জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে আপনার অযু ভেঙ্গে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)
আরো জানুনঃ-
(০২)
সুনানে দারাকুতনী'র ১৭৩৪ নং হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,
عَنْ جَابِرٍ ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ ، عَنْ عَلَيَّ ، وَعَمَّارٍ ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُكَبِّرُ يَوْمَ عَرَفَةَ صَلَاةَ الْغَدَاةِ، وَيَقْطَعُهَا صَلَاةَ الْعَصْرِ آخِرَ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ"
অর্থ: হযরত জাবির, আবুত তুফাইল, হযরত আলী এবং হযরত আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণিত, নবীয়ে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফার দিন তথা নয় জিলহজ্ব ফজর থেকে আইয়ামে তাশরীকের শেষ দিন তথা ১৩ জিলহজ্ব আসর পর্যন্ত ফরজ নামাযের পর তাকবীরে তাশরীক পাঠ করতেন। (সুনানে দারাকুতনী: ১৭৩৪)
অনুরূপভাবে সুনানে বাইহাকীতে ৬২৭৮ নং বর্ণনায় একই হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে,
عَنْ جَابِرٍ قَالَ : " كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُكَبِّرُ يَوْمَ عَرَفَةَ صَلَاةَ الْغَدَاةِ إِلَى صَلَاةِ الْعَصْرِ آخِرَ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ
হযরত জাবির রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবীয়ে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফার দিন তথা নয় জিলহজ্ব ফজর থেকে আইয়ামে তাশরীকের শেষ দিন তথা ১৩ জিলহজ্ব আসর পর্যন্ত ফরজ নামাযের পর তাকবীরে তাশরীক পাঠ করতেন। (সুনানে বাইহাকী: ৬২৭৮)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পুরুষদের ন্যায় মহিলাদের জন্যও তাকবীরে তাশরিক ওয়াজিব। তবে হায়েয অবস্থায় ওয়াজিব হবে না।
আরো জানুনঃ-
তবে কোন হায়েজ গ্রস্ত নারী যদি প্রতি ফরজ নামাজের ওয়াক্তে তাকবীরে তাশরিক পাঠ করে, এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। বরং এমতাবস্থায় তার ছওয়াব হবে।
(০৩)
শরীয়তের বিধান হলো, ফরজ নামাজের পর পরই তাকবীর বলবে, নামাজের সালামের পর নামাজ শুদ্ধ হওয়ার পরিপন্থী কোন কাজ করার পূর্বে তাকবীর বলা ওয়াজিব।
তাই যদি কেউ তাকবীর না বলে মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় অথবা ইচ্ছাকৃত বা ভুলবশত কথা বলে ফেলে, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে ওযু ভেঙ্গে ফেলে, তাহলে তার দায়িত্ব থেকে তাকবীর রহিত হয়ে যাবে পুনরায় পড়লেও ওয়াজিব আদায় হবে না, কিন্তু যদি সালামের পর ভুলবশত ওযু ভেঙ্গে যায় তাহলে ওই অবস্থায় তাকবীর বলবে পবিত্রতা অর্জনের জন্য মসজিদ থেকে বের হতে হবে না। (ফাতওয়ায়ে শামীঃ ৩য় খন্ড ৭৩ পৃষ্ঠা, আল-বাহরুর রায়েকঃ ২য়খন্ড ২৮৮ পৃষ্ঠা)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সালামের পর নামাজ শুদ্ধ হওয়ার পরিপন্থী কোন কাজ না করে থাকলে,নামাজের স্থান থেকে চলে না গেলে তাকবিরে তাশরিক বলবে।
অন্যথায় তার ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে।