আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আমি বিএসসি ইন নার্সিং ফাইনাল ইয়ারে পড়ি।আমি দ্বীনের পথে ফেরা টা শুরু হয় ৩য় বর্ষের প্রথম দিকে।
আমার পরিবার
আমরা বাবা  গুলিস্তান পোশাক  কারখানায় প্রডাকশনে কাজ করেন।মাসিক গড় ইনকম ৭,০০০ টাকা
আমার মা গ্রামে থাকতেন, ট্রেইলারে কাজ করা, নিজ এরিয়ায় কাজ করতেন,,তবে এখন ঢাকায় থাকেন, ওখানেই কাজ করেন

আমি ছোটবেলা থেকেই আমার মায়ের বড় বোনের কাছে থাকি,তার কোন সন্তান নেই এজন্য,, তাদের আম্মু আব্বু ডাকি।
আব্বু কৃষিকাজ করেন(শীতকালীন সব্জি চাষ) আম্মু ঘরের কাজ করেন আর সব্জি চাষে আব্বু সাথে প্রয়োজন মতো কাজ করেন।
আমি মেঝ।বড় আপুর বিয়ে হয়েছে দুই মেয়ে ওর,আপুর সিজোফ্রেনিয়া নামক মানসিক সমস্যা আছে,,সবসময় ঔষধ ও ইনজেকশন নিতে হয়,, তার খরচ আব্বু-মা বহন করেন।


সেঝ বোনের বিয়ে হয়েছে। ফার্স্ট প্রেগনেন্সি চলে,,অনার্স প্রথম বর্ষ পড়ে তার খরচ কিছু মা দেয় কিছু ওর হাসবেন্ড। ওর হাসবেন্ড সাংসারিক কাজ করেন।

ছোট বোন, ক্লাস ৫ এ পড়ে।

আমার বিয়ে হয়েছে ২০২৪ সালের ইদ উল ফিতরে। শশুর বাড়ীর লোক  শালীনতা বজায় করে চলেন,এবং এমনটাই পছন্দ করেন।আমার স্বামী এ্যাকাউন্টিং এ মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন এবছর।। টিউশনি করান আর বাবার সাথে ঘরের মিস্ত্রি কাজে যান মাঝে মাঝে,,চাকরির পরিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমাকে এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে শশুরবাড়িতে নেন নি।

আমি কলেজ হোস্টেলে এ থাকি,সেখানে থেকেই পড়াশোনা করি,খরচ আব্বু বেশির ভাগ দেন, স্বামী ও দেন কিছু কিছু।
নার্সিং কলেজ শিক্ষা পরিস্থিতি :


নার্সিং কলেজ এ পড়াশোনা কালে ও ক্নিনিক্যাল প্রাকটিস করার সময় ড্রেসকোড(সেলোয়ার -কামিজ,, কামিজের উপর এ্যাপ্রন,ক্রস বেল,,হিজাব) মেইনটেইন করতে হয়।।ক্লিনিক্যাল প্রাকটিস কালে পুরুষ পেসেন্ট কে সেবাদান ও ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলার (পেসেন্ট দের অবস্থা, ট্রিটমেন্ট, দিকনির্দেশনা ইত্যাদি বিষয়) প্রয়োজন হয়।
আমাদের এখানে স্যার রা ক্লাস নেয় এবং এক ক্রাসে ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন ছেলে শিক্ষার্থী থাকে বাকী ৯০ জন মেয়ে।


