আসসালামু আলাইকুম
গতকালকে আমার এক পোস্টে মুফতি ইমদাদুল সাহেব কমেন্ট করেছিলেন।
হুজুর আমার ওয়াইফ নাকি নিয়ত সম্পর্কে সন্দিহান। এতটুক শিউর নিজের উপর তালাক নেয়নি। সেই নিয়তে ও কিছু বলে নি।তার নিয়ত ছিলো।হয় স্বামী ব্যবস্থা নিবে না হয় সে তালাকের নোটিশ পাঠাবে।কিন্তু কোনোদিন পাঠায় নি।নিজের উপর তালাক নেয়নি।
গতকালকের পোস্ট টা বোঝার সুবিধার্তে একটু আবার দেয়া হলো।কিছু লাইন এড করা হয়েছে।
১.ঝগড়ার সময় স্ত্রী হাসবেন্ড কে বললো "আমি তোমার সংসার করবো না"। "স্বামী বললো" না করলে না করবা/করিও না। স্ত্রী রাগের মাথায় সংসার একেবারেই করবে না, তালাকের ব্যবস্থা স্বামীর পক্ষ থেকে নেয়া হোক /নিজের বাবা মা কে বলে স্বামীকে তালাক এর নোটিশ পাঠাবে এই নিয়তে বললো, "আমি করবো না।"কারণ স্ত্রী জানতো মহিলা দের কাজীর মাধ্যমে নোটিশ পাঠাতে হয় এবং মহিলারা তালাক দিতে পারে না। কিন্তু মহিলা নিজের উপর তালাক নেয়নি এই ব্যাপারে সে ১০০% শিউর।সে নিয়তে ও কিছু বলেনি।এবং পরবর্তীতে কোনো নোটিশ ও পাঠায় নি।
এর দ্বারা কি সমস্যা হবে?
২.রাগের সময় হাসবেন্ড বললো, "সংসার বাদ দাও" স্ত্রী বললো, "বাদ দিলাম"। এ কথা যদি স্ত্রী সংসার শেষ করার নিয়তে বলে দিলে কি তালাক হবে? নিজের উপর তালাকের নিয়তে বলেনি।নিজে সংসার শেষ করার নিয়তে বলে নি। তবে ভেবেছিলো হয়তো যে বাবা মাকে বলে /নিজে ডিভোর্স নোটিশ পাঠাবে।কারণ স্ত্রী জানতো মহিলা তালাক দিতে পারে না।কিন্তু নোটিশ পাঠাতে পারে।কিন্তু উক্ত কথা বলার সময় স্ত্রীর সংসার করার, সম্পর্ক টানার ইচ্ছা ছিলো না।নিজের উপর তালাক নেয়নি। স্বামী ও তালাক দেয়ার নিয়তে বলে নি।
৩.হাসবেন্ড বললো সংসার করতে না চাইলে বলে দাও।ওয়াইফ বললো চাই না বলে দিলাম।উক্ত কথা বলার সময় স্ত্রীর সংসার করার সম্পর্ক টানার ইচ্ছা ছিলো না।নিজের উপর তালাক নেয়নি।
নিয়ত ছিলো হয় স্বামী ব্যবস্থা নিবে নাহয় নিজে নোটিশ পাঠাবে।নিজেকে তালাক দেয়নি।সে নিয়তে ও বলে নি কিছু।
এতে সমস্যা হবে?