আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আমার গত মাসে পিরিয়ড শেষ হয় 7 এপ্রিল।27 এপ্রিল রাতে হলুদ স্রাব দেখি আবার 28 তারিখ যোহরেই সাদা স্রাব  আসে।তাই ইস্তেহাযা ধরে নামায শুরু করি।এরপর 5 জুন রাতে 11 টার দিকে আবার গাড় হলুদ স্রাব দেখে নামাজ বাদ রাখি কিন্তু 6 জুন যোহরের ওয়াক্তে আবার সাদা।তাই আবার নামাজ শুরু করি।7জুন আসর থেকে আবার গাড় হলুদ চলে এবং 8 জুন যোহরের ওয়াক্তেই সাদা চলে আসে।তাই আবার নামাজ পড়ি।এখানে আমার 8 জুন রাত পর্যন্ত থাকলে 5 থেকে 8 তারিখ পর্যন্ত তিন দিন তিন রাত ধরতে পারতাম ।যেহেতু তার আগেই সাদা চলে আসছে তাই এটাকেও আমি ইস্তেহাযা ধরছি।এরপর গতকাল ঠিক ছিল আবার আজকে 10 তারিখ আসরের ওয়াক্তে গাড় হলুদ দেখি।আমি আবারও নামাজ বাদ দিচ্ছি।
আমি পুরা হতাশ।
হুযুর আমাকে বলবেন প্লিজ ,আমি যে হলুদ দেখে বাদ দিচ্ছি নামাজ ,আবার সাদা দেখে 3 দিনের আগেই নামাজ শুরু করতেছি।আবার 5 থেকে 8 তারিখ ইস্তিহাযা ধরছি।এগুলো সব কি ঠিক আছে?এখন আজ 10 তারিখ আসরে যে আবার হলুদ দেখলাম তাহলে আজকে থেকে  আবার নতুন করে 3 দিনের প্রথম দিন গননা করব।তাই না?
ইস্তেহাযা থেকে ভাল হওয়ার কোন বিশেষ আমল বা রুকাইয়াহ থাকলেও জানানোর অনুরোধ।

1 Answer

0 votes
by (664,170 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যতদিন না তিনদিন তিনরাত রক্তস্রাব যাবে, ততদিন সেটাকে ইস্তেহাযা বিবেচনা করা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
 হুযুর আমার দেখা যাচ্ছে এক ওয়াক্তে পরিমাণে একটু বেশি যখন হয় তখন টিস্যুতে নিলে হলুদেটে বোঝা যায়।কিন্তু পরের কয়েক ওয়াক্ত কিছুই নাই।বা মাঝেমধ্যে এতই অল্প যে তা টিস্যুতে নেয়ার উপায়ই নাই।আবার মাঝেমধ্যে এর থেকে একটু বেশি পরিমাণ হলে তখন টিস্যুতে নিলে সাদা মত মনে হয়।দেখা যায় তিন দিন তিন রাত হওয়ার তখন আর এক ওয়াক্ত বাকি বা কখনো এরচেয়ে বেশি ওয়াক্ত।তখন আমি নামাজ শুরু করি।এভাবে করে বার বার ইস্তেহাযা ধরতে হচ্ছে।আবার কয়েক ওয়াক্ত পরেই মানে তিন দিন তিন রাত হিসাব পার হওয়ার পরেই দেখা যাচ্ছে সামান্য পরিমাণে বেশি স্রাব তখন হলদেটে বোঝা যায় পরিস্কার।এভাবে বাব বার নামাজ বাদ দিতে হচ্ছে দিনের পর দিন আবার ইস্তেহাযা ও ধরতে হচ্ছে।আমি কি এভাবেই চলতে থাকব নামায বাদ রেখে রেখে?
আমাকে একটু সহজভাবে বুঝিয়ে বলেন হুযুর।আমার মানসিক অবস্থা কতটা ভঙ্গুর হয়ে আছে তা শুধু আল্লাহ্ জানেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...