আমি বিএসসি ইন নার্সিং ফাইনাল ইয়ারে পড়ি।আমি দ্বীনের পথে ফেরা টা শুরু হয় ৩য় বর্ষের প্রথম দিকে।
আমার পরিবার
আমরা বাবা গুলিস্তান পোশাক কারখানায় প্রডাকশনে কাজ করেন।মাসিক গড় ইনকম ৭,০০০ টাকা
আমার মা গ্রামে থাকতেন, ট্রেইলারে কাজ করা, নিজ এরিয়ায় কাজ করতেন,,তবে এখন ঢাকায় থাকেন, ওখানেই কাজ করেন
আমি ছোটবেলা থেকেই আমার মায়ের বড় বোনের কাছে থাকি,তার কোন সন্তান নেই এজন্য,, তাদের আম্মু আব্বু ডাকি।
আব্বু কৃষিকাজ করেন(শীতকালীন সব্জি চাষ) আম্মু ঘরের কাজ করেন আর সব্জি চাষে আব্বু সাথে প্রয়োজন মতো কাজ করেন।
আমি মেঝ।বড় আপুর বিয়ে হয়েছে দুই মেয়ে ওর,আপুর সিজোফ্রেনিয়া নামক মানসিক সমস্যা আছে,,সবসময় ঔষধ ও ইনজেকশন নিতে হয়,, তার খরচ আব্বু-মা বহন করেন।
সেঝ বোনের বিয়ে হয়েছে। ফার্স্ট প্রেগনেন্সি চলে,,অনার্স প্রথম বর্ষ পড়ে তার খরচ কিছু মা দেয় কিছু ওর হাসবেন্ড। ওর হাসবেন্ড সাংসারিক কাজ করেন।
ছোট বোন, ক্লাস ৫ এ পড়ে।
আমার বিয়ে হয়েছে ২০২৪ সালের ইদ উল ফিতরে। শশুর বাড়ীর লোক শালীনতা বজায় করে চলেন,এবং এমনটাই পছন্দ করেন।আমার স্বামী এ্যাকাউন্টিং এ মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন এবছর।। টিউশনি করান আর বাবার সাথে ঘরের মিস্ত্রি কাজে যান মাঝে মাঝে,,চাকরির পরিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমাকে এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে শশুরবাড়িতে নেন নি।
আমি কলেজ হোস্টেলে এ থাকি,সেখানে থেকেই পড়াশোনা করি,খরচ আব্বু বেশির ভাগ দেন, স্বামী ও দেন কিছু কিছু।
নার্সিং কলেজ শিক্ষা পরিস্থিতি :
নার্সিং কলেজ এ পড়াশোনা কালে ও ক্নিনিক্যাল প্রাকটিস করার সময় ড্রেসকোড(সেলোয়ার -কামিজ,, কামিজের উপর এ্যাপ্রন,ক্রস বেল,,হিজাব) মেইনটেইন করতে হয়।।ক্লিনিক্যাল প্রাকটিস কালে পুরুষ পেসেন্ট কে সেবাদান ও ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলার (পেসেন্ট দের অবস্থা, ট্রিটমেন্ট, দিকনির্দেশনা ইত্যাদি বিষয়) প্রয়োজন হয়।
আমাদের এখানে স্যার রা ক্লাস নেয় এবং এক ক্রাসে ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন ছেলে শিক্ষার্থী থাকে বাকী ৯০ জন মেয়ে।
আমি কলেজ পরিবেশ এ ড্রেসকোড মেইনটেইন করে নিকাব পরি,,
বাড়িতে পরিবেশ পর্দার নাই, এবং আব্বু আম্মু একেবারে বিরুদ্ধে যান না,, তবে পড়াশুনা ছাড়া টা একেবারেই সাপোর্ট করেন না এবং চান যে আমি চাকরি করি
শশুর বাড়িতে পর্দা খাছভাবে মেইনটেইন করা যায় না,,ভাসুর, ননদের জামাই এদের সাথে দেখা করতে বলেন,,বা বাইরে থেকে কেউ আসলে সামনে গিয়ে দেখা করতে বলেন,,,যদি পর্দার বিষয় বলি তাহলে নার্সিং ছেড়ে দিয়ে যেতে বলে আমার স্বামি,,বাট উনি আমাকে দায়িত্ব নিয়ে এখান থেকে নিয়ে যাবেন না।
আমার বাবা মা কখনোই মেনে নেবেন না নার্সিং ছেড়ে দিলে, আম্মুকে বলেছি এই বিষয়,, আম্মু এটা মেনে নেয় নি,ওনাদের কথা হলো যদি পড়াশুনা না করি তাহলে এতদিন কেন টাকা খরচ করালাম আমি?এখন কেন তাদের হক নষ্ট করব।
আমার স্বামী ও আমাকে দায়িত্ব নিয়ে পড়াশুনা থেকে নিয়ে জাবেন না,, কারন তাহলে আব্বু -আম্মু ওর উপর প্রেশার দিবেন বা দোষারোপ করবেন।।
আমি যদি এখান থেকে চলে যাই.তাহলে শশুর বাড়িতে থাকতে হবে,, সেখানে আমার বাবা এখনো উঠিয়ে দেন নি।
প্রশ্ন হলো নার্সিং পড়াটা কি আমার জন্য জায়েজ নাকি না?
যদি জায়েজ না হয় তাহলে বাড়ির লোকদের কিভাবে ম্যানেজ করব। এতটুকু যেন আমার ইমান ধরে রাখতে পারি।
যদি পড়া চালিয়ে যাওয়া টা আমার জন্য জায়েজ হয় তাহলে এখানে আমার পর্দা কতটুকু, কন্ঠের পর্দা কিভাবে মেইনটেইন করব?প্রেজেন্টেশন করতে পারব কিনা?
এই সেক্টরে চাকরি করা কি জায়েজ হবে আমার জন্য।
বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ আমার জন্য। মেহেরবানি করে বিস্তারিত বুঝিয়ে উত্তর করলে মুনাসিব হয়।
জাযাকুমুল্লহু খইরন।