আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু,,
উস্তাজ,আমার ওয়াসওয়াসার সমস্যা,খারাপ স্বপ্ন দেখা ইত্যাদি সমস্যা ছিল।এজন্য  এলাকার মসজিদের খতিব সাহেব(মাশাআল্লাহ অনেক ভালো মানুষ) উনার খোজে একজনের সন্ধান নিই।যিনি এগুলোর চিকিৎসা করেন।
তো তিনি যেভাবে চিকিৎসা করেন তার মধ্যে ছিল ডিম কোছরের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন সুরা,কালাম পড়ে কপালে,পিঠে,হাতে,পায়ে থাপ্পর মারে।তারপর চোখ বন্ধ করতে বলে।চোখ বন্ধ করতে বলে এবং চোখ বন্ধ করার পর চোখের সামনে একটা আলো ছোটাছুটি করে।উনি বলে এটা জিন।এছাড়াও আমার সন্দেহজনক লাগে উনি বলছিল,ইয়া আলি,ইয়া আলি।এরপরে কড়ির প্লেটে আমার আঙুল নিয়ে কি জানি লিখে।পিঠের পিছনে যোগ চিহ্ন দেয়।এছাড়াও আমাকে বলে ইয়া আল্লাহু ৩১ বার হাতের আঙুলে ইশারায় লিখে পানি দিয়ে ধুয়ে খেতে।সমস্যা ৪টা জিন ছিল আমার সাথে। আর উনি বলে তা কেটে গেছে।কযেকটা তাবিজও দেবে বলল।কুরআনের নকশা সম্বলিত একটা কাগজ দেয় খাওয়ার জন্য।আরবি কুরআনের হরফও আছে,নকশাও আছে।এই হলো সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রক্রিয়া।আর উনি যেমন বললেন ৪টা জিন, আমার সমস্যা গুলোও তাই।ডিম শেষে সিদ্ধ দিতে বলেন।বলল,এতিম,মিসকিনদেরকে দিয়ে দিবে।
গ্লাসের মধ্যে পানি নিয়ে তাতে কিছু পড়ে ফু দিলে গ্লাস সংকুচিত দেখি।বলেন,বাড়ুতে জিন আছে।
আমার প্রশ্ন সব ঠিক আছে।কিন্তু এই চিকিৎসা প্রক্রিয়া কি সঠিক? এটা কি কোনোভাবে শিরক হয়েছে?আর যে তাবিজ দিয়েছে তা ব্যবহার করতে মন সাই দিচ্ছে না।কি করতে পারি?
উস্তাজ,আপনার সৎ পরামর্শ আশা করছি।

উস্তাজ,একটু দলিল দিয়ে,বিস্তারিত বুঝিয়ে বললে ভালো হতো।াামি বিশ্বাস করছি,কিন্তু বাড়ির মানুষকে যাতে বোঝাতে পারি।

1 Answer

0 votes
by (716,130 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আব্দুল্লাহ ইবনে খবাইব রাযি থেকে বর্ণিত,
عن  عبد الله بن خبيب رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال له : ( قُلْ : " قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ " ، وَالمُعَوِّذَتَيْنِ ، حِينَ تُمْسِي وَتُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ، تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,সূরা ইখলাছ এবং সূরা নাস ও সূরা ফালাক সকাল বিকাল তিনবার পড়লে,সকল প্রকার খারাবী থেকে হেফাজতের জন্য যথেষ্ট হবে।(সুনানু তিরমিযি-৩৫৭৫,সুনানু আবি দাউদ-৫০৮২)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/226

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইয়া আলি বলাটা উচিত হবে না। এবং ইয়া আলি শব্দ দ্বারা যদি আলী রাযি এর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা হয়, তাহলে সেটা জায়েযও হবে না। বরং পর্যায়ক্রমে সেটা শিরকের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। বাদবাকী যা বর্ণনা করেছেন, তাতে শিরক কুফরের কোনো কিছু পরিলক্ষিত হয়নি। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 214 views
0 votes
1 answer 247 views
0 votes
1 answer 114 views
0 votes
1 answer 106 views
0 votes
1 answer 100 views
0 votes
1 answer 338 views
0 votes
1 answer 200 views
...