ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্তরের খবর একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। আল্লাহ ব্যতিত অন্য কেউই জানেন না। মু'মিনদের সম্পর্কে সর্বদা ভালো ধারণা রাখতে হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।(সূরা হুজুরাত-১২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যতক্ষণ না কোনো মু'মিন তার নিয়ত সম্পর্কে সে স্পষ্ট নেতিবাচক কিছু বলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই মু'মিনের নিয়ত বিশুদ্ধ বলেই ধরে নিতে হবে।
দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয়,
استدلال اس طور پر ہے کہ قربانی کا عمل خالص ایک قربت ہے جس میں تجزی نہیں ہے، اس لیے قربانی کے جانور میں جتنے شرکاء ہیں سب کی نیت قربت ہی کی ہونی چاہیے تاکہ تجزی لازم نہ آئے، رہی یہ بات کہ کس کی نیت کیا ہے یہ تو اللہ ہی جانتا ہے، تو بے شک نیتوں کا حال اللہ ہی کو معلوم ہے، لیکن ہمیں کسی کے متعلق بلاوجہ بدگمان ہونے کی اجازت نہیں، ہم تو ظاہر کے مکلف ہیں، چنانچہ اکر کوئی شریک نصرانی یا مرتد ہے یا مسلمان ہی ہے لیکن وہ اپنی نیت واضح کردے کہ میں قربانی کے لیے نہیں بلکہ صرف گوشت کے لیے شریک ہورہا ہوں تو ایسی صورت میں ظاہر کا اعتبار کرتے ہوئے یہی حکم لگایا جائے گا کہ کسی کی قربانی درست نہ ہوئی، لیکن اگر سارے شرکاء مسلمان ہیں اور کسی کی طرف سے ایسی کوئی صراحت نہیں کہ وہ صرف گوشت کے لیے مثلاً حصہ لے رہا ہے تو مسلمانوں کا معاملہ سداد پر محمول کیا جائے گا اور حسن ظن یہی رکھا جائے گا کہ قربانی کے دنوں میں مسلمان قربانی ہی کی نیت سے جانور ذبح کرتا ہے یا شرکت کرتا ہے۔واللہ تعالیٰ اعلم
جواب نمبر: 43048
دارالافتاء،
دارالعلوم دیوبند
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সাধারণত সকল মু'মিন মুসলমানের নিয়তকে বিশুদ্ধ বলে ধরে নিতে হবে যতক্ষণ না তার মুখ থেকে নেতিবাচক কিছু প্রকাশিত হবে।
(২) আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিমিত্তেই কুরবানি হতে হবে। যদি উদ্দেশ্য এই হয় যে, ৫ মন উজনের গরু দ্বারা সবাইকে গোশত বন্টন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবো, তাহলে এই নিয়ত দ্বারা কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু শুধুমাত্র গোশত ভক্ষণের নিয়তে কুরবানি করলে সেই কুরবানি কবুল হবে না।
(৩) ভাগের পূর্বে সকল শরীকের সম্মতিতে সকলের খাওয়ার জন্য গোশত নেওয়া জায়েয হবে। এক্ষেত্রে কে কতটুকু খাবে? এটা ভাগ করা না হলেও কোনো সমস্যা হবে না।কেউ কম বা বেশ খেলেও কোনো সমস্যা হবে না।কেননা প্রথমেই সবাই সম্মতি দিয়েছেন।