আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমার স্বামী একবার প্রচন্ড রাগের মাথায় কুফুরি কথা বলেছে। অর্থাৎ ইসলামকে ছোট করে কথা বলেছে। কিন্তু পরক্ষণেই অনুতপ্ত হয়ে তওবাহ করেছে এবং আমার কাছে তা স্বীকার করেছে। তা প্রায় ৭-৮ মাস আগের কথা।
এখন আমি জানতে পারি স্বামী স্ত্রীর যে কোনো একজন কাফের হয়ে গেলে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আমার প্রশ্ন হলো রাগের মাথায় কুফুরি কথা বলায় সে কি কাফের হয়ে গেছে? যদিও সে পরক্ষণেই তওবাহ করেছে এবং সে আলহামদুলিল্লাহ ধার্মিক মানুষ। এখন রাগের মাথায় কুফুরি কথা বলায় কি আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে? এটা নিয়ে এখন আমার খুবই ওয়াসওয়াসা কাজ করছে। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়ে থাকলে এখন করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (73,920 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/66780/  ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ

শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (সূরা তওবা, আয়াত নং- ৬৫-৬৬)।

,

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (সূরা ইউনুস, আয়াত নং- ১১)।

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে।

,

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-

‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’। (সূরা নিসা, আয়াত নং-১৪০)।

,

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

,

১. কেউ দ্বীনের কোনো বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করলো, যেমন পর্দা নিয়ে কটাক্ষ বা কুফরী করলো, তাহলে তাকে পুনরায় ঈমান নবায়ন করতে হবে।

কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করতে হবে, তওবা করতে হবে। বিবাহিত হলে বিবাহ নবায়ন করতে হবে।

,

২. আপনাদের পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

আরো জানুন - https://ifatwa.info/66780/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
হুজুর এক্ষেত্রে বিয়ে পড়ানোর সময় কি পিতার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক?  নাকি যে কোনো দুজন সাক্ষী থাকলেই হবে? আর মোহরানা কি নতুন করে ধার্য করতে হবে ও পূরণ করতে হবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...