আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
13 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (1 point)
আমার মাহরাম পুরুষ আত্মীয় তামাত্তু হজ্ব সম্পাদন শেষে এখন মক্কায় অবস্থান করছেন

(১) অনেকে তাঁকে মানা করার পরেও, তিনি উমরাহ ও হজ্জ উভয় ক্ষেত্রে প্রতিবারে ওজুর সময় মাথার চুল ও মুখের দাড়ি খিলাল করেছিলেন। এতে অনিচ্ছায় বেশ কিছু চুল বা দাড়ি পড়ে গিয়ে থাকতে পারে যা তিনি স্বচক্ষে দেখেননি।
(২) তিনি উমরাহ ও হজ্জ উভয় ক্ষেত্রে অনিচ্ছায় অভ্যাসবশত প্রায়ই মাথার চুলে হাত দিতেন ও মুখের দাড়ি আঁচড়াতেন। সচেতন হলে হাত সরিয়ে নিতেন। এতে অনিচ্ছায় বেশ কিছু চুল বা দাড়ি পড়ে গিয়ে থাকতে পারে যা তিনি স্বচক্ষে দেখেননি।
(৩) উমরাহ শেষ করে চুল হলক্ব করে দশ দিন পরে যখন হজে মিনা-আরাফার তাঁবুতে ছিলেন, তখন গরম আবহাওয়া, পেটের অসুখ, লোকজনের ভিড় ইত্যাদি কারণে অস্বস্তি ও বিচলিত বোধ করছিলেন। তখন সচেতনভাবে স্বেচ্ছায় কয়েকবার মাথার তালুতে হাত ঘষেন ও দাড়ি আঙুল দিয়ে আঁচড়ান। এতে করে অবশ্য স্বচক্ষে কোন দাড়ি পড়তে দেখেননি, মাথার চুলও খুব ছোট বিধায় খসে পড়ছে কিনা দেখতে পাননি।
(৪) এমনিতে মিনার তাঁবুতে তিনি সাদা বিছানায় নিজের দাড়ি পড়ে থাকতে দেখেছেন যা মৃত হয়ে আপনা থেকেও ঝরে পড়ে থাকতে পারে।
হজ্ব শেষে মক্কায় তিনি এগুলি ভেবে খুবই পেরেশানি বোধ করছেন। তার আশঙ্কা হচ্ছে হজ্ব বিনষ্ট হলো কিনা। এখন বর্ণিত ঘটনাগুলোয় কি তাঁকে দম/ ফিদিয়া দিতে হবে? দিলে এর পরিমাণ কতো এবং কোথায় দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (663,570 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে, আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: (اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ)
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সন্দেহের উপর কোনো বিধান আরোপিত হয় না। যতগুলো প্রশ্ন করেছেন, সবগুলোই সন্দেহের উপর নির্ভরশীল, তাই কোনো দম ওয়াজিব হবে না। 

বিঃদ্রঃ
আপনি ইতিপূর্বেও এই প্রশ্নটি করেছেন, আমরা পূর্বের ন্যায় এবারও বলছি, আপনার সন্দেহ রয়েছে, এমন এমন হতে পারে।  সন্দেহ দ্বারা কোনো হুকুম বাস্তবায়িত হয় না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...