আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১. হাতে বা শরীরের কোথাও যদি মেহেদীর রং লেগে থাকে আর সে অবস্থায় ফরজ গোসল আদায় করা হয় তবে তা কি আদায় হবে?আমার হাতে ভূলবশত একটু মেহেদী (গাছের মেহেদী নয়; বাজারে যেটা পাওয়া যায় সেটা) লেগে গিয়েছিল।অনেকটা উঠে গেছে একটু লেগে আছে।আমি সেটার ২ টা ছবি নিচে দিচ্ছি
https://drive.google.com/file/d/1g5bIQAlJRkNEwqzDVEqu9pvRymb2kodI/view?usp=drivesdk

https://drive.google.com/file/d/1fweOgTLbqbGv92dg6r7NU_6GLcSZBk5o/view?usp=drivesdk

আমি এ অবস্থায় ফরজ গোসল আদায় করেছি।আমার গোসল কি হবে?

নাকি রং উঠে যাওয়ার পর তা আবার আদায় করতে হবে?

১.ক) আর গোসলের সময় হাতের নখ,কান,নাক এসব অংশে ঠিক কত ভিতর পর্যন্ত পানি পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে?

আমার ফরজ গোসল নিয়ে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্ব হয়।ভাবি যে,পানি ঠিক মতো পৌঁছেছে কি না?ঠিক মতো আদায় হলো কি না?আবার আদায় করবো কি না? প্রত্যেকবার এরকম হয়। তারপর কি থেকে যেন কি হয়ে যায় . হস্ত*মৈথুন করে বসি।এটা যেন আমার রুটিন হয়ে গেছে।আমি জানি এটা অনেক ভয়াবহ পাপ। প্রত্যেক বার ছেড়ে দেওয়ার নিয়ত করি। কিন্তু আবার হয়ে যায়।আর খুব সম্ভবত শয়তান আমার মনের মধ্যে এসব দ্বিধা দ্বন্দ্ব ঢুকিয়ে দেয় আবার ওসব করার জন্য।শুধু এটা না। মনের মধ্যে এসব চিন্তাও আসে যে, আজকে তো মাসের ২৪/২৬/২৭ তারিখ এ মাসটা শেষ হোক তারপর ছেড়ে দিব।কখনো মনে হয়, দুপুর ঠিক ১২ টা থেকে ছেড়ে দিব। অদ্ভুত এক যন্ত্রণার মধ্যে আছি।এখন আমি কি করতে পারি? আপনার পরামর্শ প্রার্থী।আমার জন্য দোয়া করবেন।

জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (662,340 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শরীরে এমন কিছু লেগে থাকলে যা ওজু গোসলের সময় শরীরে পানি পৌছতে বাধা প্রদাণ করে।শরীর এমন জিনিষ লেগে থাকাবস্থায় ওজু-গোসল কিছুই হবে না। বিশেষ প্রয়োজনে মূল নকের পরে অতিরিক্ত নক সম্পর্কে শরীয়তে কিছুটা শীতিলতা রয়েছে।যা আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি।

এখন পশ্ন হল,বাজারে পাওয়া যাওয়া মেহেদি কি পানি পৌঁছতে বাধা প্রদাণ করে।উত্তরে বলা যায়, এক্ষেত্রে ত্বক বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে।যদি পানি পৌছতে বাধা দেয় তাহলে তো এগুলো হাতে দেয়ার পর ওজু হবে না।আর যদি পানি পৌঁছতে বাধা না দেয়,তাহলে তো ওজু হবে।বিস্তারিত জানুনঃ (কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/৯৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গাছের মেহেদি শরীরে পানি পৌছতে বাঁধা প্রদাণ করে না। বিধায় তা হাতে দিলে অজুতে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না। এবং বাজারে পাওয়া যাওয়া মেহেদি সম্পর্কে ত্বক বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্তের উপর হুকুম প্রবর্তিত হবে।আমাদের জানামতে টিউব মেহেদি পানি প্রতিবন্ধক নয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1024

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) হাতে বা শরীরের কোথাও যদি মেহেদীর রং লেগে থাকে আর সে অবস্থায় ফরজ গোসল আদায় করা হয়, তবে সেই গোসল আদায় হবে।  রং উঠে যাওয়ার পর তা আদায় করতে হবে না।
(২) ফরজ গোসলের সময় হাতের নখের অগ্রভাগে পানি পৌঁছানো জরুরী। ভিতরাংশ়়ে পানি পৌছানো জরুরী নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...