত ছিলো যে আমি তালাক নেই নাই।এটার জন্য তো কোনো সমস্যা হবে না।
2.আমি বলসি যে,"আমি তা,,ক নিসিলামনা।"এইটা দিয়ে বুঝাইসি যে আমি তালাক নেই নাই।উক্ত বাক্যটি লিখার সময় না অক্ষর টা খুঁজতে গিয়ে না লিখতে একটু সময় লাগসে।তখন এক সেকেন্ড এর মতো শব্দ টা বিপরীত  শব্দ৷ হয়েছিলো।মনে মনে না না করসি।সমস্যা হবে?।আমি নেই নাই বুঝাইসি। আমার উক্ত কথার জন্য কি সমস্যা হবে? আমি কোনোদিন তালাক নেইনাই।নিবো ও না।

3.হুজুর আমি বলসিলাম" নিসিনা "  মানে হচ্ছে নেই নাই।আমি নেই নাই নিবো ও না
এটার জন্য তো সমস্যা হবে না।তাই না?
4.
আমার হাসবেন্ড বিয়ের শুরুর দিকে উনার কিছু প্রব্লেমের জন্য আমাকে বলসিলো যে, "তুমি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিও।" এই কথাটার জন্য কি আমি সারাজীবন অধিকার পাবো।?

 উনি নাকি অধিকার দেয়ার নিয়তে বলেন নি।অধিকার দেয়ার বিষয়ে উনার নলেজ ও ছিলো না। উনার কিছু প্লব্লেমের জন্য দু:খ করে বলসিলো।পরে সেই প্লব্লেম সলভ হয়ে যায়।

1 Answer

0 votes
by (643,950 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্পর্কিত সর্ববৃহৎ ফাতাওয়া গ্রন্থ,আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যায় বর্ণিত রয়েছে,
وَلَوْ حَدَّثَ نَفْسَهُ أَنَّهُ يُطَلِّقُ زَوْجَتَهُ، أَوْ يُنْذِرُ لِلَّهِ تَعَالَى شَيْئًا، وَلَمْ يَنْطِقْ بِذَلِكَ، لَمْ يَقَعْ طَلاَقُهُ، وَلَمْ يَصِحَّ نَذْرُهُ  لِقَوْل النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لأُِمَّتِي عَمَّا وَسْوَسَتْ - أَوْ حَدَّثَتْ - بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَل بِهِ أَوْ تَكَلَّمْ. وَقَال قَتَادَةُ بَعْدَ أَنْ رَوَى الْحَدِيثَ: إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِهِ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ. وَقَال عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ: لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوَسِ. وَعَلَّقَ ابْنُ حَجَرٍ عَلَى هَذَا الْقَوْل شَارِحًا لَهُ: أَيْ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ؛ لأَِنَّ الْوَسْوَسَةَ حَدِيثُ النَّفْسِ، وَلاَ مُؤَاخَذَةَ بِمَا يَقَعُ فِي النَّفْسِ
যদি কেউ মনে মনে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়, বা মনে মনে কোনো নযর করে,এবং এ নিয়ে কোনো কথা মুখ দ্বারা উচ্ছারণ না করে,তাহলে তালাক সাব্যস্ত হবে না।তার নযরও বিশুদ্ধ হবে না।যেমন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসাকে ক্ষমা করে দেবেন,এবং মনের কথাকেও ক্ষমা করে দেবেন,যতক্ষণ না আমলে পরিণত করছে বা মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে বলছে।কাতাদাহ রাহ উক্ত হাদীসকে বর্ণনার পর বলেন,মনে মনে তালাক দিলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।উকবাহ ইবনে আমির রাহ মনে করেন,ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত লোকের তালাক পতিত হবে না।ইবনে হাজর রাহ উক্ত কথার ব্যখ্যা করে আরেকটু বাড়িয়ে বলেন,তালাক পতিত হবে না।কেননা ওয়াসওয়াসা হল,মনের কথা।আর মনের কথা দ্বারা তালাক পতিত হয় না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাহ-৪৩/১৪৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রশ্নের বিবরণমতে তকমালাক হবে না।
(২) প্রশ্নের বিবরণমতে তকমালাক হবে না।
(৩) প্রশ্নের বিবরণমতে তকমালাক হবে না। পরিবারে কোনো সমস্যা হবে না 
(৪)  "তুমি আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিও।" এই কথাটার জন্য আপনি সারাজীবন অধিকার পাবেন না। বরং মজলিস পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...