আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।

 

বর্তমানে অনলাইনে এমন অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর রয়েছেন, যারা নাস্তিকদের বিভিন্ন যুক্তির খণ্ডন করার উদ্দেশ্যে ডিবেট ভিডিও, নাট্যধর্মী ভিডিও কিংবা কখনো কখনো ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও তৈরি করেন। এতে এক পক্ষ মুসলিম হিসেবে যুক্তি তুলে ধরেন, আর অপর পক্ষ—যদিও তার পরিচয় মুসলিম—নাস্তিকের চরিত্রে অভিনয় করেন, যেন একটি বাস্তব ডিবেট দৃশ্য তুলে ধরা যায়। উদ্দেশ্য থাকে ইসলামের পক্ষের যুক্তিকে স্পষ্ট ও শক্তিশালীভাবে উপস্থাপন করা।

 

আমার প্রশ্ন হল:

এ ধরনের ভিডিও তৈরির জন্য একজন মুসলিমের পক্ষে নাস্তিকের (বা কোনো অমুসলিমের) ভূমিকায় অভিনয় করা কি শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ হবে? এতে কি ঈমান বা আকীদার কোনো ক্ষতি হতে পারে?

 

আশা করি, কুরআন-সুন্নাহ ও ফিকহের আলোকে এ বিষয়ে একটি পরিস্কার দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।

 

জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (633,360 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কেউ যদি ইচ্ছাপূর্বক ভাবে কোনো বিধর্মীর এমন নামে পরিচয় দেয়, যাহা বিধর্মীদের সাথেই নির্দিষ্ট।
তাহলে তাহা ঈমানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। 
তবে নিজেকে অমুসলিম প্রকাশ করার উদ্দেশ্য না নিলে সে কাফের হবেনা।

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিলে সেক্ষেত্রে সে কাফের হয়ে যাবে।
তাকে পুনরায় ঈমান আনতে হবে।
বিবাহিত হলে বিবাহ নবায়ন করতে হবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কেহ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে নাস্তিক.মুরতাদ বলে পরিচয় দেয়, সেক্ষেত্রে তওবা করে তাকে পুনরায় ঈমান আনতে হবে।
বিবাহিত হলে বিবাহ নবায়ন করতে হবে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...