আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
১. পাত্রপক্ষ দেখতে আসার পর উনারা একটি তথ্য জানিয়ে জিগেস করেন যে এতে পাত্রীর কোনো আপত্তি আছে কি না!  পাত্রী এতে রাজী জানায়। পরে উনারা এই 'রাজী' কথা টা সবার সামনে শুনার জন্য পাত্রীর মা বাবা এবং অন্যান্য সকল মহিলা কে ডাকেন।  ওখানে উনারা (পাত্রপক্ষ) জিগেস করেন অমুক কে বিয়ে করতে তুমি রাজী কি না (মূলত সেই তথ্যের ভিত্তিতে রাজী কি না এটা উদ্দেশ্য)  পাত্রী মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়।
সেখানে পাত্রীর বাবা এবং অনেকজন মহিলা উপস্থিত ছিলেন। পাত্র ছিলোনা,পাত্র প্রবাসে। পাত্রের আত্নীয়স্বজন ছিলো।
প্রশ্ন হলো এভাবে কি বিয়ে হয়ে গেছে?  উনাদের উদ্দেশ্য ছিলো সেই তথ্যের ভিত্তিতে আগামীতে বিয়ে করতে রাজী কি না,এটা জিগেস করা।
২। পাত্র প্রবাসে থাকে পড়ালেখার উদ্দেশ্যে।  ডক্টরেট শেষ করে পোস্ট ডক্টরেট তথা পোস্ট পিএইচডি এর পর যে ২ বছর চাকরির অপশন থাকে সেটা শেষ করে দেশে ফিরে আসার নিয়ত।  পাত্র চায় বিয়ে হয়ে গেলে স্ত্রীকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার।  এখন পাত্রের প্রশ্ন হলো এতে পাত্রীর কোনো সমস্যা আছে কি না ।  তার ভাষ্য হলো, সে পোস্ট pHD শেষে দেশে ফিরে আসার সর্বাত্নক চেষ্টা করবে,  কিন্তু তার রিজিক কোথায় সে তো জানেনা, হয়তো সেখানে থাকতে হতে পারে, এতে পাত্রীর কোনো আপত্তি আছে কি না!
এতে উক্ত পাত্রী রাজী হয়ে যায়। পরে তার অনুশোচনা হতে থাকে যে, এতে করে সে তার দ্বীনকে হুমকির মুখে ফেললো কি না!! এখন post PHD এর সময় টুকু (২ বছর) পাত্রী সেই দেশে যাওয়া বা থাকা কতটুকু জায়েজ হবে? জায়েজ হলেও উত্তম হবে কি?  তার দ্বীন কি হুমকির মুখে পড়বে?  আর এর জন্য কি সে নিজেই দায়ী? কারণ সে ই তো রাজী হয়েছে।  উস্তায একটু জানাবেন। সে ভাবছে, সেখানে যদি যেতেই হয় দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করবে যতটুকু সম্ভব।
৩. দেশের বাহিরে থাকা একজন পাত্রের সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে।  পাত্রের পরিবার মেয়েকে সামনে থেকে দেখেছি, পাত্র ভিডিও কলে।
আমি শুনেছি বিয়ে ঠিক হলে অতি দ্রুত সম্ভব বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া উত্তম।  এক্ষেত্রে পাত্র দেশে আসতে ৩ মাসের মতো সময় লাগবে।
এখন পাত্র দেশে আসলে বিয়ে করা উত্তম হবে নাকি প্রতিনিধি সিলেক্ট করে এখনই বিয়ে পড়ানো উত্তম হবে? উস্তাদ, আপনার মূল্যবান পরামর্শ আশা করছি।
আল্লাহ তা'য়ালা আপনাদের অনেক উত্তম জাযা দিক।অনেক কষ্ট করে প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার জন্য।

1 Answer

0 votes
by (634,530 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

https://ifatwa.info/11771 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে বিবাহ হয়ে যায়নি।

(০২)
এ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ- 

(০৩)
তারা যদি এই তিন মাস ধৈর্য ধরে থাকতে পারে, কোন গুনাহ না করে কোন মেসেজিং অডিও কল ভিডিও কল ইত্যাদি কোনভাবেই কথা না বলে, সেক্ষেত্রে তিন মাস পর পাত্র দেশে এসে সরাসরি বিবাহ করাই উত্তম হবে।

আর যদি তারা ম্যাসেজিং করবে বা অডিও কল ভিডিও কলে কথা বলবে এমনটি হয়, সেক্ষেত্রে উকিল নিযুক্ত করে দ্রুত বিবাহ পড়িয়ে দেওয়াটাই উচিত।

★মোবাইলে বা টেলিফোনে   বিবাহ করার পদ্ধতি হল-উভয় পক্ষ থেকে এক পক্ষ অপরপক্ষ যেখানে থাকে সেখানের কোন ব্যক্তিকে ওকীল বানাবে। তারপর সে অকীল দু’জন সাক্ষীর সামনে বিবাহ করিয়ে দিবে। তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া সরাসরি মোবাইলে বা টেলিফোনে প্রস্তাব ও কবুল করার দ্বারা বিবাহ সহীহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহ খাইরান উস্তাদ। উস্তাদ,ইলম যদি কম থাকে, বাকি গুলো মোটামুটি। 
এক্ষেত্রে স্বামী থেকে ৪ মাসের বেশি দূরে থাকা উচিত না,সেই হিসেবে কি যাওয়া যাবে?
by (634,530 points)
প্রশ্নটি অস্পষ্ট। 

স্পষ্ট আকারে লিখলে ভালো হতো।
জাযাকাল্লাহ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...