আমি কলেজ পরিবেশ এ ড্রেসকোড মেইনটেইন করে  নিকাব পরি,,

বাড়িতে পরিবেশ পর্দার নাই, এবং আব্বু আম্মু একেবারে বিরুদ্ধে যান না,, তবে পড়াশুনা ছাড়া টা একেবারেই সাপোর্ট করেন না এবং চান যে আমি চাকরি করি
শশুর বাড়িতে পর্দা খাছভাবে মেইনটেইন করা যায় না,,ভাসুর, ননদের জামাই এদের সাথে দেখা করতে বলেন,,বা বাইরে থেকে  কেউ আসলে সামনে গিয়ে দেখা করতে বলেন,,,যদি পর্দার বিষয় বলি তাহলে নার্সিং ছেড়ে দিয়ে  যেতে বলে আমার স্বামি,,বাট উনি আমাকে দায়িত্ব নিয়ে এখান থেকে নিয়ে  যাবেন না।
আমার বাবা মা কখনোই মেনে নেবেন না নার্সিং  ছেড়ে  দিলে, আম্মুকে বলেছি এই বিষয়,, আম্মু এটা মেনে নেয় নি,ওনাদের কথা হলো যদি পড়াশুনা না করি তাহলে এতদিন কেন টাকা খরচ করালাম আমি?এখন কেন তাদের হক নষ্ট করব।


আমার স্বামী ও আমাকে দায়িত্ব নিয়ে পড়াশুনা থেকে নিয়ে জাবেন না,, কারন তাহলে আব্বু -আম্মু ওর উপর প্রেশার দিবেন বা দোষারোপ করবেন।।
আমি যদি এখান থেকে চলে যাই.তাহলে শশুর বাড়িতে থাকতে হবে,, সেখানে আমার বাবা এখনো উঠিয়ে দেন নি।

প্রশ্ন হলো নার্সিং  পড়াটা কি আমার জন্য  জায়েজ  নাকি না?
যদি জায়েজ না হয় তাহলে বাড়ির লোকদের কিভাবে ম্যানেজ করব। এতটুকু যেন আমার ইমান ধরে রাখতে পারি।
যদি পড়া চালিয়ে যাওয়া টা আমার জন্য জায়েজ হয় তাহলে  এখানে আমার পর্দা কতটুকু, কন্ঠের পর্দা কিভাবে মেইনটেইন করব?প্রেজেন্টেশন করতে পারব কিনা?

এই সেক্টরে চাকরি করা কি জায়েজ  হবে আমার জন্য।
বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ আমার জন্য। মেহেরবানি করে বিস্তারিত বুঝিয়ে উত্তর করলে মুনাসিব হয়।
জাযাকুমুল্লহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (627,060 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/39894/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
পর্দা রক্ষা করা ফরজ। 

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَنْ تُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَنْ تَنْكِحُوا أَزْوَاجَهُ مِنْ بَعْدِهِ أَبَدًا إِنَّ ذَلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمًا

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

বিখ্যাত তাফসীরবিদ ইমাম কুরতুবী রাহ. উক্ত আয়াতের আলোচনায় বলেন, উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর স্ত্রীদের কাছে কোনো প্রয়োজনে পর্দার আড়াল থেকে কিছু চাওয়া বা কোনো মাসআলা জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দিয়েছেন। সাধারণ নারীরাও উপরোক্ত হুকুমের অন্তর্ভুক্ত। (তাফসীরে কুরতুবী ১৪/১৪৬)

★অসুস্থ্য মানুষদের সেবা করাও সওয়াবের কাজ। যেহেতু মহিলাদের  জন্য মহিলা ডাক্তারের প্রয়োজন। 
তাই মহিলাদের জন্য পর্দার বিধান পুরোপুরি ভাবে পালনের শর্তে ডাক্তারী শিক্ষা অর্জন করা,ডাক্তারী করা জায়েজ আছে।  
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৪/২৫৬)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ইসলামি স্কলারগন  মুসলিম মহিলাদের মেডিকেল পড়াকে ফরযে কিফায়া বলেছেন। অর্থাৎ মুসলিমদের মধ্যে অবশ্যই কিছু মহিলার এ পেশায় আসা আবশ্যক যেন মহিলা সংক্রান্ত অসুখ-বিসুখ, সিজার, সন্তান ডেলিভারি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুসলিম নারীদেরকে পর পুরুষ বা অমুসলিমদের শরণাপন্ন না হতে হয়।

