আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
বিঃদ্রঃ আমি ওসওয়াসা রোগী যদি এতটুকু বলে দেন যে এগুলো ওসওয়াসা কিনা এনেক পেরেশানি দুর হত ইংশাআল্লাহ কারন আমি ওসওয়াসা হলে পাত্তা দেই না কিন্তু আমি জানিনা ওসওয়াসা কোনটা

১।   আমাদের পাশের এলাকার একজন ফেসবুকে রাসুল সাঃ কে কটুক্তি বা শানের খেলাফ কাজ করছে। সে লেখাটা আমি দেখছি পড়ার আগেই শড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি তারপরও একটু মনে পড়া হয়ে গেছে সেই পড়াটা খালি সারাদিন মনে আসে তাতে করে ইমানে সমস্যা হবে কি। আর আসলে পাত্তা না দেওয়াই উচিত।

২।সেই সহ অনন্য শাতিম বা মুরতাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হয়েছে আমি জানিনাই তারপর তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে এখন  জেলে আছে কি না জানিনা কি শাস্তি হবে জানিনা।  এখন কি তার বিরুদ্ধে আমার আন্দোলন করতে হবে?


৩।শাতিমে রাসুল সাঃ সহ অমুসলিমদের   কে ঘৃনা করতে গেলে  খালি মনে ভয় হয় যদি আমি শাতিমে রাসুল সাঃ বা অমুসলিম  হয়ে যাই বা হয়ে যেতে পারি। এখন আমার কি এইসব বিষয় মনে পাত্তা না দেওয়া উচিৎ।

৪।খালি মনে ভয় হয় যদি আমি ইমান নিয়ে মরতে না পারি এরকম বিষয় মনে আসলে পাত্তা না দেওয়াই উচিত?
৫। আমার মেয়ের বয়স ২ বছর হইছে। একটা ছেলে আছে প্রতিবন্ধির মত মনে হয় কথা জরিয়ে যায় সে ছেলে বিয়ে করতে চায় আমাদের মাদ্রাসায় পরে মা বাবা নাই ভাইয়েরা দেখে না। এখন আমার মনে আসে যে তার সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিতে হবে।তার কাছে বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে নাই  যে এরকম ছেলের কাছে বিয়ে দেওয়ার   তখনই মনে আসে আল্লাহ পাক রাসুল সাঃ উনাদের মহব্বতে সমস্যা হবে কি আবার রাসুল সাঃ হাদিসে বলছেন কিনা যদি বলেন তাহলে তো বিয়ে দিতে হবে এরকম ছেলের কাছে কিভাবে বিয়ে দেই এরপর মনে মনে রাগ উঠে খুবই পেরেশান লাগে আবার মনে আসে যে আম্মা জান আয়েশা রাঃ এর ৭ বছরে বিয়ে হইছে আমার মেয়ে কে দিতে হবে আমার ইচ্ছে যে ১৬ থেকে বিয়ে দেওয়ার তারপর মনে আসে আল্লাহ পাক রাসুল সাঃ কে মহব্বত করি না ?

৬।খালি মনে আসে তোর মেয়ে কে মাসনা দিতে হবে, মেথর, রিকশা ওয়ালা বা ছোটো খাটো কাজ করে বা আমার পছন্দ হয়না এরকম পাত্রের কাছে বিয়ে দিতে হবে মনে আসে যে আমার পছন্দের পাত্র নাকি দ্বীনদার হবেনা তাদের কাছে বিয়ে দিতে হবে ?

৭।কোনো হালাল ইনকাম নিজের পছন্দ মত করতে গেলে খালি মনে আসে যে নামাজ পড়তে পারবি না আল্লাহ পাক এর ইবাদত ঠিক মত করতে পারবি না খালি আমার পছন্দ না হয় এরকম কাজ করার কথা আসে যে শুধু একাজ করলে আল্লাহ পাক এর ইবাদাত করতে পারবি। আরও মনে আসে আমি কোনো ইনকাম করতে পারবো না অন্যের অধিনে বা অপছন্দের কাজগুলো করবি অথবা ভিক্ষা করে খেতে হবে
এগুলো কি কারনে হয়?
৮।একটা জিনিস সম্পর্কে জানিনা হালাল নাকি হারাম আমার ইচ্ছে যে মাসআলা  জেনে তারপর আমল করা কিন্তু মনে আসে যদি এটা হয় মানে আমার মানতে কষ্ট হবে এরকম বেপার আসে তারপর আল্লাহ পাক রাসুল সাঃ উনাদের প্রতি রাগ উঠে মনে মনে।  আবার মনে হয় আল্লাহ পাক রাসুল সাঃ উনাদের মহব্বতে সমস্যা হবে । আবার যাই করি খালি মনে আসে যে আল্লাহ পাক রাসুল সাঃ উনাদের মহব্বতে সমস্যা হবে?

৯।আমার জানা মতে কোরআন তিলাওয়াত করা নফল ইবাদত আর মোবাইলে তিলাওয়াত শুনা  অনেকের মতে সওয়াব আবার অনেকের মতে শুধু জায়েজ। কিন্তু আমার মনে আসে যে সবসময় কোরআন তিলাওয়াত শুনতে হবে শুনলে গুনাহ করছি বা আল্লাহ পাক রাসুল সাঃ উনাদের মহব্বত করি না।
১০।মন খালি আগে যে পুজা দেখতে গেছিলাম সেই যায়গায় যায় যে রাস্তা দিয়ে গেছিলাম  সেই রাস্তা মন্দিরের পাশে  রাস্তায় যায় ভালো লাগতে চায়।অথবা ধারনা হয়  এগুলো হিন্দুদের বা অন্যন্য অমুসলিমদের ব্যাক্তিগত ধর্মীয় বিষয় তাদের এলাকায়  সেই দিকে মন যায় কি কারনে?
১১।যাই করি মন খালি বেশির ভাগই সেখানে থাকে যা  আমার ধারনা হিন্দুদের বা অন্যন্য অমুসলিমদের এলাকা তাদের নামে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সহ সকল বিষয় কিন্তু মনে আসে যদি তাদের না হয় আমার খালি মনে আসে তাদের না হয় মুসলমানদের হয় কিন্তু দেখে মনে হয় না কোনো মুসলমানদের হবে কি কারনে হয়।
১২।বান্দার হক নষ্ট সহ কবিরা সগিরা গুনাহ করলে তওবা করি বা না করি তখন আমার ধারনা করা অমুসলিমদের বিষয়ের দিকে চলে যায় আবার আমার ধারনা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে এরকম বিষয়ের দিকে যায়   কি কারনে?

1 Answer

0 votes
by (616,290 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...