মাছের পানি পবিত্র এমনকি মাছের রক্তও পাক।যদি কাপড়ে মাছের পানি বা রক্ত লাগে তাহলে কাপড় নাপাক হবে না এবং ঐ কাপড় পরে নামাজ পড়া জায়েয আছে।
আল্লামা কাসানী (রহ.) তার কিতাবে লিখেন,
‘মাছের রক্ত ইমাম আবু হানীফা (রহ.) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রহ.)-এর নিকট পবিত্র। কারণ সকল উম্মত এ ব্যাপারে একমত যে, মাছ রক্ত সহকারে খাওয়া যায়। যদি তা পবিত্র না হত তাহলে তা বৈধ হত না।’ [বাদায়েউস সানায়ে ১/৬১]
তাছাড়া মাছের রক্ত মূলত রক্তই নয়। কারণ রক্তওয়ালা প্রাণী পানিতে বেঁচে থাকতে পারে না। সুতরাং মাছের রক্ত যদি কাপড়ে বা শরীরে লাগে তাহলে তা নাপাক হবে না।
রদ্দুল মুহতার ১/৩২২; শরহুল উমদাহ ১/১০৯; আল ইনসাফ ২/৩২৩
جاء في الأصل 1/ 555 ( ط: الاجرار) باب الوضوء و الغسل من الجنابة ، قلت أرأيت دم السمك ماقولك فيه ؟ قال : ليس دم السمك بشيء ، و لا يفسد شيئا ، انتهى
আমি বললাম: মাছের রক্ত সম্পর্কে তুমি কী বলো? তিনি বললেন: মাছের রক্ত কিছুই নয়, এবং এটি কিছুই নষ্ট করে না।
মাছের মধ্যে রক্তের মত লাল কালারের যে জিনিস দেখা যায় তা এক ধরনের তরল পদার্থ। রক্ত নয় ।সুতরাং তা পাক।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মাছ,মাছের আইশ, বিষ্ঠা,রক্ত,নাড়িভুরি এগুলো পাক।
(০২)
পাকা মেঝেতে বাবু প্রসাব করলে যদি প্রসাব শুকনা নেকড়া দিয়ে মুছে ফেলা হয় এবং জায়গাটা শুকিয়ে যায়,তাহলে জায়গা পাক হবেনা।
এই শুকনা মেঝের উপর দিয়ে ভেজা পায়ে হাটলে পা নাপাক হবে।
বাবুর গায়ে লেগে থাকা প্রসাব মুছে ফেললে অথবা শুকিয়ে গেলে তাদের ধরলে কি শরীর নাপাক হবেনা।
হ্যাঁ ভেজা হাতে/ভেজা কাপড়ে তাদেরকে ধরলে আপনার হাত/কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
★পাকা মেঝেতে বাবু প্রসাব করলে পবিত্র নেকড়া ভিজিয়ে সেই স্থান ৩ বার ভালোভাবে মুছে দিতে হবে,প্রত্যেকবার পবিত্র পানিতে সেই নেকড়া ধুয়ে নিতে হবে।
(০৩)
ডিম ভাঙার সময় ডিমের কোনো অংশ বিষ্ঠার সাথে লাগলে এমতাবস্থায় ডিমের অংশের মধ্যে বিষ্ঠা দেখা গেলে ডিম নাপাক হবে। অন্যথান নয়।
(০৪)
নামাজ হয়ে যাবে।
(০৫)
(০৬)
আসলেই সেখানে সাদাস্রাব না গেলে থাকলে সেই পায়জামাতে নামাজ পড়া যাবে।
এখন কথা হলো পায়জামা যদি আপনি সব সময় সাবান দিয়ে ধুয়ে দেন,সেক্ষেত্রে সেই পায়জামাতে সাদা স্রাব না লাগলে কোনোভাবেই সাদা স্রাব এর গন্ধ আসার কথা নয়।
তাই পায়জামায় সাদা স্রাব লাগলে সেই পায়জামা সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধোয়া পরামর্শ থাকবে।