আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
13 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
একজন মহিলা সঞ্চয়পত্র কিনেছেন। ব্যবসা করার সুযোগ তার নেই। এই সঞ্চয়পত্র থেকে প্রাপ্ত লাভ তিনি নিজে ব্যবহার করেন না। গরিব আত্মীয় স্বজন বা অনাত্মীয় কে দিয়ে দেয়।
সম্প্রতি ঐ মহিলার একমাত্র সন্তান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। বিদ্যালয়ের সব ফ্যান, লাইট, পানির মোটর, ইলেকট্রিক তার সব কয়েক মাস আগে চোর নিয়ে গেছে। বাচ্চাদের থেকে কোন ফি নেয়া হয় না। বেশির ভাগ বাচ্চা খুব গরীব,  অথবা নিম্ন মধ্যবিত্ত। তীব্র গরমে তাদের খুব কষ্ট হয়। লাইট না থাকায় ক্লাসরুম গুলো ঝড় বৃষ্টির সময় অন্ধকার হয়ে যায়।

এমতাবস্থায় ঐ মহিলা কি সঞ্চয়পত্রের সুদের টাকায় কিছু ফ্যান লাইট উক্ত বিদ্যালয়ে ক্রয় করে দিতে পারবেন?? মহিলা তার নিজের পরিচয় গোপন রাখবেন। দয়া করে দ্রুত উত্তর প্রদান করে কৃতজ্ঞ করবেন।

1 Answer

0 votes
ago by (643,950 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم
যদি কোনো ওয়ারিছ তার মুরিছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তির ব্যাপারে জানে যে, এটা হারাম মাল। এবং ঐ মাল বা সম্পদের মালিক সম্পর্কে তার জানা থাকে, তাহলে তখন ঐ সম্পদকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু যদি কোনো মাল-ধৌলত এর মালিক সম্পর্কে জানা না থাকে, তবে এতটুকু জানা থাকে যে, মূলত এটা হারাম মাল, তাহলেও এটা ওয়ারিছের জন্য হালাল হবে না, বরং সেটাকে তার মালিকের পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিতে হবে। (রদ্দুল মহতার-৫/৯৯,শামেলা নুসখা)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1967

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুদের টাকাকে হয়তো ব্যাংককে ফিরিয়ে দিতে হবে নতুবা সদকাহ করতে হবে। জনস্বার্থে ব্যবহারের রুখসত কেউ কেউ দিয়ে থাকলেও অধিকাংশ দারুল ইফতার সিদ্বান্ত হল, একমাত্র গরীবকেই দান করতে হবে। সুতরাং বলা যায়, সুদের টাকাকে স্কুলের ফ্যান লাইটের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...