আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
ago in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (66 points)
১. কোরআনের দলিল:

سورة البينة (সূরা আল-বাইয়্যিনাহ), আয়াত ৭:

> إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ أُو۟لَـٰٓئِكَ هُمْ خَيْرُ ٱلْبَرِيَّةِ

অর্থ: যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই হচ্ছে সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
(সূরা আল-বাইয়্যিনাহ, আয়াত ৭)


তাফসির: “খাইরুল বরিয়্যাহ” বলতে অনেক মুফাসসির ব্যাখ্যা করেছেন—এরা ফেরেশতাদের থেকেও উত্তম, কারণ ফেরেশতারা গোনাহ করতে পারে না, কিন্তু মানুষ গোনাহের ঝুঁকির মধ্যে থেকেও আল্লাহর ইবাদত করে। সেই পরিশ্রম ও নিয়ত তাদের মর্যাদাকে উঁচু করে।

 ২. হাদিসের দলিল:

✅ হাদিস:

আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

> "علم العالم أفضل من عبادة العابد، وفضل العالم على العابد كفضل القمر ليلة البدر على سائر الكواكب"

অর্থ: একজন আলেম (জ্ঞানী ব্যক্তি)-এর মর্যাদা একজন শুধু মাত্র এবাদতকারী ব্যক্তির চেয়ে বেশি। আর আলেমের মর্যাদা অন্যান্য মুসলমানদের তুলনায় এমন, যেমন পূর্ণিমার চাঁদের আলো অন্যান্য নক্ষত্রের উপর।

 [সুনান ইবন মাজাহ, হাদিস: ২২৪]

 এই হাদিসের ব্যাখ্যায় অনেক আলেম বলেন—মানুষ জ্ঞান, নেক আমল ও ত্যাগের মাধ্যমে এমন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে যা ফেরেশতার চেয়েও বড় মর্যাদা।

 ৩. যুক্তিগত ব্যাখ্যা (আক্বলী দালিল):

ফেরেশতারা গোনাহ করতে পারে না কারণ তারা স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিহীন, সবসময় আল্লাহর ইবাদতে থাকে। কিন্তু মানুষ হচ্ছে নফস, শয়তান ও দুনিয়ার প্রলোভনের মধ্যে থেকেও যদি আল্লাহর দিকে ফিরে আসে, ইবাদত করে, ত্যাগ স্বীকার করে, তাহলে তার আমলের ওজন অনেক বেশি হয়।


আসসালামু আলাইকুম, উপরোক্ত রেফারেন্স দিয়ে একজন বলছে মানুষ চাইলে ফেরেশতা থেকে উত্তম হতে পারে।আবার চাইলে শয়তান থেকে বেশি খারাপ হতে পারে। তার এই দাবিটি কি সঠিক?কারণ আমি জানি ফেরেশতারা নিষ্পাপ। একটু যদি বিস্তারিত ব্যাখা করতেন বিষয়টি।

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...