ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জবিউল ফুরুজঃ
এদের অংশ পবিত্র কোরআন শরীফে নির্ধারণ করে দেয়া আছে। জবিউল ফুরুজ হল ১২ জন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং বাকি ৮ জন মহিলা। ৪ জন পুরুষ হল - ১) স্বামী, ২)পিতা, ৩)দাদা, ৪) সৎ ভাই (বৈপিত্রেয়)। ৮ জন মহিলা হল - ১)স্ত্রী, ২)কন্যা, ৩)পুত্রের কন্যা, ৪)মাতা, ৫)দাদি এবং নানি, ৬)সহোদর বোন, ৭) সৎ বোন (বৈমাত্রেয়), ৮)সৎ বোন (বৈপিত্রেয়)। নির্ধারিত অংশের পরিমান নিম্নরূপঃ
(১) স্বামী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(২) স্বামী ১/২ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৩) স্ত্রী ১/৮ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(৪) স্ত্রী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৫) কন্যা ১/২ পাবে যখন একজন মাত্র কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৬) কন্যা ২/৩ পাবে যখন দুই বা ততধিক কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৭) কন্য অবশিষ্ট ভোগী হিসাবে পাবেন যখন এক বা একের অধিক পুত্র থাকে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বোন যেহেতু আপনার বাবার মৃত্যুর পূর্বে এবং বাবার মৌখিক সম্পদ বন্টনের পূর্বে মারা গেছেন, তাই উনার সন্তানরা আপনার বাবার সম্পদ থেকে কোনো অংশ পাবেন না। বাদবাকি সবাই সম্পদের অংশ পাবে। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথমবার সবিস্তারে উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়। একেকবার একেকটি ইস্যু সামনে নিয়ে আসলে তখন ফাতাওয়াতে তো ভিন্নতা চলে আসবে।
যাইহোক!
আপনার বাবা উনার মৃত্যুর পূর্বে যদি সম্পদকে ভাগ করে দিয়ে যান, তাহলে যেভাবে ভাগ করে দিবেন, আপনারা সেভাবেই পাবেন। কেননা বাবাই সমস্ত সম্পত্তির একচ্ছত্র মালিক। তিনি যা ইচ্ছা করতে পারেন।যেমন খুশী বন্টন করে দিতে পারেন। আপনার বাবার এমন সম্পত্তি যা তিনি বন্টন করে যাননি, সেই সম্পত্তিকে ফারাইয বা বন্টন বিদ্যার মূলনীতির আলোকে জীবিত সন্তানদের মধ্যে বন্টন করা হবে। সুতরাং আপনার বাবা যদি আপনার মেঝো ভাইকে কিছু দিয়ে যান, তাহলে মেঝো ভাইয়ের সন্তানরা অনায়াসেই তা পাবে। তাছাড়া যদি বন্টন করা নাও হয়, তাহলেও আপনার মেঝো ভাইয়ের সন্তানরা সম্পত্তি থেকে পাবে।