সুতরাং সমাজের অর্থশালী ও উদ্যোগী ব্যক্তিদের জন্য মহিলাদের জন্য স্বতন্ত্র মেডিকেল কলেজ/ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা ফরজ- যেন আমাদের দ্বীনদার বোনেরা পর পুরুষ থেকে আলাদা থেকে নির্বিঘ্নে এ বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করতে পারে।

তবে স্বতন্ত্র ব্যবস্থা না থাকলেও দীনী কিছু বোনেরা পূর্ণ পর্দা ও শরীয়তের সীমারেখার মধ্যে থেকে প্রচলিত সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মেডিকেল বা নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা করবেন এবং ভবিষ্যতে মহিলাদের জন্য আলাদা মেডিক্যাল কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।

আরো জানুনঃ 

প্রয়োজনঅপরাগতা কিংবা ঠেকায় পড়ার পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন দায়িত্ব আরোপ করে নিযার কারণে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। 

 

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

 

রাসূলুল্লাহ  বলেন,

الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا

নারী গোপন জিনিসযখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

 

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ  বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)


ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা (আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটি)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে,
قد تجد الطبيبة حرجا وصعوبات في تغطية وجهها عن غير المحارم أثناء عملها، فهل هذا يعتبر من الضرورة لكشفه؟
মহিলা ডাক্তার তার কর্মস্থলে ডিউটি করার সময় পরপুরুষের সামনে চেহারা ঢেকে রাখতে সমস্যা ও কষ্ট হয়। সুতরাং চেহারা খোলা রাখার জন্য এটাকে জরুরত হিসেবে গণ্য করা যাবে কিনা?

তাঁরা উত্তর দিয়েছেন,
يحرم على المرأة كشف وجهها لغير محارمها، وليس هناك ضرورة لكشف الوجه في العمل
নারীর জন্য পরপুরুষের সামনে চেহারা খোলা রাখা হারাম। আর ডিউটি করার সময় প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে চেহারা খুলে রাখার জরুরত বিদ্যমান নেই। (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১৭/২৭৭)

বিস্তারিত জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
নারীদের নার্স হওয়া জায়েজ আছে।
তবে পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করতে হবে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।    
শুধুমাত্র নারীদের সেবা করতে হবে।  
সহকর্মীদের সাথে পর্দা মেইনটেইন করে কথা বলবে,অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা থেকে হেফাজতে থাকবে।

ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য যদি বেপর্দা হতে হয়,শরীয়াহ বিরোধী কাজ করতে হয়,সেক্ষেত্রে বেপর্দা হওয়া এবং শরীয়াহ বিরোধী কাজ করার গুনাহ তো অবশ্যই হবে।

তদুপরি উলামায়ে কেরামগন বিশেষ জরুরতের স্বার্থে কিছু মুসলিমদেরকে ডাক্তার হওয়ার প্রতি উদ্ভুদ্ধ করেছেন,যাতে সমাজে পুরুষরা পুরুষের চিকিৎসা দিতে পারে, নারীরা নারীদের চিকিৎসা দিতে পারে, তদুপরি শিক্ষা অর্জন করতে গিয়ে শরীয়াহ বিরোধী কাজ হয়ে গেলে সেই কাজ করার গুনাহ তো অবশ্যই হবে।

তবে কোনো ভাবেই গুনাহ হতে বাঁচা সম্ভব না হলে মেডিক্যাল শিক্ষার পাশাপাশি ইস্তেগফার পাঠ করে যাওয়ারও পরামর্শ উলামায়ে কেরামগন দিয়ে থাকেন।

★সুতরাং আপনি সহ শিক্ষার শর্তাবলি মেনে নার্সিং কলেজ এ পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন।

