আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
আস সালামু আলাইকুম মুফতি সাহেব গন ।

ধরেন একজন ছেলে সে হাঠাৎ শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে মুসলিম  থেকে অমুসলিম হয়ে গিয়েছে ।৬ মাস সে নিয়মিত শিরক করেছে মূর্তিপূজা করেছে।সে আল্লাহর শানে বেয়াদবি করেছে ,বেয়াদবি মূলক কথা বলেছে অনেক বার ,রাসূলের শানে অবমাননাকর কথা বলেছে অনেক অনেক বার,ইসলামের শানে কুরআনের শানে মসজিদের শানে অবমাননাকর কাজ করেছে অনেক বার এই ৬ মাসে।৬ মাস পর সে বুঝতে পারছে সে আবার একা একাই বিশ্বাসের সহিতে কালেমা শাহাদাৎ পাঠ করেছে ঈমান নবায়ের জন্য ।

প্রশ্ন :তার কি ঈমান নবায়ন হবে।

প্রশ্ন:সে যদি খালেছ নিয়তে খালেছ অন্তরে লজ্জিত অনুতপ্ত হয়ে এই সবের জন্য আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়াতুব ইলাহি বলে তওবা করে তার তওবা কি হবে।

এই ব্যাক্তি কি ক্ষমা পাবে আবার মুসলিম হতে পারবে।দয়া করে কুরআন হাদিসের আলোকে উওর দিয়ে বাধিত করবেন ।

1 Answer

0 votes
ago by (70,560 points)

 

بسم الله الرحمن الرحيم

 

জবাবঃ-

https://ifatwa.info/3848/   নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কোনো মুরতাদ ব্যাক্তি যদি ইসলাম গ্রহন করতে চায়তাহলে তাকে প্রথমে  কালেমায়ে শাহাদাত পড়তে হবে।

أشهد أن لا إله الا الله  وأشهد أن محمدا عبده ورسوله

অর্থাৎ তাকে বলতে হবে যে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ, মাবুদ নেই,আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তায়ালার বান্দা এবং তার রাসুল।

 অতঃপর  ইসলাম ব্যতিত অন্য ধর্ম বাতিল বলে তাকে ফিরে আসতে হবে।

অতঃপর তাকে তওবা করতে হবে যে আমার পূর্বের যাবতীয় কর্মকান্ড থেকে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করিতেছি। আমি লজ্জিত অনুতপ্ত, আমি আর কোনো দিন এহেন কাজ করিবোনা,এহেন বিশ্বাস স্থাপন করিবোনা। (তারপর থেকে ইসলাম ধর্মের যাবতীয় বিধান তাকে মনেপ্রানে,কাজেকর্মে মানতে হবে।) এর পর থেকে তাকে মুসলমান হিসেবে গন্য করা হবে। (ফাতাওয়ায়ে খতমে নবুয়্যত ১/৩০০)

   ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছেঃ

 واسلامه أي المرتد أن يأتي   بكلمة  الشهادة ويتبرأ  عن الأديان كلها سوي  الإسلام وأن  يتبرأ عما انتقل  إليه

যার সারমর্ম হলো   প্রথমেই মুরতাদ ব্যাক্তিকে  কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করতে হবে,তারপর ইসলাম ধর্মকে অন্যান্য ধর্মের উপর প্রাধান্য দিতে    হবে,তারপর তাকে পূর্বের মতবিশ্বাস,কাজকর্ম থেকে ফিরে আসতে  হবে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ২/২৫৩ মাতবুয়ায়ে মাজিদাহ কোয়েটাহ)    

সুতরাং উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অবলম্বন করে তাকে মুসলমান হতে হবে,তাকে অন্য কারো হাতে বা কারো মাধ্যমে ইসলাম গ্রহন করার প্রয়োজন নেই ।

 সে যদি অন্য কারো মাধ্যেমে ইসলাম গ্রহন করে,তাহলেও সে মুসলমান হয়ে যাবে,এতে কোনো সমস্যা নেই।    সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নেলিখিত ছুরতে যদি কোন ব্যক্তি ইসলাম থেকে মুরতাদ হওয়ার পর পুনরায় উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে খালেস অন্তরে পূর্বের যাবতীয় গুনাহ থেকে তাওবা করে তাহলে তার তাওবা কবুল হবে বলে আশা করা যায় ইনশাআল্লাহ। এর মাধ্যমে তার ঈমান নবায়ন হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...