আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا فَقَدْ بَرِئَ مِمَّا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ ﷺ
সে তার স্ত্রীর পশ্চাদদ্বারে সংগম করে; সে যেন আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক মুহাম্মদ ﷺ -এর উপর নাযিলকৃত দীন হতে মুক্ত হয়ে গেল। (আবু দাউদ ৩৯০৪)

---আগের প্রশ্নের উত্তরে এই হাদিসটি পেয়েছি।।দীন থেকে "মুক্ত হয়ে গেল মানে তো" ইমান নষ্ট হওয়া।। তাহলে কি পশ্চাৎদ্বদরে সংগম করলে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে এটাকে বুঝানো হয়েছে কি??

1 Answer

0 votes
by (634,530 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَتَى كَاهِنًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ أَوْ أَتَى امْرَأَتَهُ حَائِضًا أَو أَتَى امْرَأَته من دُبُرِهَا فَقَدْ بَرِئَ مِمَّا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন জ্যোতিষের কাছে যায় এবং সে যা কিছু বলে তা বিশ্বাস করে অথবা যে ব্যক্তি ঋতুমতী অবস্থায় নিজের স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে কিংবা যে ব্যক্তি স্ত্রীর পিছন দ্বার দিয়ে সহবাস করে, সে ঐ জিনিস হতে সম্পর্কহীন হয়ে গেল, যা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর অবতীর্ণ করা হয়েছে।
(সহীহ : আহমাদ ৯৫৩৬, আবূ দাঊদ ৩৯০৪, ইবনু মাজাহ ৬৩৯, আল জামি‘উস্ সগীর ১০৮৮৬, সহীহুল জামি‘ ৫৯৪২, বায়হাক্বী’র কুবরা ১৪৫০৪, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৬৬৭০, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২৬৫০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩০৪৪. মিশকাত ৪৫৯৯।)

ব্যাখ্যাঃ লিসান-এর মধ্যে এসেছে, যে দুনিয়াতে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সংবাদ বলে দেয় এবং গোপন বিষয় জানার দাবী করে তাকে كاهن ( জ্যোতিষী) বলে। জাহিলী যুগে ‘আরবে জ্যোতিষী পাওয়া যেত।

আর যে দাবী করে যে, তাকে জিনে সংবাদ দিয়ে যায়। যে বিশ্বাস করে যে, সে কতিপয় কারণ থেকে অনেক কিছু বলে দিতে পারে, সে (তার কাছে আগমনকারীর) কাজ, তার অবস্থা দেখে অনেক কিছু বলে দিতে পারে। আর এ শ্রেণীকে বলে عراف বা গণক। যে দাবী করে হারানোর জিনিস কোথায় আছে, চুরি হয়ে যাওয়া জিনিস কোথায় আছে তা বলে দিতে পারে।

‘আল্লামা আযহারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগমনের পূর্বে আরবে كهانة জ্যোতির্বিদ ছিল। যখন আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নবী করে পাঠালেন, আর আসমান উল্কাপি- দ্বারা পাহারা নিযুক্ত করেন, আর জীন-শয়তানদেরকে সংবাদ চুরি করে জ্যোতির্বিদদের কাছে পৌঁছাতে নিষেধ করেন, তখন জ্যোতির্বিদ্যা বাতিল হয়ে গেল। আর মহান আল্লাহ সেই কুরআনের মাধ্যমে জ্যোতির্বিদ্যাকে নিশ্চিহ্ন করে দিলেন যা দিয়ে তিনি হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য করেছেন। আর তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ওয়াহীর মাধ্যমে যা ইচ্ছা গায়বের কোন জ্ঞান জানিয়ে দিলেন যা আয়ত্ব করতে জানতে জ্যোতির্বিদগণ ব্যর্থ হল। সুতরাং প্রশংসা ও অনুগ্রহে বর্তমানে জ্যোতির্বিদ্যা নেই। আল কুরআন তার অভাব পূরণ করে দিয়েছে (তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে)।

ইবনুল ‘আসীর (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ (مَنْ أَتٰى كَاهِنًا) অর্থাৎ জ্যোতিষী, গণক এবং জ্যোতির্বিদ যে কারো কাছে আসুক না কেন। (أَوْ أَتَى امْرَأَتَهٗ) অর্থাৎ সহবাস করতে। (من دُبُرِهَا) অর্থাৎ হায়য অবস্থায় হোক বা পবিত্র অবস্থায় হোক। (فَقَدْ بَرِئَ) অর্থাৎ কুফরী করল। এটি ধমক ও শাস্তির ভয় দেখানোর জন্য।

(‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৯০০; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পশ্চাৎদ্বারে সংগম করলে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে, এটা বুঝানো হয়নি।
বরং এটি ধমক ও শাস্তির ভয় দেখানোর জন্য বলা হয়েছে।

পশ্চাৎদ্বারে সংগম করা যেহেতু মারাত্নক অন্যায় কাজ,তাই তার ভয়াবহতা বুঝানোর জন্য রাসুলুল্লাহ সাঃ উক্ত কথা বলেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...