আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
১। আমার আম্মু ২০১০ সালে একটা স্বপ্ন দেখেছিল তখন আমার আম্মু অন্তঃস্বত্ত্বা ছিল, তবে আমার সেই ভাইটি হওয়ার ৩-৪ দিন আগেই মুভ করা বন্ধ করে দিয়েছিল, পরে সে মৃত ভূমিষ্ঠ হয়।
তখন আমার আম্মু স্বপ্নে দেখেছিল যে আম্মু যে রুমে ছিল সেই রুমের দরজায় একটা সুর্য এসেছে, যেটা অনেক আলো ছড়াচ্ছিল।
--------------
২০১৩ সালে আমার আরো একটি ভাই হয় আলহামদুলিল্লাহ। এই ভাইটি হওয়ার আগে আম্মু স্বপ্নে দেখে যে আমার ফুফাতো বোনকে ইদের চাঁদ দেখাচ্ছে আর বলছে,"দেখো মা কতো সুন্দর ইদের চাঁদ।"
২। আমার হিদায়াতের পর আমি হায়েজ এর সময়টাতে অনেক ভয়ে থাকতাম, আমি সবসময় ভাবতাম যে এই অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে তো আমি অপবিত্র আর আমল বিহীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবো।
হিদায়াতের এক বছর পর, সেই সময়টাতেও আমি হায়েজ অবস্থায় ছিলাম, আমি দেখি যে, একটা যুদ্ধের ময়দান, মরুভুমি-চারিদিকে ধুলা উড়ছিল, মুসলিম আর অমুসলিম দের মাঝে যুদ্ধ হচ্ছিল, তখন আমি জানতে পারলাম যে সেই যুদ্ধে নবিজি স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ছিলেন, যদিও আমি উনাকে দেখতে পাইনি। একসময় আমিও যুদ্ধ করতে শুরু করি, যুদ্ধ করতে করতে এক সময় আমাকে কেউ এমন ভাবে আঘাত করে যে আমার দেহ থেকে মাথা একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে মাথাটা আরেক জায়গায় পড়ে যায় আর সেই অবস্থায় আমি আকাশে দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম যে ইশ! আমি তো আল্লাহর সাথে পবিত্র অবস্থায় সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমি অপবিত্র অবস্থায় দুনিয়া ত্যাগ করছি। এরপর ঘুম ভেঙ্গে যায়।
৩। গত কয়েক দিন আগে স্বপ্নে দেখছি যে আমি, আমার বাবা-মা উমরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিন্তু সামনেই আমার হায়েজের সময় আসছে, আমি আমার মাকে কথাটা বললে মা বলে যে তাহলে তো তোমার উমরা করা হবে না তখন আমি বলি যে আমি নাহয় ঔষুধ খেয়ে হায়েজ বন্ধ রাখবো কিছু দিনের জন্য, উমরা করতে তো আমরা আর সেখানে বেশি দিন থাকবো না। এরপর আমি স্বপ্নে কল্পনা করি নাকি এটা স্বপে দেখি, সেটা আমি মনে করতে পারছি না যে আমি কাবার গিলাফ ছুয়ে দুয়া করছিলাম আল্লাহর কাছে।
৪। আমি নিয়ত করেছি যে আমি কুরআন হিফজ করবো ইনশাআল্লাহ, কিন্তু হায়েজ অবস্থায় তো কুরআন তিলওয়াত করা যায় না, কিন্তু আমার হায়েজ ৭-৮ দিন স্থায়ী হয়, এই সময় গুলোতে কি আমি কুরআন হিফজ করতে পারবো?
মোবাইলে কুরআন দেখে শুয়ে শুয়ে কি হিফজ করা যাবে?
৫। হায়েজ অবস্থায় রাতে সুরা মুলক তিলাওয়াত করা যাবে কি?
জাঝাকুমুল্লাহ খইর।