আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম
গতকালকে আমার এক পোস্টে মুফতি ইমদাদুল সাহেব কমেন্ট করেছিলেন।
হুজুর আমার ওয়াইফ নাকি নিয়ত সম্পর্কে সন্দিহান। এতটুক শিউর নিজের উপর তালাক নেয়নি। সেই নিয়তে ও কিছু বলে নি।তার নিয়ত ছিলো।হয় স্বামী ব্যবস্থা নিবে না হয় সে তালাকের নোটিশ পাঠাবে।কিন্তু কোনোদিন পাঠায় নি।নিজের উপর তালাক নেয়নি।
গতকালকের পোস্ট টা বোঝার সুবিধার্তে একটু আবার দেয়া হলো।কিছু লাইন এড করা হয়েছে।
১.ঝগড়ার সময় স্ত্রী হাসবেন্ড কে বললো "আমি তোমার সংসার করবো না"। "স্বামী বললো" না করলে না করবা/করিও না। স্ত্রী রাগের মাথায় সংসার একেবারেই করবে না, তালাকের ব্যবস্থা স্বামীর পক্ষ থেকে নেয়া হোক /নিজের বাবা মা কে বলে স্বামীকে তালাক এর নোটিশ পাঠাবে এই নিয়তে বললো, "আমি করবো না।"কারণ স্ত্রী জানতো মহিলা দের কাজীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠাতে হয় এবং মহিলারা তালাক দিতে পারে না। কিন্তু মহিলা নিজের উপর তালাক নেয়নি এই ব্যাপারে সে ১০০% শিউর।সে নিয়তে ও কিছু বলেনি।এবং পরবর্তীতে কোনো নোটিশ ও পাঠায় নি।
 এর দ্বারা কি সমস্যা হবে?
২.রাগের সময় হাসবেন্ড বললো, "সংসার বাদ দাও" স্ত্রী বললো, "বাদ দিলাম"। এ কথা যদি স্ত্রী সংসার শেষ করার নিয়তে বলে দিলে কি তালাক হবে? নিজের উপর তালাকের নিয়তে বলেনি।নিজে সংসার শেষ করার নিয়তে বলে নি। তবে ভেবেছিলো হয়তো যে বাবা মাকে বলে /নিজে ডিভোর্স নোটিশ পাঠাবে।কারণ স্ত্রী জানতো মহিলা তালাক দিতে পারে না।কিন্তু নোটিশ পাঠাতে পারে।কিন্তু উক্ত কথা বলার সময় স্ত্রীর সংসার করার, সম্পর্ক টানার ইচ্ছা ছিলো না।নিজের উপর তালাক নেয়নি।  স্বামী ও তালাক দেয়ার নিয়তে বলে নি।
৩.হাসবেন্ড বললো সংসার করতে না চাইলে বলে দাও।ওয়াইফ বললো চাই না বলে দিলাম।উক্ত কথা বলার সময় স্ত্রীর সংসার করার সম্পর্ক টানার ইচ্ছা ছিলো না।নিজের উপর তালাক নেয়নি।
নিয়ত ছিলো হয় স্বামী ব্যবস্থা নিবে নাহয় নিজে নোটিশ পাঠাবে।নিজেকে তালাক দেয়নি।সে নিয়তে ও বলে নি কিছু।
এতে সমস্যা হবে?
by
এভাবে প্রশ্ন করলে উনারা উত্তর দেন না।আপনি কমেন্ট ডিলেট করে আলাদা পোস্ট করুন।

1 Answer

0 votes
by (616,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা। 

প্রশ্নে উল্লেখিত দম্পত্তির বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...