আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সাদা সাদা শ্বেতী রোগ দেখা দিচ্ছে। দিন দিন বেড়েই চলেছে।আমি প্রায় ২ বছর ধরে চিকিৎসা করতেসি। কিন্তু কোনো ফল পাচ্ছি না। যখন ওষুধ খাই তখন একটু ভালো হয়। কিন্তু ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে আবার বেশি হয়। এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না।
প্রশ্ন: এই শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো আমল আছে কি?

1 Answer

0 votes
by (633,780 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার প্রতি কিছু আমলের পরামর্শঃ-

সূরা আনআম-এর আয়াত আমল করবেন।
সূরা আন-আম, আয়াত 17

 "وَإِن يَمْسَسْكَ ٱللَّهُ بِضُرٍّۢ فَلَا كَاشِفَ لَهُۥٓ إِلَّا هُوَ ۖ"

 “আর যদি আল্লাহ তোমার কোনো ক্ষতি করেন, তবে তিনি ছাড়া তা দূর করার কেউ নেই।”
এই আয়াতটি দিনে ৩, ৭ বা ১১ বার পড়ে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে আক্রান্ত স্থানে হাত বুলাতে পারেন।
(তবে সংখ্যাটিকে আবশ্যক মনে করবেননা,এটিকে চিকিৎসা মনে করবেন,দ্বীনের বিষয় বা ছওয়াবের কোনো বিষয় মনে করবেননা।)

২. দোয়া ইউনুস (সূরা আম্বিয়া ৮৭)

 "لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَـٰنَكَ إِنِّى كُنتُ مِنَ ٱلظَّـٰلِمِينَ"

প্রতিদিন ১০০ বার পড়ুন। এটি সব ধরনের দুশ্চিন্তা ও বিপদ থেকে মুক্তির আমল হিসেবে প্রসিদ্ধ।
(এক্ষেত্রেও সংখ্যাটিকে আবশ্যক মনে করবেননা,এটিকে চিকিৎসা মনে করবেন,দ্বীনের বিষয় বা ছওয়াবের কোনো বিষয় মনে করবেননা।)

৩. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর শেখানো রোগ মুক্তির দোয়া

 "أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ، اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا"

দিনে কয়েকবার আক্রান্ত স্থানে হাত রেখে এই দোয়া পড়ুন।
অথবা এই দোয়া পড়ে সেই স্থানে ফুক দিন বা হাতে ফুক দিয়ে সেই স্থানে হাত বুলিয়ে দিন।

চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় পরামর্শ থাকবে আপনি কোন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে বহির্বিভাগ থেকে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাবেন, চিকিৎসা নিবেন, সেক্ষেত্রে শুধু টিকিটের মূল্য আপনার থেকে নিবে, আশা করি ঔষধ এর মূল্য তারা নিবে না।

আরো কিছু পরামর্শ:
★নামাজ কায়েম রাখুন, পাঁচ ওয়াক্ত।
★পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন, সর্বদা ওজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করুন।
★সদকা দিন—রোগমুক্তির জন্য সদকা খুব উপকারী।
★তওবা ও ইস্তিগফার করুন—আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া সব রোগের নিরাময়ের একটি চাবিকাঠি।
★কখনো রোদে গোসল করবেননা,পাশাপাশি গরম পানি দিয়ে গোসল না করার পরামর্শ থাকবে। 

কেননা হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: لَا تَغْتَسِلُوا بِالْمَاءِ الْمُشَمَّسِ فَإِنَّهُ يُورِثُ البرص.

’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রোদে গরম করা পানি দিয়ে গোসল করো না। কারণ এ পানি শ্বেত ও কুষ্ঠ রোগ সৃষ্টি করে। 

(দারাকুত্বনী ১/৩৯, বায়হাক্বী ১/৬, মিশকাত ৪৮৯.তালখীসুল হাবীর ৬, ৭ নং পৃঃ।)

نَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَآخَرُونَ ، قَالُوا : حَدَّثَنَا سَعْدَانُ بْنُ نَصْرٍ ، نَا خَالِدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيُّ ، نَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ : دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَقَدْ سَخَّنْتُ مَاءً فِي الشَّمْسِ ، فَقَالَ : " لَا تَفْعَلِي يَا حُمَيْرَاءُ فَإِنَّهُ يُورِثُ الْبَرَصَ " 

আল হুসায়ন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলেন, তখন আমি সূর্যের তাপে পানি গরম করছিলাম। তিনি বললেন, হে হুমায়রা! তা করো না। কারণ তাতে শ্বেতরোগের সৃষ্টি হয়।
(সুনানে দারা কুতনি ৮২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...