সহ শিক্ষার বিধান জানুনঃ- 

আরো জানুনঃ 

উপরোক্ত শর্তগুলি পূর্ণ রুপে মেনে পুরো শরীর,চেহারা,হাতা পা ঢেকে পর্দা করে মহিলাদের জন্য মেডিকেলে লেখাপড়া করা,ইন্টার্নশিপ করা জায়েজ হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উম্মাহ এর খিদমাহ এর স্বার্থে,পর্দানশীন নারী রোগী দের পর্দা রক্ষার্থে সার্জারিতে দ্বীনদার মহিলা ডাক্তারদের ক্যারিয়ার করা জায়েজই শুধু নয়,বরং এটি বর্তমান সময়ে অতিব প্রয়োজন।

নারীদের নার্স হওয়া জায়েজ আছে।
তবে পরিপূর্ণ পর্দা মেইনটেইন করতে হবে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করতে হবে।    
শুধুমাত্র নারীদের সেবা করতে হবে।  
সহকর্মীদের সাথে পর্দা মেইনটেইন করে কথা বলবে,অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা থেকে হেফাজতে থাকবে।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ড্রেস কোড মেনে ড্রেস পড়ে গায়রে মাহরাম পুরুষদের সামনে যাওয়া স্পষ্ট নাজায়েজ।
এটা কোনোভাবেই জায়েজ নেই।

★সুতরাং আপনি স্বামীকে শরীয়তের বিধান জানিয়ে সমাধানে আসার চেষ্টা করবেন।

যদি আপনার স্বামী ও আপনার পরিবার থেকে বিষয়টি মেনে না নেয়,আপনাকে নার্সিং এ পড়াশোনা করতে বাধ্য করে,সেক্ষেত্রে ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করবেন।

হাত মোজা পা মোজা পরিধান করবেন।
চেহারা ঢেকে থাকবেন।

যদি চেহারা/হাত/পা ঢাকতে নিষেধাজ্ঞা থাকে,সেক্ষেত্রে  পূর্ণ পর্দা রক্ষা না করার দরুন আপনার জন্য বেপর্দার গুনাহ হবে।

এভাবে হাত মোজা পা মোজা পরিধান না করে,পূর্ণ ভাবে চেহারা না ঢেকে কোনো পুরুষ এর সামনে যাওয়া শরীয়তে কোনো ভাবেই জায়েজ নেই। হারাম।

হ্যাঁ যদি সেখানে শুধুমাত্র নারীরা থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।

পুরুষ পেশেন্টকে দৈহিক সেবা দেয়া যাবেনা।
পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে,হাত মোজা,পা মোজা পরিধান করে চেহারা ঢেকে প্রয়োজনীয় কথা বলা যাবে।

প্রেজেন্টেশন এর সময় কন্ঠের পর্দার জন্য শক্ত গলায় বা মুখের উপর হাত রেখে কথা বলতে পারেন।

সর্বক্ষেত্রে পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে চলবেন,গায়রে মাহরাম পুরুষদের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে থেকে বিরত থাকবেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
edited
উস্তাদ এই সেক্টরে চাকরি করার বিষয়টি যদি একটু বলতেন। চাকরির ক্ষেত্রেও তো ফ্রি মিক্সিং থাকে।পুরুষ কলিগ, পুরুষ পেশেন্ট কে সেবা দেয়ার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে কি করনীয়। 
পিতা- মাতা এবং স্বামী কেউ চাকরি করবো না এটা মেনে নিবে না 
এখানে বিভিন্ন রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য, পরিক্ষার এডমিট কার্ড এর জন্য নিজের মুখ প্রর্দশন করা ছবি ব্যাবহার করতে হয় এই ক্ষেত্রে বিধান কি। উস্তাদ অনেক পেরেশানির ভিতর থাকি দয়া করে উত্তর দিবেন মিন ফাদ্বলিক  
by (627,060 points)
পুরুষ পেশেন্টকে সেবা দেওয়া কোনক্রমেই জায়েজ হবে না।
আপনি শুধু নারীদেরকেই সেবা দান করবেন, পুরুষদেরকে নয়।

পুরুষ কলিগের সাথে পর্দার আড়াল থেকে প্রয়োজনে কথা বলতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশনের জন্য পরীক্ষার এডমিট কার্ডের জন্য মুখ প্রদর্শন করা ছবি দিতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...