১. কোরআনের দলিল:
سورة البينة (সূরা আল-বাইয়্যিনাহ), আয়াত ৭:
> إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ أُو۟لَـٰٓئِكَ هُمْ خَيْرُ ٱلْبَرِيَّةِ
অর্থ: যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই হচ্ছে সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
(সূরা আল-বাইয়্যিনাহ, আয়াত ৭)
তাফসির: “খাইরুল বরিয়্যাহ” বলতে অনেক মুফাসসির ব্যাখ্যা করেছেন—এরা ফেরেশতাদের থেকেও উত্তম, কারণ ফেরেশতারা গোনাহ করতে পারে না, কিন্তু মানুষ গোনাহের ঝুঁকির মধ্যে থেকেও আল্লাহর ইবাদত করে। সেই পরিশ্রম ও নিয়ত তাদের মর্যাদাকে উঁচু করে।
২. হাদিসের দলিল:
✅ হাদিস:
আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
> "علم العالم أفضل من عبادة العابد، وفضل العالم على العابد كفضل القمر ليلة البدر على سائر الكواكب"
অর্থ: একজন আলেম (জ্ঞানী ব্যক্তি)-এর মর্যাদা একজন শুধু মাত্র এবাদতকারী ব্যক্তির চেয়ে বেশি। আর আলেমের মর্যাদা অন্যান্য মুসলমানদের তুলনায় এমন, যেমন পূর্ণিমার চাঁদের আলো অন্যান্য নক্ষত্রের উপর।
[সুনান ইবন মাজাহ, হাদিস: ২২৪]
এই হাদিসের ব্যাখ্যায় অনেক আলেম বলেন—মানুষ জ্ঞান, নেক আমল ও ত্যাগের মাধ্যমে এমন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে যা ফেরেশতার চেয়েও বড় মর্যাদা।
৩. যুক্তিগত ব্যাখ্যা (আক্বলী দালিল):
ফেরেশতারা গোনাহ করতে পারে না কারণ তারা স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিহীন, সবসময় আল্লাহর ইবাদতে থাকে। কিন্তু মানুষ হচ্ছে নফস, শয়তান ও দুনিয়ার প্রলোভনের মধ্যে থেকেও যদি আল্লাহর দিকে ফিরে আসে, ইবাদত করে, ত্যাগ স্বীকার করে, তাহলে তার আমলের ওজন অনেক বেশি হয়।
আসসালামু আলাইকুম, উপরোক্ত রেফারেন্স দিয়ে একজন বলছে মানুষ চাইলে ফেরেশতা থেকে উত্তম হতে পারে।আবার চাইলে শয়তান থেকে বেশি খারাপ হতে পারে। তার এই দাবিটি কি সঠিক?কারণ আমি জানি ফেরেশতারা নিষ্পাপ। একটু যদি বিস্তারিত ব্যাখা করতেন বিষয়টি।