আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মেয়ের ইচ্ছা না থাকা সত্বেও বিয়ে দেয় পরিবার। এখানে কাবিন বা আকদ করিয়ে রাখে কিন্তু স্বামীর বাড়ীতে স্ত্রী কখনো যায় নাই। এবং কখনো বাসর রাত এবং সহবাস হয় নাই। একদিন স্বামী স্ত্রীর বাড়িতে এসে স্ত্রীর রুম এ ঢুকে যায় এবং দরজা লাগিয়ে দেয়, আর তখন স্ত্রী সেই রুম এ থাকা ডাইনিং টেবিল এ বসে ছিল, এবং স্বামীকে দেখে এবং দরজা লাগিয়ে দেয়ায় চিল্লাচিল্লি করে এবং কাছে আসতে দেয় না, কারণ মেয়ের থেকে স্বামীর বয়স অনেক বেশি হওয়ায় মেয়ে কখনো সংসার করতে রাজি ছিল না। তো এই চিল্লাচিল্লি রাগারাগি এক পর্যায়ে মারামারি হয় এবং স্বামী স্ত্রীকে মেরে রক্তাক্ত করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। বলে রাখা ভালো মেয়ের পরিবার এর সবাই মেয়ের ঘরের বাইরে উপস্থিত হিয়ে গিয়েছিল, মেয়ের চিল্লানোর শব্দ শুনে। কিছুদিন পর মেয়ে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিলে স্বামী সই করে এবং ডিভোর্স সম্পন্ন হয়।
তো এক্ষেত্রে কি খলওয়াত সহিহা হবে কিনা এবং মেয়ের ইদ্দত পালন করা লাগবে কিনা.? জানালে খুব উপকৃত হতাম।

1 Answer

0 votes
by (662,340 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিবাহের পর স্বামী স্ত্রী খালওয়াত তথা নির্জন অবস্থায় থাকার পর স্ত্রী নিজেকে স্পর্শ করতে না দিলে, স্বামী যদি তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে কি স্ত্রী পূর্ণ মহরের অধিকারী হবে না অর্ধেক মহর প্রাপ্ত হবে? এ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হল, এক্ষেত্রে স্ত্রী অর্ধেক মহর নিবে।
لما في الهندية ج١،ص:٣٠٥
وَإِنْ خَلَا بِهَا وَلَمْ تُمَكِّنْهُ  مِنْ نَفْسِهَا اخْتَلَفَ الْمُتَأَخِّرُونَ فِيهِ قَالَ بَعْضُهُمْ: لَا تَصِحُّ الْخَلْوَةُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ تَصِحُّ كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ 

 قال العلامۃ الحصکفی: 
وَالْكَلْبُ يَمْنَعُ  إنْ) كَانَ (عَقُورًا: وَعِنْدِي أَنَّ كَلْبَهُ لَا يَمْنَعُ مُطْلَقًا (أَوْ) كَانَ (لِلزَّوْجَةِ وَإِلَّا) يَكُنْ عَقُورًا وَكَانَ لَهُ (لَا) يَمْنَعُ  (الدرالمختار علی ہامش ردالمحتار ۲:۳۶۸ مطلب فی احکام الخلوۃ)

(قوله إن كان عقورا مطلقا) أي سواء كان كلبه أو كلبها (قوله لا يمنع مطلقا) أي عقورا أو لا، وعلله في الفتح بقوله لأن الكلب قط لا يعتدي على سيده ولا على من يمنعه من سيده عنه. اهـ. وحينئذ فلو رآه الكلب فوقها يكون سيده في صورة الغالب لها فلا يعدو عليه، وكذا لو أمرها الزوج أن تكون فوقه لأنها وإن كانت في صورة الغالبة له وأمكن أن يعدو عليها الكلب لكن يمنعه سيده عنها فتصح الخلوة فافهم (قوله أو كان للزوجة) أي أو كان غير عقور وكان للزوجة فإنه يكون مانعا لكن مقتضى ما علل به في الفتح أنه لا فرق بين كلبه وكلبها لأن كلبها وإن رآها تحت الزوج يمكن أن تمنعه عنه فلا يعدو عليه فتصح الخلوة تأمل (قوله وكان له) بالواو. وفي بعض النسخ بأو وهو تحريف. اهـ. ح أي لأن الصور أربع: عقور له أو لها، وغير عقور كذلك، فذكر أولا أن المانع ثلاث صور: عقور مطلقا، وغير عقور هو لها وبقي غير مانع. الصورة الرابعة هي أن يكون غير عقور وكان له (ردالمحتار-ج٣،ص١١٥)

إذَا خَلَا بِهَا  وَلَمْ تُمَكِّنْهُ  مِنْ نَفْسِهَا اخْتَلَفَ الْمُتَأَخِّرُونَ فِيهِ قَالَ: وَفِي طَلَاقِ النَّوَازِلِ عَلَيْهِ نِصْفُ الْمَهْرِ، (الدرالمختار علی ہامش ردالمحتار ٣/١٢٢ مطلب فی احکام الخلوۃ)

খালওয়াত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1467

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
যেহেতু স্ত্রী স্বামীকে স্পর্শ করতে দিচ্ছেন না, স্ত্রী অর্ধেক মহরের হকদার হওয়াই যুক্তিসঙ্গত মনে হচ্ছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...