আসসালামু আলাইকুম হযরত,
কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন।
হুজুরের কাছে আমার জানার বিষয় হচ্ছে যে, আমার বিবাহের সময় আমাকে, আমার পরিবারকে এবং আমার স্ত্রীকে না জানিয়ে কাজী সাহেব কাবিন নামার ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদে কিছু লিখে দিয়েছেন। লেখাটি একদম স্পষ্ট নয়, বুঝা যাচ্ছে না সেখানে কি লেখা আছে। আমি জানতে চাই, ওই লেখার মাধ্যমে স্ত্রীর উপর কি তালাকের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে কি না?
আর ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদে যে বিষয়গুলো লেখা থাকে (আমার কাবিন নামায় স্পষ্ট বোঝা যায় না, তবে অন্য কারো কাবিন নামা থেকে ধারণা নিয়েছি), সেগুলোর কোন একটিও আমার ভিতর পাওয়া যায়নি ।
তবুও আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে মনের অমিলের কারণে তালাক চায় এবং বলে, “আপনি বিবাহের আগে যেমন ছিলেন, এখন তেমন নন, অনেক পরিবর্তন হয়েছে।”
এই কথাগুলোর ভিত্তিতে সে মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ অনুযায়ী তালাকের নোটিশ আমার কাছে পাঠায়, যেখানে তালাকের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, “স্বামী নির্যাতনকারী, মনের বনিবনা না হওয়ায় নিজ নফসের উপর তালাক নিলাম।” আমি সেখানে কোনো স্বাক্ষর করিনি।
এর পর থেকে তার সঙ্গে নানা ঝামেলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় ১১ মাস ধরে। একদিন সে আমাকে বিরক্ত করতে থাকে, আমাকে মুক্তি দিতে বলে, আরেক জায়গায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা বলে। তখন রাগে আমি তাকে বলি, “যাও, আমি তোমাকে মুক্তি দিলাম, তুমি অন্য কোথাও বিবাহ করে নাও।” (মেসেজে বলেছি)
আমার প্রশ্ন:
১. আমাকে, আমার পরিবারকে বা আমার স্ত্রীকে না জানিয়ে কাজী ১৮ নম্বর কলামে কিছু লিখলে তা কি ঠিক বা শরীয়াত সম্মত হবে?
২. আমার অনুমতি ছাড়া স্ত্রী যে ডিভোর্স দিয়েছে, তা কি মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ অনুযায়ী বৈধ?
৩. ১১ মাস পর আমি যদি বলি, “তোমাকে মুক্তি দিলাম,” তাহলে কি ডিভোর্স কার্যকর হবে?
আমরা দুজনই নতুন করে সংসার করতে চাই। তাহলে করণীয় কী? আমরা কি সংসার করতে পারব?
আশা করি, হুজুর ইসলামী শরীয়াত মোতাবেক আল্লাহর বিধান অনুযায়ী আমাকে সমাধান দিবেন।